Ajker Patrika

সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার প্রজ্ঞাপনের পরদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংসদে সংখ্যানুপাতির প্রতিনিধিত্ব প্রদ্ধতি, প্রবাসী ভোট, ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে দলটি।

আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতের প্রতিনিধি দল। নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক পুনর্বহালের পর এটি দলটির পক্ষ থেকে প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আদালতের আদেশে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৈঠক শেষে ‘কেড়ে নেওয়া অধিকার ফিরে পেয়েছে’ মন্তব্য করে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘প্রতীকসহ নিবন্ধন পুনর্বহাল করায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। অন্যায়-অবিচার ধামাচাপা দিয়ে জোরপূর্বক রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ন্যায়কে চাপিয়ে রাখা যায় না। বিগত সরকারের আমলে একেবার অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়; পরবর্তীতে দাঁড়িপাল্লা দলীয় প্রতীকও কেড়ে নেওয়া হয়। চরম অন্যায় করা হয়েছিল। আমাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। গতকালের গেজেট আমাদের সেই অধিকার আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফিরে এসেছে এবং দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে।’

এ জামায়াত নেতা জানান, ‘আদালতের আদেশের পর গেজেট প্রকাশে গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়েছে। আমরা এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। এখন আগামী নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে অংশ নেব। জনগণের পছন্দের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার যে বাধা ছিল এটা উঠে গিয়েছে এবং এটা আরেকটা নতুন দৃষ্টান্ত হয়েছে।’

ইসির সঙ্গে বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে (পিআর) ভোটের বিষয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পিআর পদ্ধতি হচ্ছে সুন্দর পদ্ধতি। ইসির কাছেও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমাদের আজকের ইস্যু ছিল, সেটা হল লোকাল গভর্নমেন্ট ইলেকশন। আমরা বারবার দাবি করেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কেয়ারটেকার সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেই ফর্মে সরকার থাকুক না কেন নির্বাচনের আগে একটি সরকার আছে এবং সেই কিন্তু ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে এবং সব দল কিন্তু এভাবে একমত হয়েছে। সেই সরকারে অধীনে যদি ‘লোকাল গভমেন্ট ইলেকশন’ হয় তাহলে এটা অনেক বেশি ফেয়ার এবং গ্রহণযোগ্য হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি করে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘ন্যাশনাল ইলেকশন সামনে হবে। আমাদের দাবি, ন্যাশনাল ইলেকশনের আগে লোকাল গভমেন্ট ইলেকশন করা। এটা এবারের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেই ফর্মে নির্দলীয় সরকার আসবে তার অধীনে করা।’

এ নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আযাদ বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি ইলেকশন কমিশন, সরকার সবকিছু আমরা অবজার্ভ করে চলেছি। সুতরাং এই জায়গায় আস্থা-অনাস্থার বিষয়টা নিয়ে আমরা এখনই মন্তব্য করছি না। আমরা অবজার্ভ করছি এবং এ পর্যন্ত যে জায়গায় সঠিক কাজ করেছে আমরা সেটা সঠিক বলব। কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলব। যদি ব্যত্যয় ঘটে সে জায়গায় কথা বলতে হবে। এজন্য আমরা অবজার্ভ করছি। আমরা আশাবাদী উনারা ভবিষ্যতে জন আস্থাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবে।’

সিইসির সঙ্গে এ বৈঠকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকারও উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত