নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশে ঐক্য ও মিলনের জায়গা তৈরি করেছে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত করা সম্ভব নয়।
আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিক, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাকটিভিস্ট, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত এনসিপির ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদার আকাঙ্ক্ষা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের মধ্যে নতুন করে জাগ্রত হয়েছে। আমাদের মধ্যে নানা বিষয় মতপার্থক্য হতে পারে, তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এতে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক, সংলাপ ও মিথস্ক্রিয়ায় কোনো ধরনের ছেদ না পড়ে। জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা বা পরাস্ত করা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশবিরোধী শক্তিরা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদ এবং অভ্যুত্থানের শক্তিদের মধ্যে অনৈক্য সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মাফিয়া, লুটেরা ব্যবসায়িক শ্রেণি ও ষড়যন্ত্রকারী নানাভাবে সুযোগ করে নিতে পারে। আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে জনগণের কাছে যাব। সেখানে আমাদের নীতিগত বিরোধ হবে। কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে আমাদের যে ঐক্যের জায়গা তৈরি হয়েছে, আমরা সেই ঐক্যের জায়গা থেকে কখনোই সরে যাব না।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা নতুন বন্দোবস্তের কথাই বারবার বলে যাচ্ছি। যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল তাদের দ্রুত বিচার আমাদের সকলের প্রত্যাশা। দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই। বিচারের মাধ্যমেই আমরা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা করতে চাই। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণ ৫ আগস্টেই রায় দিয়ে দিয়েছে।’
দ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় কমিশনের মাধ্যমে যে সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তাদের প্রস্তাবিত যে জুলাই সনদ, সেই জুলাই সনদের আমরা দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই। জুলাই সনদ কার্যকরের মধ্য দিয়ে সংস্কারের রূপরেখা আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে। আমরা চাই সংবিধান ছাড়া অন্য যে সংস্কারগুলো রয়েছে সেগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আমরা বলেছি, সামনের নির্বাচনে একই সঙ্গে আইনসভা এবং গণপরিষদ নির্বাচন করা সম্ভব। মধ্য দিয়ে একটি নতুন সংবিধান এবং গণতন্ত্রে আমরা উত্তরণ করতে পারব। সকল কিছুই দ্রুত সময়ের মধ্যে হওয়া সম্ভব বলে আমরা মনে করছি। সরকার যে সময়ের কথা বলেছে, সকল কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করে এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দিকে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উত্তরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমলাতন্ত্র, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও মিডিয়ার নিরপেক্ষতা প্রয়োজন। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী যত শক্তি আছে, সবাই একসঙ্গে হয়ে দেশের জন্য কাজ করবে। আমাদের রাজনৈতিক মিশন-লক্ষ্য আলাদা হতে পারে, আমরা এটা বলতে পারি যে আমরা আজকে এখানে যারা সবাই ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষ।’
দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাইনি, দেখতে চাই না। সকল দলগুলোকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হিসেবে রেখে যেতে পারব।’
ইফতারে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরও বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নাগরিক পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশে ঐক্য ও মিলনের জায়গা তৈরি করেছে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত করা সম্ভব নয়।
আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিক, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, অ্যাকটিভিস্ট, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত এনসিপির ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদার আকাঙ্ক্ষা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের মধ্যে নতুন করে জাগ্রত হয়েছে। আমাদের মধ্যে নানা বিষয় মতপার্থক্য হতে পারে, তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এতে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক, সংলাপ ও মিথস্ক্রিয়ায় কোনো ধরনের ছেদ না পড়ে। জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা বা পরাস্ত করা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশবিরোধী শক্তিরা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদ এবং অভ্যুত্থানের শক্তিদের মধ্যে অনৈক্য সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মাফিয়া, লুটেরা ব্যবসায়িক শ্রেণি ও ষড়যন্ত্রকারী নানাভাবে সুযোগ করে নিতে পারে। আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে জনগণের কাছে যাব। সেখানে আমাদের নীতিগত বিরোধ হবে। কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে আমাদের যে ঐক্যের জায়গা তৈরি হয়েছে, আমরা সেই ঐক্যের জায়গা থেকে কখনোই সরে যাব না।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা নতুন বন্দোবস্তের কথাই বারবার বলে যাচ্ছি। যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল তাদের দ্রুত বিচার আমাদের সকলের প্রত্যাশা। দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই। বিচারের মাধ্যমেই আমরা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা করতে চাই। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণ ৫ আগস্টেই রায় দিয়ে দিয়েছে।’
দ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় কমিশনের মাধ্যমে যে সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তাদের প্রস্তাবিত যে জুলাই সনদ, সেই জুলাই সনদের আমরা দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই। জুলাই সনদ কার্যকরের মধ্য দিয়ে সংস্কারের রূপরেখা আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে। আমরা চাই সংবিধান ছাড়া অন্য যে সংস্কারগুলো রয়েছে সেগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আমরা বলেছি, সামনের নির্বাচনে একই সঙ্গে আইনসভা এবং গণপরিষদ নির্বাচন করা সম্ভব। মধ্য দিয়ে একটি নতুন সংবিধান এবং গণতন্ত্রে আমরা উত্তরণ করতে পারব। সকল কিছুই দ্রুত সময়ের মধ্যে হওয়া সম্ভব বলে আমরা মনে করছি। সরকার যে সময়ের কথা বলেছে, সকল কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করে এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দিকে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উত্তরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমলাতন্ত্র, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও মিডিয়ার নিরপেক্ষতা প্রয়োজন। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী যত শক্তি আছে, সবাই একসঙ্গে হয়ে দেশের জন্য কাজ করবে। আমাদের রাজনৈতিক মিশন-লক্ষ্য আলাদা হতে পারে, আমরা এটা বলতে পারি যে আমরা আজকে এখানে যারা সবাই ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষ।’
দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাইনি, দেখতে চাই না। সকল দলগুলোকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হিসেবে রেখে যেতে পারব।’
ইফতারে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরও বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নাগরিক পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
১৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
১৬ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
১৬ ঘণ্টা আগে