Ajker Patrika

দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না জিএম কাদের: সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না জিএম কাদের: সুপ্রিম কোর্ট

হাইকোর্টের রুল উপেক্ষা করে কাউন্সিলে অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের আলোকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। 

নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। 

সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশটা ডিসমিস করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে নিম্ন আদালত তাঁর দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার যে আদেশ দিয়েছিলেন সেটা বহাল থাকল।’ 

এর আগে দলের কার্যক্রমে জিএম কাদের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে আদেশ দেন আদালত। পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন কাদের। তাতে বিচারিক আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করা হয়। এরপর আপিল বিভাগে গেলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। 

উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করার জন্য তিনি মামলা করেন জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের ওপর শুনানি হয় গত ৩১ অক্টোবর। 

মামলায় জিয়াউল হক উল্লেখ করেন, জিএম কাদের পার্টির কো-চেয়ারম্যান। তিনি নিজেকে নিজে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। পার্টি সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরশাদ অসুস্থ থাকার সুযোগে জিএম কাদের তাঁকে ভুল বুঝিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা শিরোনামে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিজে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং পরে চেয়ারম্যান বনে যান। এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। জিএম কাদেরের উক্ত কার্যকলাপে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে ও পার্টিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। 

জিয়াউল হক আরও উল্লেখ করেন, জি এম কাদের ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ও সম্মেলন আহ্বান করেন। ওই সম্মেলন বেআইনি ও স্থগিত ঘোষণার জন্য বাদী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট রোল জারি করার পরও সম্মেলন স্থগিত না করে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন জিএম কাদের। ওই সম্মেলনে একটি গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। যেহেতু হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন সেতু ওই গঠনতন্ত্র অবৈধ এবং বেআইনি। যেহেতু জিএম কাদের অবৈধভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করেন সেহেতু জিয়াউল হককে বহিষ্কারাদেশও বেআইনি। 

আরো পড়ুন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মোদির সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর

মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত