ঢাবি সংবাদদাতা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়েতে বিদ্যমান সকল কোটা বাতিল না করলে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। আজ সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা প্রণয়নের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘যে কোটা বিলোপের দাবিতে আমাদের এত সংগ্রাম, মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে সে কোটা আবার ফিরে এসেছে। কোটা চালুর মাধ্যমে সরকার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মনে করি-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের মাপকাঠি মেধা ছাড়া অন্য কিছু হওয়া উচিত না।’
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে চাকরিতে এবং প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো পোষ্য কোটা বহাল আছে। সরকার গত ৭ মাসে এ সবের কোনো সমাধান দেয়নি। বৈষম্যমূলক এ সকল কোটা বিলোপ না করলে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলব।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় কোটা পুনর্বহাল করেছে। এ সরকার যে লক্ষ্যে ক্ষমতায় বসেছে, তা সম্পন্ন করতে পারেনি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পুনর্বাসন, রাষ্ট্র সংস্কার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ–কোনো কাজেই তারা সফল হয়নি। বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই। এ পরিস্থিতিগুলো ধামাচাপা দিতে সরকার এটি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটার মাধ্যমে তারা বোঝাতে চায়–জাতীয় নির্বাচনে যারা সাথে থাকবে, তাদের এ সুযোগ-সুবিধাগুলো দেওয়া হবে। এগুলো বলে মানুষকে কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সর্বপ্রথম কোটাব্যবস্থা চালু করা হয় উপদেষ্টা নিয়োগে। ছাত্র কোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। সকল দলের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম থেকে সবাইকে বের করে দেওয়া হয়। কোটার ভিত্তিতে বিভিন্ন কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদদের যত রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার যায়, রাষ্ট্র সবগুলো দিলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কেবল কোটা দিতে পারবে না। কিন্তু রাষ্ট্র তাদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেনি। এখনো দাবি আদায়ের জন্য তাদেরকে রাস্তায় নামতে হয়। শহীদ এবং আহতদের টাকার লোভ দেখিয়ে এখনো নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানো হয়। তাদেরকে বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।’
বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের নামে এতদিন যারা নিরপেক্ষতার সবক দিতেন, তারা এখন আর নিরপেক্ষ নেই। এতদিন রাজনীতির বিরোধিতা করে এখন তাদের একেকজন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী হয়ে গেছে। তারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে রাজনৈতিক প্রতারণা করেছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের এ অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ সময় তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি-হাইস্কুলসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সকল কোটা ও রেলওয়ের চাকরিতে বিদ্যমান পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে; গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারকে এককালীন ১ কোটি টাকা ও আহতদের পঞ্চাশ লাখ টাকা সহায়তা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন—সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক এবং সদস্যসচিব রাকিব হাসান। এ সময় নেতা-কর্মীদের ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’, ‘২৪ এর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগানও দিতে দেখা যায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়েতে বিদ্যমান সকল কোটা বাতিল না করলে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। আজ সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা প্রণয়নের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘যে কোটা বিলোপের দাবিতে আমাদের এত সংগ্রাম, মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে সে কোটা আবার ফিরে এসেছে। কোটা চালুর মাধ্যমে সরকার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মনে করি-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের মাপকাঠি মেধা ছাড়া অন্য কিছু হওয়া উচিত না।’
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে চাকরিতে এবং প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো পোষ্য কোটা বহাল আছে। সরকার গত ৭ মাসে এ সবের কোনো সমাধান দেয়নি। বৈষম্যমূলক এ সকল কোটা বিলোপ না করলে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলব।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় কোটা পুনর্বহাল করেছে। এ সরকার যে লক্ষ্যে ক্ষমতায় বসেছে, তা সম্পন্ন করতে পারেনি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পুনর্বাসন, রাষ্ট্র সংস্কার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ–কোনো কাজেই তারা সফল হয়নি। বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই। এ পরিস্থিতিগুলো ধামাচাপা দিতে সরকার এটি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটার মাধ্যমে তারা বোঝাতে চায়–জাতীয় নির্বাচনে যারা সাথে থাকবে, তাদের এ সুযোগ-সুবিধাগুলো দেওয়া হবে। এগুলো বলে মানুষকে কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সর্বপ্রথম কোটাব্যবস্থা চালু করা হয় উপদেষ্টা নিয়োগে। ছাত্র কোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। সকল দলের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম থেকে সবাইকে বের করে দেওয়া হয়। কোটার ভিত্তিতে বিভিন্ন কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদদের যত রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার যায়, রাষ্ট্র সবগুলো দিলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কেবল কোটা দিতে পারবে না। কিন্তু রাষ্ট্র তাদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেনি। এখনো দাবি আদায়ের জন্য তাদেরকে রাস্তায় নামতে হয়। শহীদ এবং আহতদের টাকার লোভ দেখিয়ে এখনো নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানো হয়। তাদেরকে বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।’
বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের নামে এতদিন যারা নিরপেক্ষতার সবক দিতেন, তারা এখন আর নিরপেক্ষ নেই। এতদিন রাজনীতির বিরোধিতা করে এখন তাদের একেকজন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী হয়ে গেছে। তারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে রাজনৈতিক প্রতারণা করেছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের এ অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ সময় তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি-হাইস্কুলসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সকল কোটা ও রেলওয়ের চাকরিতে বিদ্যমান পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে; গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারকে এককালীন ১ কোটি টাকা ও আহতদের পঞ্চাশ লাখ টাকা সহায়তা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন—সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক এবং সদস্যসচিব রাকিব হাসান। এ সময় নেতা-কর্মীদের ‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’, ‘২৪ এর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগানও দিতে দেখা যায়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
২১ মিনিট আগেগণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২৭ মিনিট আগেপাটওয়ারী বলেন, ‘যেভাবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষের জয় হয়েছিল, তেমনি আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে এনসিপির শাপলা প্রতীকে দেশের মানুষ ভোটের বিপ্লব ঘটাবে। এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।’
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, মেয়াদ এবং বার—এই বিতর্কে না থেকে এক ব্যক্তি লাইফ টাইমে সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন, আমি সেই প্রস্তাব করেছি।
২ ঘণ্টা আগে