নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বিলুপ্ত করা, সংবিধানে প্রস্তাবিত বহুত্ববাদ বাতিলসহ পাঁচ দাবিতে আয়োজিত হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। সংগঠনের নায়েবে আমির ও খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, জাতি রাস্তায় নামলে, হেফাজত রাস্তায় নামলে কোনো উপদেষ্টা দেশে থাকতে পারবেন না।
আজ শনিবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
এদিন সকাল ৭টা থেকেই বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। তাদের হাতে কালেমা লেখা, ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা দেখা গেছে।
সমাবেশে আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা মুসলিমদের পক্ষ থেকে দাবি করছি, যে নারী সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই কমিশন রেখে কোনো সংস্কার হবে না। আমরা দাবি করছি, এই কমিশন যে প্রস্তাব পেশ করেছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। জাতি তা প্রত্যাহার করেছে। আর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, ‘যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা পরবর্তী সময়ে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের নামানোর ব্যবস্থা করবেন না। যদি জাতি নেমে যায়, হেফাজত নেমে যায়, তাহলে কোনো উপদেষ্টা এ দেশে থাকতে পারবেন না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যেই আওয়ামী লীগ আমাদের দাঁড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদের বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে রাস্তায় নামিয়ে এনে হত্যা করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে আর জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। শহীদদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না। এই সংস্কার আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আলেম-ওলামাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা নারীবাদী নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে সরে যাবেন না। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ভারতের সাম্রাজ্যবাদীর বিরুদ্ধে লড়াই। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ইসলামের জন্য আমাদের লড়াই। তাই আপনারা এই ছোট বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করবেন ঠিকই, কিন্তু এর পেছনে বেশি সময় দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাবেন না। এ জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা একটু ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।’
সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক। ঘোষণাপত্রে ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠিত এই মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুল হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক প্রমুখ।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বিলুপ্ত করা, সংবিধানে প্রস্তাবিত বহুত্ববাদ বাতিলসহ পাঁচ দাবিতে আয়োজিত হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। সংগঠনের নায়েবে আমির ও খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, জাতি রাস্তায় নামলে, হেফাজত রাস্তায় নামলে কোনো উপদেষ্টা দেশে থাকতে পারবেন না।
আজ শনিবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
এদিন সকাল ৭টা থেকেই বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। তাদের হাতে কালেমা লেখা, ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা দেখা গেছে।
সমাবেশে আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা মুসলিমদের পক্ষ থেকে দাবি করছি, যে নারী সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই কমিশন রেখে কোনো সংস্কার হবে না। আমরা দাবি করছি, এই কমিশন যে প্রস্তাব পেশ করেছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। জাতি তা প্রত্যাহার করেছে। আর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, ‘যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা পরবর্তী সময়ে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের নামানোর ব্যবস্থা করবেন না। যদি জাতি নেমে যায়, হেফাজত নেমে যায়, তাহলে কোনো উপদেষ্টা এ দেশে থাকতে পারবেন না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যেই আওয়ামী লীগ আমাদের দাঁড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদের বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে রাস্তায় নামিয়ে এনে হত্যা করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে আর জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। শহীদদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না। এই সংস্কার আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আলেম-ওলামাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা নারীবাদী নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে সরে যাবেন না। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ভারতের সাম্রাজ্যবাদীর বিরুদ্ধে লড়াই। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ইসলামের জন্য আমাদের লড়াই। তাই আপনারা এই ছোট বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করবেন ঠিকই, কিন্তু এর পেছনে বেশি সময় দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাবেন না। এ জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা একটু ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।’
সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক। ঘোষণাপত্রে ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠিত এই মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুল হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
৪ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৭ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৮ ঘণ্টা আগে