Ajker Patrika

ছাত্র সংসদ প্রশ্নে বিভক্তি স্পষ্ট, সংঘাতের আশঙ্কা

  • একপক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবির, অন্যদিকে আছে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ বামপন্থী সংগঠনগুলো
  • ডাকসু নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সভায় যাননি শিবির ছাড়া অন্য সংগঠনের নেতারা
  • ছাত্রদলের সঙ্গে ২৮ ছাত্র সংগঠনের বৈঠকে ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম’ করে কর্মসূচির আলোচনা
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য তৈরি হলেও আন্দোলনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়হীনতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনসহ বেশ কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভক্তি তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রসংগঠনগুলো এখন মোটাদাগে দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবির এবং অন্যদিকে আছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও বামপন্থী সংগঠনগুলো। এমন অবস্থায় দল ও সংগঠনগুলোর দেওয়া বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবের যথাযথ প্রয়োগ না হলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ডিসেম্বরে ডাকসুসহ ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচনের দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন শুরুর দাবি জানিয়েছিল তারা। ডাকসুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সেই সভায় সব ছাত্রসংগঠনকে ডাকলেও ইসলামী ছাত্র শিবির ছাড়া সাড়া অন্যান্য ছাত্রসংগঠন দেয়নি। পরে ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এসব সংগঠনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সেই বৈঠকে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম’-এর মাধ্যমে কর্মসূচির আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।

বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ডানপন্থী দল ও গোষ্ঠীর উত্থান, মব তৈরির প্রচেষ্টা, নারী ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতি প্রোপাগান্ডা এবং প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে ডান ও বামপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে একধরনের ‘শীতল যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ওপর ডানপন্থী স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির হামলা, হামলার প্রতিবাদে বামপন্থী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভে পুলিশের হামলা এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি সংসদের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর ‘লাল সন্ত্রাস’-সংক্রান্ত আলোচনা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিরাজ শিকদারের গ্রাফিতি নষ্ট করার মধ্য দিয়ে এই দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দূরত্বও বেড়েছে ডানপন্থীদের সঙ্গে বামপন্থীদের।

ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন সম্প্রতি পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করেছে। এসব কমিটি নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধন, ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জন এবং পরামর্শদানের কাজ করবেন। ইতিমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ডাকসুর বিষয়ে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে দিয়েছে। সুনির্দিষ্ট তারিখ না বললেও প্রশাসন দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছে। তবে সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন না হলে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ‘পরিবেশ পরিষদ’ গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা জাকসু নির্বাচন বিভিন্ন সংস্কারের পর হতে হবে। সেই লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। সেখানেও ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কেউ কেউ।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিভিন্ন পথ ও মত থাকে। এখানে বিভিন্ন দলের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে, এটা আমরা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাজনীতির লক্ষণ বলে মনে করি। পার্থক্যের চর্চা যেন শান্তিপূর্ণ এবং ইতিবাচক হয়, তা সবাইকে নিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।’ অতি দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই ছাত্রসংসদ নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রতি যে হুমকি, ডাকসুর ছাত্রনেতারা তার রক্ষক হবে বলে আমরা মনে করি।’

সার্বিক নিরাপত্তা ও পরিবেশ নিশ্চিত না করে নির্বাচনের আয়োজন করলে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসুর বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীদের চাহিদা বা প্রত্যাশা পূরণ হবে না। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন যেভাবে কোনো কার্যকর সংস্কার ছাড়া আয়োজন করা হয়েছিল, এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেটি গ্রহণ না করার সম্ভাবনাই বেশি।’

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, ‘ক্যাম্পাস প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের মনোভাব বুঝে ছাত্র সংসদের রূপরেখা তৈরি করে, তাহলে ছাত্রসংগঠনগুলোর দ্বিমতের কোনো জায়গা থাকবে না। ক্যাম্পাস প্রশাসন যদি আমাদের সহযোগিতা চায়, আমরা করব। যদি আমাদের আরও ছাড় দিতে হয়, তা-ও দেব; তবুও আমরা চাই ছাত্র সংসদ নির্বাচনটা হোক।’

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ জানান, ছাত্র সংসদগুলোর গঠনতন্ত্রের গণতান্ত্রিক সংস্কার দরকার। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সংস্কারের প্রস্তাব ছাত্রসংগঠনগুলো হাজির করেছে, সেই জায়গায় সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সংস্কার লাগবে। ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন ছাড়া তাঁরা তা গ্রহণ করবেন না। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নটি তাই সংস্কার প্রশ্ন থেকে আলাদা নয়।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভক্তি না থাকলেও সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন আরিফ। তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত নির্বাচন চায়, সেখানে বিভক্তির কিছু নেই। তবে কিছু ছাত্রসংগঠনের কার্যকলাপ পরস্পরের প্রতি সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি করেছে, যার প্রভাব আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দেখেছি।’ বিভাজন দূর করে সচেতনভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে বলে জানান তিনি।

মেঘমল্লার বসু আজকের পত্রিকাকে জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনৈক্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই মতানৈক্য অনেক আগেই সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসগুলোয় একধরনের মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে একদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তার সঙ্গে জড়িত ছাত্রশিবিরের মধ্যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে একটা মেরুকরণ তৈরি করবে; বাকি সংগঠনগুলো নানা ফর্মে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে ছাত্র সংসদ আয়োজন করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নে মেঘমল্লার বলেন, ‘প্রশাসন এমনটাই করবে, এটা আশা করতে চাই। যদি তারা একতরফাভাবে করার চেষ্টা করে, তাহলে একটা প্রতিক্রিয়া তো ক্যাম্পাসগুলোয় পড়বেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে এখন স্থিতিশীল, এমন না। এখনো ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকে হামলা করছে। এর মধ্যে যদি এমন ঘটনা আরও ঘটে, তবে ক্যাম্পাসগুলো ক্রমান্বয়ে আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৬
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। ছবি: এএফপি
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। ছবি: এএফপি

দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।

নিজের জন্মস্থানে এবার প্রথম প্রার্থী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনটি সংসদীয় আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। দিনাজপুর-৩ আসন ছাড়াও ফেনী-১ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনেও নির্বাচন করেছেন; কখনো হারেননি।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনীতে। কিন্তু জন্মের পর দিনাজপুর শহরেই তাঁর শৈশব কেটেছে; এ শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। তবে তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়।

সে হিসেবে বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়া শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার দুটি আসনে—বগুড়া-৬ (সদর) ও ৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর)—নির্বাচন করে আসছেন; কখনো হারেননি।

বগুড়া-৭ আসন থেকে বিগত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি ছয়বার (এর মধ্যে খালেদা জিয়া পাঁচবার), জাতীয় পার্টি তিনবার, আওয়ামী লীগ দুবার ও স্বতস্ত্র (বিএনপির সমর্থনে) প্রার্থী একবার জয় পেয়েছেন। খালেদা জিয়া চারবার বগুড়া-৬ আসন নিজের জন্য রেখে বগুড়া-৭ আসন উপনির্বাচনের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। একবার (২০০৮) উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন মওদুদ আহমদ। বাকি তিনবার (১৯৯১, ১৯৯৬-জুন ও ২০০১) জয়ী হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।

এবার বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষে প্রথম প্রার্থী হয়েছেন খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গত ১১ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়ার সাতটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সভা ছিল। সে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। সভায় ২২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

সেই সভার তিন দিন পর পাঁচজনকে ফোন করে নির্বাচনী প্রচার জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বগুড়া-৬ ও ৭ নিয়ে কাউকে ফোন দেওয়া হয়নি। তখন থেকেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ধারণা ছিল, হয়তো এ দুটি আসনে ‘জিয়া পরিবারের’ কেউ প্রার্থী হবেন।

ফেনী-১: ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১ আসন। ১৯৭৩ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ৫০ বছরের নির্বাচনে বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফেনী জেলায় খালেদা জিয়ার আদি পৈতৃক নিবাস। ফলে নির্বাচন এলেই এখানে স্লোগান ওঠে—‘ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা’।

১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তাঁর ছোট ভাই সাঈদ ইস্কান্দার।

২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে দণ্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়া এখানে প্রার্থী হতে পারেননি। তখন প্রার্থী হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মজনু।

দিনাজপুর-৩: আসনটি সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপি ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয়লাভ করে। ১৯৭৯ সালে প্রথমবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী জয়লাভ করেন। পরের দুবার জয় পান খুরশীদ জাহান হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই যেসব আলোচিত নেতা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়নুল আবেদীন, রুমিন ফারাহানা। ফাইল ছবি
শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়নুল আবেদীন, রুমিন ফারাহানা। ফাইল ছবি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে সম্ভাব্য এই তালিকায় নাম দেখা যায়নি দলের কিছু শীর্ষ নেতার। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সম্ভাব্য এই তালিকায় হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে যাঁদের নাম নেই, তাঁরা হলেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসলাম চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, হুমায়ুন কবির, সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাইসহ অনেকের নাম নেই।

এদিকে নানা কারণে দীর্ঘবিরতির পর এবার প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমদ, সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম পিন্টু, আলী আসগর লবি, ওসমান ফারুক, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টুসহ অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানসহ যাঁদের হাতে প্রথমবার ধানের শীষ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মুখের এই তালিকায় শুরুতেই আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তারেক রহমান ছাড়াও নতুনদের দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন (দিনাজপুর-৬), ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু (ফেনী-৩) এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন (ঢাকা-৬)।

বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী সৈয়দ শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস (পাবনা-৫) ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে আসা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর প্রধান সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলিও (ঢাকা-১৪) রয়েছেন নতুনদের মিছিলে।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, শফিকুল ইসলাম খান (ঢাকা-১৫), ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম (যশোর-৬), যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন (ভোলা-৪) ও প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭)।

এ ছাড়া রাজীব আহসান (বরিশাল-৪), এস এম ওবায়দুল হক নাসির (টাঙ্গাইল-৪), ফখরুল ইসলাম (নোয়াখালী-৫), মাহবুবের রহমান শামীম (নোয়াখালী-৬), মীর হেলাল উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৫), কাজী সালাহউদ্দিন (চট্টগ্রাম-৪), ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইউসুফের মেয়ে নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩), প্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমীন (নাটোর-১) ও যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা মো. আব্দুল মালেক (সিলেট-৩)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াসহ বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন ১০ নারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ১৩
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি। আজ সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ১২ আসনে ১০ নারীর নাম রয়েছে।

তাঁদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে প্রার্থী হতে পারেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে নির্বাচন করেছেন, কখনো হারেননি।

খালেদা জিয়ার পৈতৃকবাড়ি ফেনীতে। আর তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়। খালেদা জিয়ার জন্ম, শৈশব ও পড়াশোনা দিনাজপুর শহরে হলেও এর আগে তিনি কখনো এখান থেকে প্রার্থী হননি।

এর বাইরে আর যেসব নারী নেত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—

সানজিদা ইসলাম তুলি (ঢাকা-১৪)

গুম হওয়া পরিবারগুলোর প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক তিনি। ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমনকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময়ই সুমনের মা হাজেরা খাতুনকে কেন্দ্র করে তাঁর পরিবারের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনটি।

আফরোজা খানম রিতা (মানিকগঞ্জ-৩)

মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী মুন্নুর চেয়ারওম্যান। রিতার বাবা হারুনার রশীদ খান মুন্নু এ শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

শামা ওবায়েদ, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ও ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো
শামা ওবায়েদ, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ও ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো

তাহসিনা রুশদীর লুনা (সিলেট-২)

এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে গুমের শিকার হন ইলিয়াস; এর পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তাঁর স্ত্রী লুনা।

শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর-২)

দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর বাবা প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান বিএনপির মহাসচিব (১৯৮৬-৮৮) ছিলেন; পালন করেছেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

চৌধুরী নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩)

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক। তাঁর বাবা প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একাধিকবার মন্ত্রী ছিলেন। নায়াবের দাদা ইউসুফ আলী চৌধুরী ছিলেন মুসলিম লীগ নেতা এবং প্রপিতামহ চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিশ্বাস ছিলেন জমিদার।

ফারজানা শারমিন পুতুল, সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা ও সাবিরা সুলতানা মুন্নী
ফারজানা শারমিন পুতুল, সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা ও সাবিরা সুলতানা মুন্নী

ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো (ঝালকাঠি-২)

সংসদ সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টো হত্যার শিকার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী ইলেন ২০০০ সালে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। এরপর তিনি ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুকে পরাজিত করে ফের জয়ের মুখ দেখেন।

ফারজানা শারমিন পুতুল (নাটোর-১)

দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও মিডিয়া সেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাইকোর্টের এই আইনজীবী অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল বিএনপির মনোনয়নে চারবারের এমপি ছিলেন।

সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা (শেরপুর-১)

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াংকা।

সানজিদা ইসলাম তুলি, আফরোজা খানম রিতা ও তাহসিনা রুশদীর লুনা
সানজিদা ইসলাম তুলি, আফরোজা খানম রিতা ও তাহসিনা রুশদীর লুনা

সাবিরা সুলতানা মুন্নী (যশোর-২)

ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুন্নীর স্বামী নাজমুল ইসলাম একসময় ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১১ সালে ঢাকায় অপহরণ হওয়ার পর নাজমুলের লাশ মিলেছিল গাজীপুরে।

সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিএনপি। তাতে ধানের শীষের হয়ে লড়েছিলেন ১৪ নেত্রী।

জুলাই সনদে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বিএনপিসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট। আর নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে তিনটি দল ও জোট।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করার কথা ছিল ২০২০ সালের মধ্যে। তবে তা না পারায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ফল অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ৩৯ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩৬ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে আটজন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ৩৮ নারী প্রার্থীর মধ্যে ছয়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫৯ নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ২৯ নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন নারী সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

এরপর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬৯ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ২২ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আর ২০২৪ সালের দ্বাদশ নির্বাচনে ৯৪ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত