Ajker Patrika

গণভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত বিভক্ত হওয়া যাবে না: দুদু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ০৮
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আমাদের কাজ শেষ নয়, আমরা কেবল একটা খুনি সরকারকে বিদায় করেছি। সব কাজ এখনো বাকি আছে। বিএনপি মনে করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি জাতীয় নির্বাচন দিয়ে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য সত্যিকারভাবে একটি গণভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সেটা যত দিন সম্ভব না হবে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের বিভক্ত হওয়া যাবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যার যার মতো কথা বলবেন, কিন্তু গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করা যাবে না।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে দুপুরে ২৪ জুলাই যোদ্ধা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা কিসের জন্য রক্ত দিয়েছেন? স্বৈরাচার হটিয়ে গণতন্ত্র আনতে, কথা বলতে। তারা একটি চাকরি চায়, তারা তাদের অধিকার চায়, তারা খেতে চায়। এটা কি খুব বেশি চেয়েছে। এটা করা সম্ভব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এগুলো সব হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নির্বাচনকে যারা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, পার্শ্ববর্তী একটি দেশ তাদের সহযোগিতা করেছে। গত তিনটি তামাশার নির্বাচনকে ভারত সফল নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছে। যখনই নির্বাচন হয়েছে তাদের দেশের রাষ্ট্রদূত দৌড়ে গিয়ে শেখ হাসিনার গলায় মালা দিতে এগিয়ে এসেছে। পাশের এই দেশের আমাদের ভালো কিছু দিতে আগ্রহ ছিল না। তাদের চোখ ছিল লুটপাটের দিকে। সেই সরকার লুটপাট করেছে, খুন করেছে, গণহত্যা করেছে। ভাবা যায়? গণহত্যাকারীকে, লুটপাটকারীকে, একটা ধ্বংসকারীকে তারা আশ্রয় দিয়েছে। সুতরাং বুঝতে হবে তারা এ দেশ এ জনগণ না শুধুমাত্র একটি দলকে তারা স্বীকৃতি দেয়, বন্ধু মনে করে।

‘২৪ জুলাই যোদ্ধা আন্দোলন’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল কবির রেজা বলেন, একজন জুলাই যোদ্ধাকে মাত্র ১০ হাজার টাকার একটা চায়ের দোকান দিয়ে দেয়। আর ৫ আগস্টের পরে অনেক ধান্দাবাজ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ধিক্কার জানাই এই সরকারকে। জনাব তারেক রহমানকে জানাতে চাই, আপনার কাছে অনুরোধ করব জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবার ও আহতদের খোঁজ নেন। তারা খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে আছেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য বিএনপি সব সহযোগিতা করবে। কিন্তু তারা এখনো নির্বাচন দিতে পারেনি। যে শহীদেরা গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের জন্য এই সরকারের উচিত ছিল তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে এখন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নির্বাচনের গতিপথকে রুদ্ধ করার জন্য একটি দল পিআরকে সামনে নিয়ে আসছে। যারা পিআর নিয়ে কথা বলেন তারা জাতীয় দুশমন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকারের প্রধান কাজ ছিল সব শহীদের তালিকা করে তাদের পুনর্বাসন করা। যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের সুচিকিৎসা দেওয়া। কিন্তু এগুলো করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই যোদ্ধাদের পরিবারকে যারা সহযোগিতা করতে পারেনি তারা কীভাবে সংস্কার করবে? অনেকেই বলে, শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্যই কি গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে? আমি বলি, হ্যাঁ। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করাই ছিল অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য। নির্বাচন দিলে আপনাদের সেইফ এক্সিট লাগবে না।

জুলাই শহীদ সাইফুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা এত বছর বিএনপি করছি। কিন্তু আমার স্বামী শহীদ হওয়ার পরে কখনোই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমার বাচ্চাগুলোর খোঁজ-খবরও কেউ নেয়নি। আমার স্বামীর প্রাণ দেওয়া কি অপরাধ ছিল? আমরা কীভাবে চলি কেউ কখনো জিজ্ঞেস করে না।’

আয়োজনে আটজন জুলাই যোদ্ধাকে স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান বিএনপির নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ, শান্তি রক্ষা মিশনের এক-চতুর্থাংশ ছাঁটাই করছে জাতিসংঘ

১২ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে টাইফয়েড টিকা, টাকা চাইলে ব্যবস্থা

গাজায় থেমে গেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী

৯ গোলের দুঃস্বপ্ন থেকে মশার যন্ত্রণা, বাংলাদেশ-হংকং লড়াইয়ে আরও যা ঘটেছে

সবচেয়ে প্রভাবশালী ৪ মিডিয়ার লাগাম এখন ৪ শীর্ষ ধনীর হাতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত