গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা চায়নি আওয়ামী লীগ কোনো দিন ক্ষমতায় আসুক; যারা চায়নি এ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক, রোগের চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক—তাদের প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ, এই দেশ আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীন করেছে সেটি আমি পূরণ করব।’
আজ শনিবার দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তারই স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। দেশে হতদরিদ্র মাত্র পাঁচ পারসেন্ট। সেটাও যেন না থাকে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটাও হতদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকের জন্য একটি ঘর, একটু জমি ও জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা ইনশা আল্লাহ করতে পারব। এ ছাড়া শিক্ষাদীক্ষাসহ সবদিক থেকে, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি, স্কুলগুলোকে নতুনভাবে তৈরি করে দিচ্ছি, পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছি ও বৃত্তি দিচ্ছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীদের আমরা বৃত্তি দিই। এভাবে আমরা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষকে এমনকি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে এটাই শুধু দোয়া করবেন। যারা আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের আছেন, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সবাই যার যার ধর্মীয়ভাবে সৃষ্টিকর্তার কাছে কামনা করবেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে—সেটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা—এটা তো আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। অপবাদ দিয়েছিল তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারাই জুগিয়েছেন। কোটালীপাড়াবাসী আপনারা আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার নির্বাচন, আমার সবকিছুই আপনারাই দেখেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ার মানুষই হলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিনিধি আন্ডার সেক্রেটারি দেশে আসছেন। অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও আসছেন। আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের দেশের মধ্যে কিছু তো আছেই, যারা দেশের ভালো দেখে না চোখে। চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। কাজেই এসব কিছু এখন আর বলার নেই। কিন্তু এটাই বলব তারা দেখে না, কিন্তু ভোগ করে।’
প্রধানমন্ত্রী কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের ফসল আমাদের ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা আমরা পূরণ করব। যা উদ্বৃত্ত থাকবে তা অন্যকে দিতে পারব। আমরা খাদ্য সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করছি। এলাকায় এলাকায় সে ব্যবস্থা নেব। শুধু এটুকুই বলব, কোথাও যেন কোনো অনাবাদি জমি না থাকে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টির মধ্যে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এটা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। সবাইকে আহ্বান করেছি, অন্তত তিনটি করে গাছ লাগান। এর মধ্যে একটি ফলদ, একটি বনজ ও একটি ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। এগুলো করেই আমরা লাভবান হব। এ ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা দেব।’
কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম হুমায়ূন কবীর, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, কামাল হোসেন শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা চায়নি আওয়ামী লীগ কোনো দিন ক্ষমতায় আসুক; যারা চায়নি এ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক, রোগের চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক—তাদের প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ, এই দেশ আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীন করেছে সেটি আমি পূরণ করব।’
আজ শনিবার দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তারই স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। দেশে হতদরিদ্র মাত্র পাঁচ পারসেন্ট। সেটাও যেন না থাকে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটাও হতদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকের জন্য একটি ঘর, একটু জমি ও জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা ইনশা আল্লাহ করতে পারব। এ ছাড়া শিক্ষাদীক্ষাসহ সবদিক থেকে, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি, স্কুলগুলোকে নতুনভাবে তৈরি করে দিচ্ছি, পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছি ও বৃত্তি দিচ্ছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীদের আমরা বৃত্তি দিই। এভাবে আমরা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষকে এমনকি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে এটাই শুধু দোয়া করবেন। যারা আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের আছেন, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সবাই যার যার ধর্মীয়ভাবে সৃষ্টিকর্তার কাছে কামনা করবেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে—সেটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা—এটা তো আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। অপবাদ দিয়েছিল তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারাই জুগিয়েছেন। কোটালীপাড়াবাসী আপনারা আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার নির্বাচন, আমার সবকিছুই আপনারাই দেখেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ার মানুষই হলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিনিধি আন্ডার সেক্রেটারি দেশে আসছেন। অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও আসছেন। আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের দেশের মধ্যে কিছু তো আছেই, যারা দেশের ভালো দেখে না চোখে। চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। কাজেই এসব কিছু এখন আর বলার নেই। কিন্তু এটাই বলব তারা দেখে না, কিন্তু ভোগ করে।’
প্রধানমন্ত্রী কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের ফসল আমাদের ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা আমরা পূরণ করব। যা উদ্বৃত্ত থাকবে তা অন্যকে দিতে পারব। আমরা খাদ্য সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করছি। এলাকায় এলাকায় সে ব্যবস্থা নেব। শুধু এটুকুই বলব, কোথাও যেন কোনো অনাবাদি জমি না থাকে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টির মধ্যে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এটা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। সবাইকে আহ্বান করেছি, অন্তত তিনটি করে গাছ লাগান। এর মধ্যে একটি ফলদ, একটি বনজ ও একটি ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। এগুলো করেই আমরা লাভবান হব। এ ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা দেব।’
কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম হুমায়ূন কবীর, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, কামাল হোসেন শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
৩ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতি করতে গিয়ে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশকে একটি তাঁবেদারি রাষ্ট্রে, একটি বিশাল বড় জেলখানায় পরিণত করেছিল। বর্তমানে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও যাঁরা মনে করছেন নির্বাচন দিলে জনগণ ভোট দিয়ে বিএনপিকে সরকার গঠনে সহায়তা করবে, যাঁরা এ চিন্তা থেকে বিএনপির বিজয়...
৫ ঘণ্টা আগেজামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পরে মানুষের মধ্যে নতুন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। মানুষ আসলে আগামী দিনের জন্য একটা সুন্দর পলিটিক্যাল সিস্টেম চায়। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ এখন পিআরের পক্ষে মত দিচ্ছে। আমরা চাই, সবাই যেন বেস্ট পলিসিটা গ্রহণ করে নেয়। এতে দেশের মঙ্গল।’
৬ ঘণ্টা আগেনাশকতার অভিযোগে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় করা এক মামলা থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৬৫ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন অব্যাহতির এই আদেশ দেন।
৮ ঘণ্টা আগে