বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দাবি আদায়ের জন্য কিছু লোক জোগাড় করে রাস্তা বন্ধ করা এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সত্য-অসত্য অভিযোগ তুলে মব দ্বারা মানুষকে আক্রমণ করা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সভ্য রাজনৈতিক বিতর্ক করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ শনিবার এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে অষ্টম বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের আয়োজক। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়।
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারা চালুর বিষয়ে একটি অধিবেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, কেবল সাইনবোর্ড থাকলেই রাজনৈতিক দল হয়ে যায় না। প্রকৃত রাজনৈতিক দলের গণভিত্তি থাকে। দেশে গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থক আছে। জামায়াতের কোথাও কোথাও অবস্থান আছে। একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হোক বা না হোক, এটিই বাস্তবতা। এখন আরেকটি দল গঠনের কথা বলা হচ্ছে। নতুন দলটির আসল পরীক্ষা হবে, যখন তারা নির্বাচনে বড় দলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে।
টাকার-ক্ষমতা এখন রাজনীতিকে বেঁধে ফেলেছে, এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন কোনো তফাত নেই। জাতীয় সংসদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রত্যেকের আর্থিক স্বার্থ আছে। আওয়ামী লীগের ছেড়ে যাওয়া ব্যবসার জায়গাগুলো এখন অন্যরা দখল করেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে গণতন্ত্র চর্চার জন্য সংস্কার কমিশনগুলো কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। রেহমান সোবহান বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত করার মধ্য দিয়ে আমলাতন্ত্রকে অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দলীয় পরিচিতির কারণে একটি কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক আমলাতন্ত্র অন্তর্বর্তী সরকারও পাচ্ছে না।
সিপিডির চেয়ারম্যান বলেন, ভোটে যাঁরা জেতে, তাঁরা সবকিছু নিয়ে নেন। এরপর আর্থিক সুবিধা হারানোর পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা ক্ষমতা ছাড়তে চান না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দূরে সরিয়ে রাখতে বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দলগুলোর যাঁরা ক্ষমতায় আসার কথা ভাবছেন, তাঁরা কী বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা দেবেন?
সংস্কার একটি জটিল প্রক্রিয়া, এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কী করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
সম্মেলনের কয়েকটি অধিবেশনে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দল ও সরকারগুলোর নীতিনির্ধারকদের কথা ও কাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিল না থাকার কারণে দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশিরাও বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, নাগরিকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে টেকসই রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রাজনীতিকেরা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন, নাগরিকদের কাছ থেকে এমন আস্থা পাওয়া রাজনীতিকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ সবাই ক্ষমতায় গেলে নিজেদের করা প্রতিশ্রুতিগুলোর কথা ভুলে যান।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা ও ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করে রাষ্ট্রপতি আসলে কিছু করতে পারেন না। এতে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি অংশে পরিণত হন।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থায় তরুণদের স্থান দেওয়ার বিষয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু বয়সের বাইরেও ‘প্রান্তিক’ জনগোষ্ঠীকে স্থান করে দিতে হলে অন্য অনেক কিছু বিবেচনায় নেওয়ার আছে। যেমন নারী, জাতিসত্তা, ধর্ম ও জন্মস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অংশীদারত্বমূলক করা যেতে পারে।
ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে মানুষ বিরক্ত, এমনটি তুলে ধরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মানুষ শান্তি চান। ন্যূনতম মর্যাদা চান। আর কিছু করার আগে যেন তাঁর মত নেওয়া হয়, এটি চান। এই মত তাঁরা ভোটসহ বিভিন্ন উপায়ে দিতে চান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন-অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ এম সাহান বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আপসে পৌঁছার সুযোগ থাকা দরকার। এ কারণে সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠিত হলে সেই কক্ষকে কিছু ক্ষমতা ও এখতিয়ার দেওয়া দরকার।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে একটি অধিবেশনে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যা বলে থাকেন, তা বলতে হয় বলে বলেন। কথার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল থাকে না।’

দাবি আদায়ের জন্য কিছু লোক জোগাড় করে রাস্তা বন্ধ করা এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সত্য-অসত্য অভিযোগ তুলে মব দ্বারা মানুষকে আক্রমণ করা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সভ্য রাজনৈতিক বিতর্ক করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ শনিবার এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে অষ্টম বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের আয়োজক। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়।
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারা চালুর বিষয়ে একটি অধিবেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, কেবল সাইনবোর্ড থাকলেই রাজনৈতিক দল হয়ে যায় না। প্রকৃত রাজনৈতিক দলের গণভিত্তি থাকে। দেশে গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থক আছে। জামায়াতের কোথাও কোথাও অবস্থান আছে। একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হোক বা না হোক, এটিই বাস্তবতা। এখন আরেকটি দল গঠনের কথা বলা হচ্ছে। নতুন দলটির আসল পরীক্ষা হবে, যখন তারা নির্বাচনে বড় দলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে।
টাকার-ক্ষমতা এখন রাজনীতিকে বেঁধে ফেলেছে, এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন কোনো তফাত নেই। জাতীয় সংসদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রত্যেকের আর্থিক স্বার্থ আছে। আওয়ামী লীগের ছেড়ে যাওয়া ব্যবসার জায়গাগুলো এখন অন্যরা দখল করেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে গণতন্ত্র চর্চার জন্য সংস্কার কমিশনগুলো কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। রেহমান সোবহান বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত করার মধ্য দিয়ে আমলাতন্ত্রকে অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দলীয় পরিচিতির কারণে একটি কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক আমলাতন্ত্র অন্তর্বর্তী সরকারও পাচ্ছে না।
সিপিডির চেয়ারম্যান বলেন, ভোটে যাঁরা জেতে, তাঁরা সবকিছু নিয়ে নেন। এরপর আর্থিক সুবিধা হারানোর পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা ক্ষমতা ছাড়তে চান না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দূরে সরিয়ে রাখতে বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দলগুলোর যাঁরা ক্ষমতায় আসার কথা ভাবছেন, তাঁরা কী বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা দেবেন?
সংস্কার একটি জটিল প্রক্রিয়া, এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কী করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
সম্মেলনের কয়েকটি অধিবেশনে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দল ও সরকারগুলোর নীতিনির্ধারকদের কথা ও কাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিল না থাকার কারণে দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশিরাও বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, নাগরিকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে টেকসই রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রাজনীতিকেরা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন, নাগরিকদের কাছ থেকে এমন আস্থা পাওয়া রাজনীতিকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ সবাই ক্ষমতায় গেলে নিজেদের করা প্রতিশ্রুতিগুলোর কথা ভুলে যান।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা ও ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ না করে রাষ্ট্রপতি আসলে কিছু করতে পারেন না। এতে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি অংশে পরিণত হন।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থায় তরুণদের স্থান দেওয়ার বিষয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু বয়সের বাইরেও ‘প্রান্তিক’ জনগোষ্ঠীকে স্থান করে দিতে হলে অন্য অনেক কিছু বিবেচনায় নেওয়ার আছে। যেমন নারী, জাতিসত্তা, ধর্ম ও জন্মস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অংশীদারত্বমূলক করা যেতে পারে।
ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে মানুষ বিরক্ত, এমনটি তুলে ধরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মানুষ শান্তি চান। ন্যূনতম মর্যাদা চান। আর কিছু করার আগে যেন তাঁর মত নেওয়া হয়, এটি চান। এই মত তাঁরা ভোটসহ বিভিন্ন উপায়ে দিতে চান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন-অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ এম সাহান বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আপসে পৌঁছার সুযোগ থাকা দরকার। এ কারণে সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠিত হলে সেই কক্ষকে কিছু ক্ষমতা ও এখতিয়ার দেওয়া দরকার।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে একটি অধিবেশনে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যা বলে থাকেন, তা বলতে হয় বলে বলেন। কথার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল থাকে না।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২৫ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩৮ মিনিট আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এনসিপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করিনি। তবে ৭-৮ নভেম্বরের দিকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারি। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৭০-১০০ জনের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। কিছু আলাপ চলছে। তবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এনসিপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করিনি। তবে ৭-৮ নভেম্বরের দিকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারি। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৭০-১০০ জনের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। কিছু আলাপ চলছে। তবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়।

দাবি আদায়ের জন্য কিছু লোক জোগাড় করে রাস্তা বন্ধ করা এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সত্য-অসত্য অভিযোগ তুলে মব দ্বারা মানুষকে আক্রমণ করা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সভ্য রাজনৈতিক বিতর্ক করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান আজ শনিবার এক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২৫ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩৮ মিনিট আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর কিছু সময় পরই দেশের কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণার খবর প্রচার করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন।
এক ফেসবুক পোস্টে জাবীন বলেছেন, ‘যাদের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো, তাদেরটা ব্রেকিং নিউজে জায়গা পেল না, কিন্তু ঠিক একই দিন একই সময় যারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্রেকিং নিউজ যাচ্ছে।’
জাবীন আরও লেখেন, ‘ব্রেকিং নিউজের পেছনের রাজনীতি কী? কী বয়ান মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য কারা এত ব্যাকুল?’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর কিছু সময় পরই দেশের কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণার খবর প্রচার করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন।
এক ফেসবুক পোস্টে জাবীন বলেছেন, ‘যাদের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো, তাদেরটা ব্রেকিং নিউজে জায়গা পেল না, কিন্তু ঠিক একই দিন একই সময় যারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্রেকিং নিউজ যাচ্ছে।’
জাবীন আরও লেখেন, ‘ব্রেকিং নিউজের পেছনের রাজনীতি কী? কী বয়ান মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য কারা এত ব্যাকুল?’

দাবি আদায়ের জন্য কিছু লোক জোগাড় করে রাস্তা বন্ধ করা এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সত্য-অসত্য অভিযোগ তুলে মব দ্বারা মানুষকে আক্রমণ করা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সভ্য রাজনৈতিক বিতর্ক করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান আজ শনিবার এক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩৮ মিনিট আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম। তাঁর ভাই সাজেদুল ইসলাম সুমন ছিলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ড (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় র্যাবের একটি দল। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
মিরপুর, শাহ আলী ও দারুস সালাম এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সানজিদা ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। এর বাইরে ঢাকা-১ (দোহার–নবাবগঞ্জ) আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ ও সাভারের কিছু অংশ) আসনে আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জের কিছু অংশ) আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ (শ্যামপুর–কদমতলী) আসনে তানভীর আহমেদ রবিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী–ডেমরা) আসনে নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও কোতোয়ালির একাংশ) আসনে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ (মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, শাহজাহানপুর ও রমনা) আসনে মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১১ (বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা) আসনে এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ) আসনে সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৫ (শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কাফরুল ও মিরপুরের একাংশ) আসনে শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ (রূপনগর ও পল্লবী) আসনে আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ (সাভার পৌরসভা, সেনানিবাসসহ সাভারের একাংশ) আসনে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আজ ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলোর মধ্যে ঢাকার বেশ কয়েকটি আসন রয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা-৭ (লালবাগ, চকবাজার, বংশাল এবং কামরাঙ্গীরচর ও কোতোয়ালির একাংশ), ঢাকা-৯ (সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মুগদা), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ), ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ), ঢাকা-১৭ (ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, গুলশান ও বনানী), ঢাকা-১৮ (বৃহত্তর উত্তরার ছয়টি থানা) এবং ঢাকা-২০ (ধামরাই উপজেলা)।
এসব আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
প্রার্থী ঘোষণার আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম। তাঁর ভাই সাজেদুল ইসলাম সুমন ছিলেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ড (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় র্যাবের একটি দল। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
মিরপুর, শাহ আলী ও দারুস সালাম এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সানজিদা ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। এর বাইরে ঢাকা-১ (দোহার–নবাবগঞ্জ) আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ ও সাভারের কিছু অংশ) আসনে আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জের কিছু অংশ) আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ (শ্যামপুর–কদমতলী) আসনে তানভীর আহমেদ রবিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী–ডেমরা) আসনে নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও কোতোয়ালির একাংশ) আসনে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ (মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, শাহজাহানপুর ও রমনা) আসনে মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১১ (বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা) আসনে এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ) আসনে সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৫ (শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কাফরুল ও মিরপুরের একাংশ) আসনে শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ (রূপনগর ও পল্লবী) আসনে আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ (সাভার পৌরসভা, সেনানিবাসসহ সাভারের একাংশ) আসনে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে প্রার্থী করছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আজ ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলোর মধ্যে ঢাকার বেশ কয়েকটি আসন রয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা-৭ (লালবাগ, চকবাজার, বংশাল এবং কামরাঙ্গীরচর ও কোতোয়ালির একাংশ), ঢাকা-৯ (সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মুগদা), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ), ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের একাংশ), ঢাকা-১৭ (ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, গুলশান ও বনানী), ঢাকা-১৮ (বৃহত্তর উত্তরার ছয়টি থানা) এবং ঢাকা-২০ (ধামরাই উপজেলা)।
এসব আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
প্রার্থী ঘোষণার আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দাবি আদায়ের জন্য কিছু লোক জোগাড় করে রাস্তা বন্ধ করা এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সত্য-অসত্য অভিযোগ তুলে মব দ্বারা মানুষকে আক্রমণ করা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সভ্য রাজনৈতিক বিতর্ক করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান আজ শনিবার এক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২৫ মিনিট আগে
দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
নিজের জন্মস্থানে এবার প্রথম প্রার্থী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনটি সংসদীয় আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। দিনাজপুর-৩ আসন ছাড়াও ফেনী-১ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনেও নির্বাচন করেছেন; কখনো হারেননি।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনীতে। কিন্তু জন্মের পর দিনাজপুর শহরেই তাঁর শৈশব কেটেছে; এ শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। তবে তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়।
সে হিসেবে বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়া শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার দুটি আসনে—বগুড়া-৬ (সদর) ও ৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর)—নির্বাচন করে আসছেন; কখনো হারেননি।
বগুড়া-৭ আসন থেকে বিগত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি ছয়বার (এর মধ্যে খালেদা জিয়া পাঁচবার), জাতীয় পার্টি তিনবার, আওয়ামী লীগ দুবার ও স্বতস্ত্র (বিএনপির সমর্থনে) প্রার্থী একবার জয় পেয়েছেন। খালেদা জিয়া চারবার বগুড়া-৬ আসন নিজের জন্য রেখে বগুড়া-৭ আসন উপনির্বাচনের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। একবার (২০০৮) উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন মওদুদ আহমদ। বাকি তিনবার (১৯৯১, ১৯৯৬-জুন ও ২০০১) জয়ী হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
এবার বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষে প্রথম প্রার্থী হয়েছেন খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়ার সাতটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সভা ছিল। সে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। সভায় ২২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সেই সভার তিন দিন পর পাঁচজনকে ফোন করে নির্বাচনী প্রচার জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বগুড়া-৬ ও ৭ নিয়ে কাউকে ফোন দেওয়া হয়নি। তখন থেকেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ধারণা ছিল, হয়তো এ দুটি আসনে ‘জিয়া পরিবারের’ কেউ প্রার্থী হবেন।
ফেনী-১: ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১ আসন। ১৯৭৩ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ৫০ বছরের নির্বাচনে বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফেনী জেলায় খালেদা জিয়ার আদি পৈতৃক নিবাস। ফলে নির্বাচন এলেই এখানে স্লোগান ওঠে—‘ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা’।
১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তাঁর ছোট ভাই সাঈদ ইস্কান্দার।
২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে দণ্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়া এখানে প্রার্থী হতে পারেননি। তখন প্রার্থী হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মজনু।
দিনাজপুর-৩: আসনটি সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপি ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয়লাভ করে। ১৯৭৯ সালে প্রথমবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী জয়লাভ করেন। পরের দুবার জয় পান খুরশীদ জাহান হক।

দিনাজপুর শহরে খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশবের বেড়ে ওঠা হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হতে প্রার্থী হননি। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় বোন খুরশীদ জাহান হক।
নিজের জন্মস্থানে এবার প্রথম প্রার্থী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনটি সংসদীয় আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। দিনাজপুর-৩ আসন ছাড়াও ফেনী-১ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনেও নির্বাচন করেছেন; কখনো হারেননি।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস ফেনীতে। কিন্তু জন্মের পর দিনাজপুর শহরেই তাঁর শৈশব কেটেছে; এ শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। তবে তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়।
সে হিসেবে বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়া শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার দুটি আসনে—বগুড়া-৬ (সদর) ও ৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর)—নির্বাচন করে আসছেন; কখনো হারেননি।
বগুড়া-৭ আসন থেকে বিগত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে বিএনপি ছয়বার (এর মধ্যে খালেদা জিয়া পাঁচবার), জাতীয় পার্টি তিনবার, আওয়ামী লীগ দুবার ও স্বতস্ত্র (বিএনপির সমর্থনে) প্রার্থী একবার জয় পেয়েছেন। খালেদা জিয়া চারবার বগুড়া-৬ আসন নিজের জন্য রেখে বগুড়া-৭ আসন উপনির্বাচনের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। একবার (২০০৮) উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন মওদুদ আহমদ। বাকি তিনবার (১৯৯১, ১৯৯৬-জুন ও ২০০১) জয়ী হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
এবার বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষে প্রথম প্রার্থী হয়েছেন খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়ার সাতটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সভা ছিল। সে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। সভায় ২২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সেই সভার তিন দিন পর পাঁচজনকে ফোন করে নির্বাচনী প্রচার জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বগুড়া-৬ ও ৭ নিয়ে কাউকে ফোন দেওয়া হয়নি। তখন থেকেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ধারণা ছিল, হয়তো এ দুটি আসনে ‘জিয়া পরিবারের’ কেউ প্রার্থী হবেন।
ফেনী-১: ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১ আসন। ১৯৭৩ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ৫০ বছরের নির্বাচনে বেশির ভাগ সময় বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফেনী জেলায় খালেদা জিয়ার আদি পৈতৃক নিবাস। ফলে নির্বাচন এলেই এখানে স্লোগান ওঠে—‘ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা’।
১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তাঁর ছোট ভাই সাঈদ ইস্কান্দার।
২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে দণ্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়া এখানে প্রার্থী হতে পারেননি। তখন প্রার্থী হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মজনু।
দিনাজপুর-৩: আসনটি সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপি ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয়লাভ করে। ১৯৭৯ সালে প্রথমবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী জয়লাভ করেন। পরের দুবার জয় পান খুরশীদ জাহান হক।

দাবি আদায়ের জন্য কিছু লোক জোগাড় করে রাস্তা বন্ধ করা এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। সত্য-অসত্য অভিযোগ তুলে মব দ্বারা মানুষকে আক্রমণ করা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সভ্য রাজনৈতিক বিতর্ক করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান আজ শনিবার এক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আল
২৫ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী করছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে নিয়ে এ সংগঠন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সানজিদা ইসলাম।
৩৮ মিনিট আগে