নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সার্চ কমিটি যে দশ জন ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার আগে জনগণের কাছে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ বুধবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশে নীতির আকাল পড়েছে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একজন মাত্র ব্যক্তি একটা দেশের স্বাধীনতা এনেছে এমন ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও নেই। আজকে প্রবাসী সরকার, তাজউদ্দীন, ওসমানীদের মতো লোকেদের কথা যদি না বলি, না স্মরণ করি তবে নেমকহারামি হবে। সরকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্যান্যদের ইতিহাস না বলে নেমকহারামি করছে। বিচারপতি আবু সাঈদ না থাকলে স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুকে জীবিত পেতাম না।’
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারলেই কেবল এই সার্চ কমিটি সফল হবে। সরকার সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে ভূত খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই তো ভূত। তালিকা যাই হোক নির্বাচন কমিশনার তো প্রধানমন্ত্রীই নির্বাচন করবেন। সার্চ কমিটি যে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে দেবে তা আগেই জনগণকে জানাতে হবে যেন সবাই মতামত দিতে পারে।’
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা নির্দলীয় বা জাতীয় বা সর্বদলীয় যাই বলি না কেন তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচনকালীন এই সরকার দায়িত্বে থাকলে তারা আবারও ভানুমতীর খেলা দেখাবে।’
স্মরণ সভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নামে সরকার ফাজলামির সার্চ কমিটি করেছে। রাষ্ট্রপতির সংলাপ ও সার্চ কমিটির সভায় অনেকেই অংশ নেয়নি। যথেষ্ট সময় দিয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত ছিল। নয়তো এই সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে কোন সমাধান হবে না।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘যারা বাকশালের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে জেনারেল ওসমানী অগ্রগামী ছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য এমন বীরদের আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয় না।’ বিদায়ী নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তারা ঠান্ডা মাথায় গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ৷ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
সরকার ইতিহাস দখলের যে পাঁয়তারা করছে তা সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সার্চ কমিটি আইন করে আগে যেভাবে কমিশনার নিয়োগ দিত এখনো তাই করা হচ্ছে। প্রক্রিয়ায় শুধু একটা আইনের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে ৷ এটা যে একটা তামাশা তা কয়েক দিনের মধ্যেই জনগণের সামনে প্রকাশিত হবে। নিয়োগের ক্ষমতা যত দিন না বদলাবে তত দিন নির্বাচন কমিশনের কোন পরিবর্তন হবে না।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন কারা বানিয়েছিল? এই সরকার। নির্বাচন কমিশনার তো নস্যি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মিথ্যা বলার আর্ট শিখতে হবে। এদের জন্য পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে, যাওয়ার জায়গা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. জাহিদ এ রেজার সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ প্রমুখ।
সার্চ কমিটি যে দশ জন ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার আগে জনগণের কাছে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ বুধবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশে নীতির আকাল পড়েছে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একজন মাত্র ব্যক্তি একটা দেশের স্বাধীনতা এনেছে এমন ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও নেই। আজকে প্রবাসী সরকার, তাজউদ্দীন, ওসমানীদের মতো লোকেদের কথা যদি না বলি, না স্মরণ করি তবে নেমকহারামি হবে। সরকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্যান্যদের ইতিহাস না বলে নেমকহারামি করছে। বিচারপতি আবু সাঈদ না থাকলে স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুকে জীবিত পেতাম না।’
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারলেই কেবল এই সার্চ কমিটি সফল হবে। সরকার সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে ভূত খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই তো ভূত। তালিকা যাই হোক নির্বাচন কমিশনার তো প্রধানমন্ত্রীই নির্বাচন করবেন। সার্চ কমিটি যে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে দেবে তা আগেই জনগণকে জানাতে হবে যেন সবাই মতামত দিতে পারে।’
নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা নির্দলীয় বা জাতীয় বা সর্বদলীয় যাই বলি না কেন তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচনকালীন এই সরকার দায়িত্বে থাকলে তারা আবারও ভানুমতীর খেলা দেখাবে।’
স্মরণ সভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নামে সরকার ফাজলামির সার্চ কমিটি করেছে। রাষ্ট্রপতির সংলাপ ও সার্চ কমিটির সভায় অনেকেই অংশ নেয়নি। যথেষ্ট সময় দিয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত ছিল। নয়তো এই সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে কোন সমাধান হবে না।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘যারা বাকশালের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে জেনারেল ওসমানী অগ্রগামী ছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য এমন বীরদের আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয় না।’ বিদায়ী নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তারা ঠান্ডা মাথায় গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ৷ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
সরকার ইতিহাস দখলের যে পাঁয়তারা করছে তা সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সার্চ কমিটি আইন করে আগে যেভাবে কমিশনার নিয়োগ দিত এখনো তাই করা হচ্ছে। প্রক্রিয়ায় শুধু একটা আইনের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে ৷ এটা যে একটা তামাশা তা কয়েক দিনের মধ্যেই জনগণের সামনে প্রকাশিত হবে। নিয়োগের ক্ষমতা যত দিন না বদলাবে তত দিন নির্বাচন কমিশনের কোন পরিবর্তন হবে না।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন কারা বানিয়েছিল? এই সরকার। নির্বাচন কমিশনার তো নস্যি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মিথ্যা বলার আর্ট শিখতে হবে। এদের জন্য পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে, যাওয়ার জায়গা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. জাহিদ এ রেজার সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ প্রমুখ।
বর্তমানে দেশে শ্রমিকসমাজ বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত-নিপীড়িত ও নিষ্পেষিত উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে লক্ষাধিক শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার..
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এবং নির্বাচনের আগে সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা কারও চেয়ে কম নন। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। এ দেশ আপনাদের জন্মভূমি। রাজনৈতিক মত আলাদা হতে পারে, দল ভিন্ন হতে পারে, তবে অধিকার সবারই সমান। সেই অধিকার রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞায় অটল নিজাম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ বিএনপির এই সমর্থকের খোঁজ নিতে বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১ দিন আগে