নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যাসহ ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় যে সমস্যা রয়েছে তার দ্রুত সমাধানে ভারতকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিভাগের প্রধান বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়ালের সঙ্গে আজ সোমবার এক বৈঠকে এমন আহ্বান জানান নেতারা। রাজধানীর একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন নেতারা।
জোটের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ।
বৈঠকে বিজেপি নেতা বিজয় মুরলিধর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে বাংলাদেশে এসেছেন বলে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে আমির হোসেন আমু আলোচনার ব্যাপারে বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে তারা বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন জায়গায় সংযোগ স্থাপন করছেন। ভারত সম্পর্কে আমাদের মতামত, আমরা কি চায়, কোনো ব্যতিক্রম আছে কিনা ইত্যাদি নানান বিষয়। মূলত সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য যা যা জানা ও বোঝার দরকার, সেগুলোর বোঝাপড়া করার জন্যই তাদের এই আগমন।
তিস্তার অভিন্ন পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে উদ্বেগের কথা বিজেপি নেতা জানিয়েছেন বলে জানান আমু। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় শুনি যে আসামে যারা মাইগ্রেট করেছে, তাদের ফেরত দেওয়া … এগুলো যাতে না হয়। এটা নিয়ে আমাদের স্পর্শকাতর ব্যাপার রয়েছে। এটা আমরা তুলে ধরেছি। উনি বলেছেন, আমাদের বক্তব্য যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেবেন এবং এই ব্যাপারে তার ভূমিকা রাখবেন।’
বিষয়গুলো নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। এখন নতুন করে আশাব্যঞ্জক কোনো কিছু বলেছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ‘এর বেশি আশাব্যঞ্জক কি বলবে? এটা দলীয় আলোচনা, সরকারি পর্যায়ের না। তিনিও সরকারে নাই, আমরাও সরকারে নাই। তিনি সরকারি দলের লোক, আমরাও সরকারি দলের লোক। এখন আলোচনা হতে হতে একটা সমাধান আসবে। অনেকবারই অনেক আলোচনা হবে। যেটা আপনারা উত্থাপন করেছেন, সেটা সঠিক। যেটা আলোচনা হয়, আশ্বাস হয়, কিন্তু হয় না। কিন্তু এইভাবে হতে হতে একটা সময় সমাধান হতে হবে।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান আমির হোসেন আমু।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৪ দলীয় জোটের এক নেতা বলেন, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানি বণ্টন, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের ভারতের ট্রানজিটের সমস্যার সমাধান করার জন্য বলেছি। আমরা বলেছি, এটা দ্বিপক্ষীয় সমস্যা, এর সমাধান না হলে এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো দুই দেশের সম্পর্ক অবনতির কাজে ব্যবহার করে। তাই সম্পর্ক ঠিক রাখতে হলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এই সুযোগ দেওয়া উচিত না। তাই আপনাদের সমস্যার সমাধান করা উচিত।’
এই নেতা বলেছেন, ‘উনি (বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়াল) আমাদের বলেছেন, ভারত সরকারকে এই সফরের বিষয়গুলো পজেটিভলি বলব সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে নিতে। বাংলাদেশের উদ্বেগগুলো আমরা বুঝছি।’
এর আগে দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যাসহ ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় যে সমস্যা রয়েছে তার দ্রুত সমাধানে ভারতকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিভাগের প্রধান বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়ালের সঙ্গে আজ সোমবার এক বৈঠকে এমন আহ্বান জানান নেতারা। রাজধানীর একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন নেতারা।
জোটের নেতাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ।
বৈঠকে বিজেপি নেতা বিজয় মুরলিধর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে বাংলাদেশে এসেছেন বলে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে আমির হোসেন আমু আলোচনার ব্যাপারে বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে তারা বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন জায়গায় সংযোগ স্থাপন করছেন। ভারত সম্পর্কে আমাদের মতামত, আমরা কি চায়, কোনো ব্যতিক্রম আছে কিনা ইত্যাদি নানান বিষয়। মূলত সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য যা যা জানা ও বোঝার দরকার, সেগুলোর বোঝাপড়া করার জন্যই তাদের এই আগমন।
তিস্তার অভিন্ন পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে উদ্বেগের কথা বিজেপি নেতা জানিয়েছেন বলে জানান আমু। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় শুনি যে আসামে যারা মাইগ্রেট করেছে, তাদের ফেরত দেওয়া … এগুলো যাতে না হয়। এটা নিয়ে আমাদের স্পর্শকাতর ব্যাপার রয়েছে। এটা আমরা তুলে ধরেছি। উনি বলেছেন, আমাদের বক্তব্য যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেবেন এবং এই ব্যাপারে তার ভূমিকা রাখবেন।’
বিষয়গুলো নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। এখন নতুন করে আশাব্যঞ্জক কোনো কিছু বলেছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ‘এর বেশি আশাব্যঞ্জক কি বলবে? এটা দলীয় আলোচনা, সরকারি পর্যায়ের না। তিনিও সরকারে নাই, আমরাও সরকারে নাই। তিনি সরকারি দলের লোক, আমরাও সরকারি দলের লোক। এখন আলোচনা হতে হতে একটা সমাধান আসবে। অনেকবারই অনেক আলোচনা হবে। যেটা আপনারা উত্থাপন করেছেন, সেটা সঠিক। যেটা আলোচনা হয়, আশ্বাস হয়, কিন্তু হয় না। কিন্তু এইভাবে হতে হতে একটা সময় সমাধান হতে হবে।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান আমির হোসেন আমু।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৪ দলীয় জোটের এক নেতা বলেন, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানি বণ্টন, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের ভারতের ট্রানজিটের সমস্যার সমাধান করার জন্য বলেছি। আমরা বলেছি, এটা দ্বিপক্ষীয় সমস্যা, এর সমাধান না হলে এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো দুই দেশের সম্পর্ক অবনতির কাজে ব্যবহার করে। তাই সম্পর্ক ঠিক রাখতে হলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এই সুযোগ দেওয়া উচিত না। তাই আপনাদের সমস্যার সমাধান করা উচিত।’
এই নেতা বলেছেন, ‘উনি (বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়াল) আমাদের বলেছেন, ভারত সরকারকে এই সফরের বিষয়গুলো পজেটিভলি বলব সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে নিতে। বাংলাদেশের উদ্বেগগুলো আমরা বুঝছি।’
এর আগে দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিজয় মুরলিধর চৌথাইওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন বাংলাদেশ গড়তে গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের উদ্যোগ নিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির আশ্বাস দেওয়ায় তখন সে কর্মসূচি স্থগিত করে সংগঠনটি। কিন্তু এরপর ৬
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শতভাগ প্রস্তাবের সঙ্গে সব পক্ষের একমত হওয়ার বিষয়ে চাপাচাপির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে বিষয়গুলোতে সব দল একমত হবে, সেগুলো নিয়েই জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন সব বিষয়ে ঐকমত্যের জন্য বাধ্য
৪ ঘণ্টা আগেক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচি থাকবে। এতে অংশ নেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৭ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার মুরাদনগরে সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার (২৯ জুন) এক বিবৃতিতে ওই ঘটনাকে ‘নির্মম কলঙ্কজনক ঘৃণ্য’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে