Ajker Patrika

বরিশালের জনসভায় কৃষক লীগ নেতার মৃত্যু সংঘর্ষে নয়, হার্ট অ্যাটাকে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ০৬
বরিশালের জনসভায় কৃষক লীগ নেতার মৃত্যু সংঘর্ষে নয়, হার্ট অ্যাটাকে: ওবায়দুল কাদের

বরিশালের জনসভাস্থলে প্রবেশের সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জনসভায় মারা যায়নি! হাসপাতালে মারা গেছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে, ডাক্তার তাই বলেছে। কী নানক, ঠিক আছে?’ 

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদের যখন কথা বলছিলেন, সে সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক তাঁর পাশের চেয়ারে বসা ছিলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনী সংঘর্ষ দেশে দেশেই হয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশে আরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। তাই বলে সত্যকে আমরা অস্বীকার করব কেন? এটা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। আর কয়টা নিহত হয়েছে, বলেন? নিহত হোয়ার আর কোনো ঘটনা আছে কি? তার তো সংঘর্ষে মৃত্যু হয়নি। একটা লোকের হার্ট অ্যাটাক হতে পার, স্ট্রোক হতে পারে অথবা উত্তেজনা থেকেও হতে পারে। সে মারা গেছে কিন্তু হাসপাতালে। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’ 

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করব ইনশাআল্লাহ। এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য সারা বাংলাদেশে আমাদের নেতা-কর্মীদের যার যা দায়িত্ব, তা পালনের জন্য সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাব, যারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়, সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ 
 
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। এই নির্বাচনে উপস্থিতি কেমন হবে? শেখ হাসিনার জনসভাগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে। সেখান থেকেও তারা টের পাচ্ছে না মানুষ কত উৎসবমুখর, মানুষ কত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ৭ জানুয়ারি ভোটার টার্ন-আউট, যেটা নিয়ে তারা সন্দেহ করছে, লিফলেট বিতরণ করছে মানুষ যেন ভোট না দেয়! এমনও হতে পারে তারা লাশ বানিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে, মানুষ যেন ভোটকেন্দ্র না আসে।’ এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে দমনের জন্য ও নির্বাচনে আসতে না দিতেই আওয়ামী লীগ মামলা-গ্রেপ্তার করছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম, নেতিবাচক রাজনীতির দ্বারা নিজেদের নিশ্চিহ্ন করেছে। এটার জন্য আর কারও দরকার হবে না। বিএনপির অপরাজনীতি তাদের ধ্বংসের জন্য দায়ী হবে, অন্য কারও প্রয়োজন নেই। বিএনপির অপকর্মই বিএনপিকে গভীর খাদে ফেলে দিয়েছে।’ 

বিএনপি এখন সংলাপ চাইছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংলাপের কথা বলছে? নির্বাচন হোক। নির্বাচন হওয়ার পরে আমরা দেখব, সংলাপ করার কোনো সুযোগ আছে কি না।’ 

বাজারে দ্রব্যমূল্যসহ অর্থনীতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংকট তো কিছু আছে। সেটা তো বিশ্বের। এই সংকটের জন্য তো আমরা দায়ী না। সংকট যারা সৃষ্টি করছে, তারা বড় বড় শক্তি। আমরা গরিব দেশগুলো তার শাস্তি পাচ্ছি। অপরাধটা তাদের, শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমরা যারা অপেক্ষাকৃত গরিব, অনুন্নত, সবেমাত্র উন্নয়নশীল দেশে মর্যাদা পেতে যাচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তা না হলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দ্রব্যমূল্যের বিষয়টা কমাতে হবে। এ ব্যাপারেও আমাদের ইশতেহারে ঘোষণা আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। উদ্বেগ থাকার কারণেই দ্রব্যমূল্য কমানোর তাগিদ আছে। সেটা আমরা অনুভব করি। আমরা প্রায়োগিক বাস্তবতায় ও দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের জীবনে খুব কঠিন অবস্থা সৃষ্টি করতে না পারে, যতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সে ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

হেফাজতের সমাবেশে জুলাইয়ের নারীদের গালিগালাজের নিন্দা জানাই: রিফাত রশিদ

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নেই ১ শতাংশও

জামায়াতের ‘রোহিঙ্গা রাজ্যের প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমার সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত