ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা: সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আজকে হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সবকিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটো পাস দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মানববন্ধন থেকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে ঘোষণা না আসলে জুলাইয়ের শুরুতে শাহবাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
আবাসিক হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা পরীক্ষা নেবেন, কিন্তু হল খুলবেন না। এর চেয়ে বড় ভুল কি কিছু হতে পারে? ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে নাকি রাস্তায় থাকবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে আসা। হল না খুললে, তারা শহরে এসে কোথায় থাকবে? প্রশ্ন তুলেন ডা. জাফরুল্লাহ
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহ-ই যথেষ্ট। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করব। উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সত্যটা তুলে ধরব। বাংলাদেশে কত পুলিশ আছে যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেবে না। অন্ধকারের লুকিয়ে থাকলে দেশ তো আরও অন্ধকারে ডুবে যাবে। সুতরাং একটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন দরকার।
সরকার সবকিছুতে ‘ভুল পথে হাঁটছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশে দরকার ২০ কোটি ভ্যাকসিন, আর আমরা দু-চার লাখের পেছনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সরকার সবকিছুতেই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই বিনা ভোটের ভুল সরকারের সকল সিদ্ধান্তই ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংসদে আজ পরীমণি নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না। বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার। এই সরকার সব ভুল সিদ্ধান্ত নেবে, এটাই স্বাভাবিক।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের একজন বিদ্বান শিক্ষামন্ত্রী আছেন, উনি কিছুদিন আগে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে তার ওপরে নাকি চাপ নাই, কেউ চাচ্ছে না এগুলো খোলা হোক। অথচ তিনি দেখছেন না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে কিন্ডার গার্টেনের একজন প্রিন্সিপাল নিজেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে পাওনা শোধ করেছেন, তারপর গ্রামে গিয়ে বাজারে চা বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, এমনকি অনেক শিক্ষিত মানুষ তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আজকে তারা ভ্যান গাড়ি চালায়, রিকশা চালায়। বাংলাদেশের শিক্ষার চূড়ান্ত অপমান হচ্ছে, আর বসে বসে ঢুগঢুগি বাজায় যে, আমরা উন্নতির মহাসড়কে উঠে গেছি।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, অভিভাবকদের অনেকে ফেসবুকে লিখেছেন, কচি কিশোর, কেবল যৌবনে পা দিচ্ছে, তার অনলাইন ক্লাসের নামে ইন্টারনেটে ঢুকে আজ সমস্ত অশ্লীলতার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা কী প্রজন্ম তৈরি করছি? শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছেন, ছাত্রদের ধ্বংস করে ফেলছেন, শিক্ষকদের শেষ পর্যন্ত ভিক্ষা-ভিত্তিতে নামালেন।
তিনি আরও বলেন, এমন একটি পরিস্থিতির প্রতিকার দরকার। এই সমাবেশই শেষ নয়, আমরা পুরো ঢাকা শহরের হাঁটব আর দাবি করব, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই। ছাত্রদের বাঁচাতে চাই, দেশ বাঁচাতে চাই। আর দেশ যারা ধ্বংস করছে, তাদের ধ্বংস চাই। বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে আমরা রাজপথে নামব।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা জানি, একটি জাতিকে যদি ধ্বংস করতে হয়, তাহলে তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হবে। তরুণদের মেধাবিকাশের পথকে রুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই সেই জাতি আর সামনে এগোতে পারবে না, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। আজ যে কাজটা হচ্ছে, এটা আত্মঘাতী। আমি এর কোনো কারণ খুঁজে পাই না।
অনলাইন ক্লাস শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য তৈরি করছে দাবি করে তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের অনেকের স্মার্টফোন বা ডিভাইস নেই, কারও ডিভাইস থাকলেও সেখানে ইন্টারনেটের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এই বৈষম্য দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ছেলে-মেয়েরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের প্রতি এই বিমাতাসুলভ আচরণের পরিণতি ভয়ানক হবে।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আজকে সরকার মনে করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়বে এবং সেই বিক্ষোভ নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মতো ছড়িয়ে পড়বে। তাহলে সরকার পালাবার পথও খুঁজে পাবে না। সেই জন্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই, ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের ব্যানারে আজকে আমরা রিহার্সাল দিলাম। আমরা সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, ৩০ জুনের মধ্যে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা না দেওয়া হয়, তাহলে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা বাধ্য হব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিতে। তখন কিন্তু আপনার সঙ্গে আমাদের খেলা হবে। সেই খেলাতে আপনি আসেন, সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই, দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেন।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা: সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আজকে হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সবকিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটো পাস দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মানববন্ধন থেকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে ঘোষণা না আসলে জুলাইয়ের শুরুতে শাহবাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
আবাসিক হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা পরীক্ষা নেবেন, কিন্তু হল খুলবেন না। এর চেয়ে বড় ভুল কি কিছু হতে পারে? ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে নাকি রাস্তায় থাকবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে আসা। হল না খুললে, তারা শহরে এসে কোথায় থাকবে? প্রশ্ন তুলেন ডা. জাফরুল্লাহ
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহ-ই যথেষ্ট। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করব। উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সত্যটা তুলে ধরব। বাংলাদেশে কত পুলিশ আছে যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেবে না। অন্ধকারের লুকিয়ে থাকলে দেশ তো আরও অন্ধকারে ডুবে যাবে। সুতরাং একটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন দরকার।
সরকার সবকিছুতে ‘ভুল পথে হাঁটছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশে দরকার ২০ কোটি ভ্যাকসিন, আর আমরা দু-চার লাখের পেছনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সরকার সবকিছুতেই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই বিনা ভোটের ভুল সরকারের সকল সিদ্ধান্তই ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংসদে আজ পরীমণি নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না। বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার। এই সরকার সব ভুল সিদ্ধান্ত নেবে, এটাই স্বাভাবিক।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের একজন বিদ্বান শিক্ষামন্ত্রী আছেন, উনি কিছুদিন আগে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে তার ওপরে নাকি চাপ নাই, কেউ চাচ্ছে না এগুলো খোলা হোক। অথচ তিনি দেখছেন না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে কিন্ডার গার্টেনের একজন প্রিন্সিপাল নিজেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে পাওনা শোধ করেছেন, তারপর গ্রামে গিয়ে বাজারে চা বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, এমনকি অনেক শিক্ষিত মানুষ তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আজকে তারা ভ্যান গাড়ি চালায়, রিকশা চালায়। বাংলাদেশের শিক্ষার চূড়ান্ত অপমান হচ্ছে, আর বসে বসে ঢুগঢুগি বাজায় যে, আমরা উন্নতির মহাসড়কে উঠে গেছি।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, অভিভাবকদের অনেকে ফেসবুকে লিখেছেন, কচি কিশোর, কেবল যৌবনে পা দিচ্ছে, তার অনলাইন ক্লাসের নামে ইন্টারনেটে ঢুকে আজ সমস্ত অশ্লীলতার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা কী প্রজন্ম তৈরি করছি? শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছেন, ছাত্রদের ধ্বংস করে ফেলছেন, শিক্ষকদের শেষ পর্যন্ত ভিক্ষা-ভিত্তিতে নামালেন।
তিনি আরও বলেন, এমন একটি পরিস্থিতির প্রতিকার দরকার। এই সমাবেশই শেষ নয়, আমরা পুরো ঢাকা শহরের হাঁটব আর দাবি করব, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই। ছাত্রদের বাঁচাতে চাই, দেশ বাঁচাতে চাই। আর দেশ যারা ধ্বংস করছে, তাদের ধ্বংস চাই। বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে আমরা রাজপথে নামব।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা জানি, একটি জাতিকে যদি ধ্বংস করতে হয়, তাহলে তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হবে। তরুণদের মেধাবিকাশের পথকে রুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই সেই জাতি আর সামনে এগোতে পারবে না, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। আজ যে কাজটা হচ্ছে, এটা আত্মঘাতী। আমি এর কোনো কারণ খুঁজে পাই না।
অনলাইন ক্লাস শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য তৈরি করছে দাবি করে তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের অনেকের স্মার্টফোন বা ডিভাইস নেই, কারও ডিভাইস থাকলেও সেখানে ইন্টারনেটের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এই বৈষম্য দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ছেলে-মেয়েরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের প্রতি এই বিমাতাসুলভ আচরণের পরিণতি ভয়ানক হবে।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আজকে সরকার মনে করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়বে এবং সেই বিক্ষোভ নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মতো ছড়িয়ে পড়বে। তাহলে সরকার পালাবার পথও খুঁজে পাবে না। সেই জন্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই, ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকের ব্যানারে আজকে আমরা রিহার্সাল দিলাম। আমরা সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, ৩০ জুনের মধ্যে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা না দেওয়া হয়, তাহলে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা বাধ্য হব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিতে। তখন কিন্তু আপনার সঙ্গে আমাদের খেলা হবে। সেই খেলাতে আপনি আসেন, সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই, দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেন।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বক্তব্য রাখেন।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে গেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ৯ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে
১০ ঘণ্টা আগেলন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশ একটি নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেএনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
১৩ ঘণ্টা আগেগণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে