নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে বিএনপির সঙ্গে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলনের ঐকমত্য হয়েছে। পাশাপাশি এসব দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচির বিষয়েও একমত হয়েছেন উভয় দলের নেতারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সামনে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এসব বিষয় তুলে ধরেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত উভয় দলের প্রতিনিধিরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবেই গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে এ আলোচনা করে বিএনপি। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও অংশ নেন।
আলোচনা শেষে জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে যে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে, যেভাবে এই শাসন জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে, জনগণকে বিভক্ত করছে, পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তাতে আমরা উভয় দল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করি। এই বাস্তবতা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণে আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছি।’
বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান জোনায়েদ সাকি। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সাংবিধানিক ক্ষমতা কাঠামোর বদল দরকার; সংবিধান সংস্কার, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে; উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে সুস্পষ্ট নিয়ম প্রণয়ন; সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার; স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য; ডিজিটাল আইন বাতিল ইত্যাদি। সাকি বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগের পর বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে বিএনপির প্রতিনিধি দল গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলাম। আশার কথা যে, আমরা অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা একমত হয়েছি। আমরা একমত হয়েছি, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো মতভেদ নেই; শব্দের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থাকতে পারে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে বিএনপির সঙ্গে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলনের ঐকমত্য হয়েছে। পাশাপাশি এসব দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচির বিষয়েও একমত হয়েছেন উভয় দলের নেতারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সামনে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এসব বিষয় তুলে ধরেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত উভয় দলের প্রতিনিধিরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবেই গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে এ আলোচনা করে বিএনপি। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও অংশ নেন।
আলোচনা শেষে জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে যে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে, যেভাবে এই শাসন জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে, জনগণকে বিভক্ত করছে, পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তাতে আমরা উভয় দল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করি। এই বাস্তবতা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণে আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছি।’
বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান জোনায়েদ সাকি। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সাংবিধানিক ক্ষমতা কাঠামোর বদল দরকার; সংবিধান সংস্কার, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে; উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে সুস্পষ্ট নিয়ম প্রণয়ন; সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার; স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য; ডিজিটাল আইন বাতিল ইত্যাদি। সাকি বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগের পর বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে বিএনপির প্রতিনিধি দল গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলাম। আশার কথা যে, আমরা অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা একমত হয়েছি। আমরা একমত হয়েছি, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো মতভেদ নেই; শব্দের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থাকতে পারে।’
আওয়ামী লীগের বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এবং নির্বাচনের আগে সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা কারও চেয়ে কম নন। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। এ দেশ আপনাদের জন্মভূমি। রাজনৈতিক মত আলাদা হতে পারে, দল ভিন্ন হতে পারে, তবে অধিকার সবারই সমান। সেই অধিকার রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
৬ ঘণ্টা আগেবিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞায় অটল নিজাম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ বিএনপির এই সমর্থকের খোঁজ নিতে বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১ দিন আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ-সংক্রান্ত মামলা ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’-এর রায় এবং এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ও কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং তা নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা
১ দিন আগে