আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ এবং ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া’ হিসেবে দেখছে। সাত দফা দাবির মাধ্যমে দলটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এই দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা: জামায়াত চায়, আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়। এটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তারা দেখছে।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার: যদিও ‘জুলাই গণহত্যার’ সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে এই দাবির মাধ্যমে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিচার চেয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি সংবেদনশীল অংশ। এটি অতীতের কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার: দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা একটি জবাবদিহিমূলক এবং জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) সংসদ নির্বাচন: জামায়াত মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন হলে একটি ‘কোয়ালিটি পার্লামেন্ট’ গঠন করা সম্ভব হবে। তারা এই পদ্ধতির নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত’ বলে দাবি করছে। তাদের যুক্তি হলো, এই পদ্ধতি ছোট দলগুলোকেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং ভোট আয়োজনের পেছনে রাষ্ট্রের অপচয় কমাবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করে।
দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা: জামায়াত সমাবেশ থেকে দেশের দায়িত্বরত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে। এটি সরকারের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি কৌশল হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ সফল করতে জামায়াতে ইসলামী নজিরবিহীন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এবং সদস্যদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অবশ্য কখনো প্রশ্ন ছিল না। আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও বিশেষ করে একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে।
দলটির নেতারা আশা করছেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্য তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ শতািধক অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে, যা এত বড় জনসমাগমের জন্য অপরিহার্য। হাজারেরও বেশি পানির কল স্থাপন করা হয়েছে অজু ও পানীয় জলের জন্য, যা নেতা-কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। মঞ্চের দুপাশে দুটি বড় স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশপাশের ৫০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে, যাতে দূর থেকেও সমাবেশের কার্যক্রম দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চার শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে, যাতে সমাবেশের বক্তব্য বহুদূর পর্যন্ত শোনা যায়। অতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুপাশে ৬০০ চেয়ার রাখা হয়েছে।
প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আটটি ভিন্ন বিভাগের আওতায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজ হলো জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আগত নেতা-কর্মীদের সহায়তা করা। এই বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সমাবেশের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার বাইরের জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ঢাকার বাইরের বাসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ’ড্রপিং পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে যানজট এড়ানো যায় এবং নেতা-কর্মীরা সহজে পৌঁছাতে পারেন। নেতা-কর্মীদের সুবিধার্থে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। রেলওয়েকে ভাড়া বাবদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে তারা। এই ট্রেনগুলো রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে একবার করে চলাচল করবে। এটি দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে একাধিক মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ এবং একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার মধ্যেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
আগত নেতা-কর্মীদের অনেকেই জামায়াতের লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরেছেন এবং মাথায় দলীয় সাদা ফিতা বেঁধেছেন। কেউ কেউ দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও নিয়ে এসেছেন। অনেক নেতা-কর্মী রাতটি মাঠেই ত্রিপল বিছিয়ে শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন। তাঁদের অনেকে স্লোগান দিতে দিতে সময় কাটাচ্ছেন এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। দুপুর ২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন এবং তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের এই সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন অনেকে। দীর্ঘ বিরতির পর একটি প্রধান রাজনৈতিক সমাবেশে দলটির উপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।
এই সমাবেশ জামায়াতের পুনরুত্থানের একটি প্রচেষ্টা এবং তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় মঞ্চ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জনভিত্তি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে চাইছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং অন্যান্য সংস্কারের দাবিগুলো নিয়ে জামায়াত এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। দলটি আশা করছে, এই সমাবেশ থেকে তাদের ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছাবে এবং ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সহায়ক হবে।
এই সমাবেশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে জামায়াতের ভূমিকা এবং নির্বাচনী জোট-মহাজোটের সমীকরণ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। যেমনটি সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এই সমাবেশ ‘নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান বন্ধ’ করার একটি প্রয়াস এবং ‘দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’ হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ এবং ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া’ হিসেবে দেখছে। সাত দফা দাবির মাধ্যমে দলটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এই দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা: জামায়াত চায়, আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়। এটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তারা দেখছে।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার: যদিও ‘জুলাই গণহত্যার’ সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে এই দাবির মাধ্যমে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিচার চেয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি সংবেদনশীল অংশ। এটি অতীতের কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার: দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা একটি জবাবদিহিমূলক এবং জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) সংসদ নির্বাচন: জামায়াত মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন হলে একটি ‘কোয়ালিটি পার্লামেন্ট’ গঠন করা সম্ভব হবে। তারা এই পদ্ধতির নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত’ বলে দাবি করছে। তাদের যুক্তি হলো, এই পদ্ধতি ছোট দলগুলোকেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং ভোট আয়োজনের পেছনে রাষ্ট্রের অপচয় কমাবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করে।
দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা: জামায়াত সমাবেশ থেকে দেশের দায়িত্বরত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে। এটি সরকারের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি কৌশল হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ সফল করতে জামায়াতে ইসলামী নজিরবিহীন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এবং সদস্যদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অবশ্য কখনো প্রশ্ন ছিল না। আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও বিশেষ করে একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে।
দলটির নেতারা আশা করছেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্য তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ শতািধক অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে, যা এত বড় জনসমাগমের জন্য অপরিহার্য। হাজারেরও বেশি পানির কল স্থাপন করা হয়েছে অজু ও পানীয় জলের জন্য, যা নেতা-কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। মঞ্চের দুপাশে দুটি বড় স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশপাশের ৫০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে, যাতে দূর থেকেও সমাবেশের কার্যক্রম দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চার শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে, যাতে সমাবেশের বক্তব্য বহুদূর পর্যন্ত শোনা যায়। অতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুপাশে ৬০০ চেয়ার রাখা হয়েছে।
প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আটটি ভিন্ন বিভাগের আওতায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজ হলো জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আগত নেতা-কর্মীদের সহায়তা করা। এই বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সমাবেশের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার বাইরের জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ঢাকার বাইরের বাসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ’ড্রপিং পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে যানজট এড়ানো যায় এবং নেতা-কর্মীরা সহজে পৌঁছাতে পারেন। নেতা-কর্মীদের সুবিধার্থে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। রেলওয়েকে ভাড়া বাবদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে তারা। এই ট্রেনগুলো রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে একবার করে চলাচল করবে। এটি দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে একাধিক মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ এবং একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার মধ্যেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
আগত নেতা-কর্মীদের অনেকেই জামায়াতের লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরেছেন এবং মাথায় দলীয় সাদা ফিতা বেঁধেছেন। কেউ কেউ দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও নিয়ে এসেছেন। অনেক নেতা-কর্মী রাতটি মাঠেই ত্রিপল বিছিয়ে শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন। তাঁদের অনেকে স্লোগান দিতে দিতে সময় কাটাচ্ছেন এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। দুপুর ২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন এবং তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের এই সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন অনেকে। দীর্ঘ বিরতির পর একটি প্রধান রাজনৈতিক সমাবেশে দলটির উপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।
এই সমাবেশ জামায়াতের পুনরুত্থানের একটি প্রচেষ্টা এবং তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় মঞ্চ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জনভিত্তি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে চাইছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং অন্যান্য সংস্কারের দাবিগুলো নিয়ে জামায়াত এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। দলটি আশা করছে, এই সমাবেশ থেকে তাদের ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছাবে এবং ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সহায়ক হবে।
এই সমাবেশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে জামায়াতের ভূমিকা এবং নির্বাচনী জোট-মহাজোটের সমীকরণ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। যেমনটি সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এই সমাবেশ ‘নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান বন্ধ’ করার একটি প্রয়াস এবং ‘দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’ হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মুখের এই তালিকায় শুরুতেই আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা...
২ মিনিট আগে
জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি। আজ সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ১২ আসনে ১০ নারীর নাম রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এবার তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।
৩৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি, যার মধ্যে সাতটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য ছয়টিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দলটি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মুখের এই তালিকায় শুরুতেই আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান ছাড়াও নতুনদের দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন (দিনাজপুর-৬), ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু (ফেনী-৩) এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন (ঢাকা-৬)।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী সৈয়দ শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস (পাবনা-৫) ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে আসা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর প্রধান সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলিও (ঢাকা-১৪) রয়েছেন নতুনদের মিছিলে।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, শফিকুল ইসলাম খান (ঢাকা-১৫), ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম (যশোর-৬), যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন (ভোলা-৪) ও প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭)।
এ ছাড়া রাজীব আহসান (বরিশাল-৪), এস এম ওবায়দুল হক নাসির (টাঙ্গাইল-৪), ফখরুল ইসলাম (নোয়াখালী-৫), মাহবুবের রহমান শামীম (নোয়াখালী-৬), মীর হেলাল উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৫), কাজী সালাহউদ্দিন (চট্টগ্রাম-৪), ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইউসুফের মেয়ে নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩), প্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমীন (নাটোর-১) ও যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা মো. আব্দুল মালেক (সিলেট-৩)।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মুখের এই তালিকায় শুরুতেই আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান ছাড়াও নতুনদের দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন (দিনাজপুর-৬), ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু (ফেনী-৩) এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন (ঢাকা-৬)।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী সৈয়দ শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস (পাবনা-৫) ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে আসা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর প্রধান সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলিও (ঢাকা-১৪) রয়েছেন নতুনদের মিছিলে।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, শফিকুল ইসলাম খান (ঢাকা-১৫), ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম (যশোর-৬), যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন (ভোলা-৪) ও প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭)।
এ ছাড়া রাজীব আহসান (বরিশাল-৪), এস এম ওবায়দুল হক নাসির (টাঙ্গাইল-৪), ফখরুল ইসলাম (নোয়াখালী-৫), মাহবুবের রহমান শামীম (নোয়াখালী-৬), মীর হেলাল উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৫), কাজী সালাহউদ্দিন (চট্টগ্রাম-৪), ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইউসুফের মেয়ে নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩), প্রয়াত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমীন (নাটোর-১) ও যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা মো. আব্দুল মালেক (সিলেট-৩)।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি। আজ সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ১২ আসনে ১০ নারীর নাম রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এবার তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।
৩৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি, যার মধ্যে সাতটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য ছয়টিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দলটি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি। আজ সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ১২ আসনে ১০ নারীর নাম রয়েছে।
তাঁদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে প্রার্থী হতে পারেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে নির্বাচন করেছেন, কখনো হারেননি।
খালেদা জিয়ার পৈতৃকবাড়ি ফেনীতে। আর তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়। খালেদা জিয়ার জন্ম, শৈশব ও পড়াশোনা দিনাজপুর শহরে হলেও এর আগে তিনি কখনো এখান থেকে প্রার্থী হননি।
এর বাইরে আর যেসব নারী নেত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
সানজিদা ইসলাম তুলি (ঢাকা-১৪)
গুম হওয়া পরিবারগুলোর প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক তিনি। ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমনকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময়ই সুমনের মা হাজেরা খাতুনকে কেন্দ্র করে তাঁর পরিবারের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনটি।
আফরোজা খানম রিতা (মানিকগঞ্জ-৩)
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী মুন্নুর চেয়ারওম্যান। রিতার বাবা হারুনার রশীদ খান মুন্নু এ শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

তাহসিনা রুশদীর লুনা (সিলেট-২)
এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে গুমের শিকার হন ইলিয়াস; এর পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তাঁর স্ত্রী লুনা।
শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর-২)
দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর বাবা প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান বিএনপির মহাসচিব (১৯৮৬-৮৮) ছিলেন; পালন করেছেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
চৌধুরী নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক। তাঁর বাবা প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একাধিকবার মন্ত্রী ছিলেন। নায়াবের দাদা ইউসুফ আলী চৌধুরী ছিলেন মুসলিম লীগ নেতা এবং প্রপিতামহ চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিশ্বাস ছিলেন জমিদার।

ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো (ঝালকাঠি-২)
সংসদ সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টো হত্যার শিকার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী ইলেন ২০০০ সালে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। এরপর তিনি ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুকে পরাজিত করে ফের জয়ের মুখ দেখেন।
ফারজানা শারমিন পুতুল (নাটোর-১)
দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও মিডিয়া সেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাইকোর্টের এই আইনজীবী অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল বিএনপির মনোনয়নে চারবারের এমপি ছিলেন।
সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা (শেরপুর-১)
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াংকা।

সাবিরা সুলতানা মুন্নী (যশোর-২)
ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুন্নীর স্বামী নাজমুল ইসলাম একসময় ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১১ সালে ঢাকায় অপহরণ হওয়ার পর নাজমুলের লাশ মিলেছিল গাজীপুরে।
সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিএনপি। তাতে ধানের শীষের হয়ে লড়েছিলেন ১৪ নেত্রী।
জুলাই সনদে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বিএনপিসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট। আর নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে তিনটি দল ও জোট।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করার কথা ছিল ২০২০ সালের মধ্যে। তবে তা না পারায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ফল অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ৩৯ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩৬ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে আটজন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ৩৮ নারী প্রার্থীর মধ্যে ছয়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫৯ নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ২৯ নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন নারী সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
এরপর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬৯ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ২২ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আর ২০২৪ সালের দ্বাদশ নির্বাচনে ৯৪ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি। আজ সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ১২ আসনে ১০ নারীর নাম রয়েছে।
তাঁদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে প্রার্থী হতে পারেন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে নির্বাচন করেছেন, কখনো হারেননি।
খালেদা জিয়ার পৈতৃকবাড়ি ফেনীতে। আর তাঁর স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈতৃকবাড়ি বগুড়ায়। খালেদা জিয়ার জন্ম, শৈশব ও পড়াশোনা দিনাজপুর শহরে হলেও এর আগে তিনি কখনো এখান থেকে প্রার্থী হননি।
এর বাইরে আর যেসব নারী নেত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
সানজিদা ইসলাম তুলি (ঢাকা-১৪)
গুম হওয়া পরিবারগুলোর প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক তিনি। ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমনকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময়ই সুমনের মা হাজেরা খাতুনকে কেন্দ্র করে তাঁর পরিবারের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনটি।
আফরোজা খানম রিতা (মানিকগঞ্জ-৩)
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী মুন্নুর চেয়ারওম্যান। রিতার বাবা হারুনার রশীদ খান মুন্নু এ শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

তাহসিনা রুশদীর লুনা (সিলেট-২)
এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে গুমের শিকার হন ইলিয়াস; এর পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তাঁর স্ত্রী লুনা।
শামা ওবায়েদ (ফরিদপুর-২)
দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর বাবা প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান বিএনপির মহাসচিব (১৯৮৬-৮৮) ছিলেন; পালন করেছেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
চৌধুরী নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক। তাঁর বাবা প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একাধিকবার মন্ত্রী ছিলেন। নায়াবের দাদা ইউসুফ আলী চৌধুরী ছিলেন মুসলিম লীগ নেতা এবং প্রপিতামহ চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিশ্বাস ছিলেন জমিদার।

ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো (ঝালকাঠি-২)
সংসদ সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টো হত্যার শিকার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী ইলেন ২০০০ সালে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন। এরপর তিনি ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুকে পরাজিত করে ফের জয়ের মুখ দেখেন।
ফারজানা শারমিন পুতুল (নাটোর-১)
দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও মিডিয়া সেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাইকোর্টের এই আইনজীবী অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল বিএনপির মনোনয়নে চারবারের এমপি ছিলেন।
সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা (শেরপুর-১)
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন প্রিয়াংকা।

সাবিরা সুলতানা মুন্নী (যশোর-২)
ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুন্নীর স্বামী নাজমুল ইসলাম একসময় ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১১ সালে ঢাকায় অপহরণ হওয়ার পর নাজমুলের লাশ মিলেছিল গাজীপুরে।
সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিএনপি। তাতে ধানের শীষের হয়ে লড়েছিলেন ১৪ নেত্রী।
জুলাই সনদে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বিএনপিসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট। আর নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে তিনটি দল ও জোট।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করার কথা ছিল ২০২০ সালের মধ্যে। তবে তা না পারায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ফল অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ৩৯ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩৬ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে আটজন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ৩৮ নারী প্রার্থীর মধ্যে ছয়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫৯ নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ২৯ নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন নারী সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
এরপর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬৯ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ২২ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আর ২০২৪ সালের দ্বাদশ নির্বাচনে ৯৪ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মুখের এই তালিকায় শুরুতেই আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা...
২ মিনিট আগে
দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এবার তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।
৩৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি, যার মধ্যে সাতটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য ছয়টিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দলটি।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এবার তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।
২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি যে প্রার্থী হচ্ছেন, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। অক্টোবরের শুরুতে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে যখন তারেক রহমানকে প্রশ্ন করা হলো, তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কি না, তিনি বলেছিলেন, ‘জি, ইনশা আল্লাহ’।
সোমবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩৭ আসনের প্রার্থীদের নাম পড়ে শোনান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ (জুন) সাল থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন করছেন। এ দুটি আসনে তিনি কখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি।
এর আগে ১৯৭৯ সালে এই আসন থেকে বিএনপির ওয়াজেদ হোসেন তরফদার, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) সালে মজিবর রহমান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে (জুন) সপ্তম সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া এই আসন থেকে নির্বাচিত হলেও পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দেন। তখন উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন বিএনপির জহুরুল ইসলাম।
২০০১ ও ২০০৮ সালেও খালেদা জিয়া এই আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের উপনির্বাচনে এই আসন থেকে জয় পান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি বিজয়ী হলেও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি। পরে উপনির্বাচনে বিএনপির নেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ধানের শীষে ভোট করে বিজয়ী হন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।

দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এবার তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।
২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি যে প্রার্থী হচ্ছেন, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। অক্টোবরের শুরুতে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে যখন তারেক রহমানকে প্রশ্ন করা হলো, তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কি না, তিনি বলেছিলেন, ‘জি, ইনশা আল্লাহ’।
সোমবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩৭ আসনের প্রার্থীদের নাম পড়ে শোনান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ (জুন) সাল থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন করছেন। এ দুটি আসনে তিনি কখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি।
এর আগে ১৯৭৯ সালে এই আসন থেকে বিএনপির ওয়াজেদ হোসেন তরফদার, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) সালে মজিবর রহমান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে (জুন) সপ্তম সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া এই আসন থেকে নির্বাচিত হলেও পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দেন। তখন উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন বিএনপির জহুরুল ইসলাম।
২০০১ ও ২০০৮ সালেও খালেদা জিয়া এই আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের উপনির্বাচনে এই আসন থেকে জয় পান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি বিজয়ী হলেও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি। পরে উপনির্বাচনে বিএনপির নেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ধানের শীষে ভোট করে বিজয়ী হন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মুখের এই তালিকায় শুরুতেই আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা...
২ মিনিট আগে
জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি। আজ সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ১২ আসনে ১০ নারীর নাম রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি, যার মধ্যে সাতটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য ছয়টিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দলটি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি, যার মধ্যে সাতটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য ছয়টিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দলটি।
আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে ধানের শীষের ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর মধ্যে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন খন্দকার আবু আশফাক, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ) আসনে লড়বেন আমানউল্লাহ আমান। আগের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁর ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এবারও ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ-জিনজিরা) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। ঢাকা-৪ (যাত্রাবাড়ী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তানভীর আহমেদ রবিন। এই আসনে গত নির্বাচনে মনোনয়ন পান সালাহউদ্দিন আহমদ। ঢাকা-৫ (ডেমরা) আসনে নতুন মুখ নেই; সেখানে এবারও লড়বেন নবী উল্লাহ নবী।
কোতোয়ালি ও সূত্রাপুর নিয়ে গঠিত ঢাকা-৬ আসনে লড়বেন ইশরাক হোসেন। গতবার আসনটি গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। ঢাকা-৮ আসনে (মতিঝিল-শাহজাহানপুর-রমনা) প্রার্থী করা হয়েছে মির্জা আব্বাসকে। তিনি আগের নির্বাচনেও এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ঢাকা-১১ (বাড্ডা) আসন থেকে লড়বেন এম এ কাইয়ুম। আগেরবার এই আসনে বিএনপি থেকে লড়াই করেন শামীম আরা বেগম। ঢাকা-১২ (তেজগাঁও) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সাইফুল আলম নীরবকে। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক। এবার তাঁর জায়গায় দেওয়া হয়েছে সানজিদা ইসলাম তুলিকে। ঢাকা-১৫ (কাফরুল) আসনে লড়বেন শফিকুল ইসলাম খান। এই আসনে আগের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মো. শফিকুর রহমান।
আমিনুল হক লড়বেন ঢাকা-১৬ (পল্লবী) আসন থেকে। এই আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মো. আহসান উল্লাহ হাসান। ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে গেল নির্বাচনের মতো এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি, যার মধ্যে সাতটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য ছয়টিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপরেই আস্থা রেখেছে দলটি।
আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে ধানের শীষের ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর মধ্যে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন খন্দকার আবু আশফাক, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ) আসনে লড়বেন আমানউল্লাহ আমান। আগের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁর ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এবারও ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ-জিনজিরা) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। ঢাকা-৪ (যাত্রাবাড়ী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তানভীর আহমেদ রবিন। এই আসনে গত নির্বাচনে মনোনয়ন পান সালাহউদ্দিন আহমদ। ঢাকা-৫ (ডেমরা) আসনে নতুন মুখ নেই; সেখানে এবারও লড়বেন নবী উল্লাহ নবী।
কোতোয়ালি ও সূত্রাপুর নিয়ে গঠিত ঢাকা-৬ আসনে লড়বেন ইশরাক হোসেন। গতবার আসনটি গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। ঢাকা-৮ আসনে (মতিঝিল-শাহজাহানপুর-রমনা) প্রার্থী করা হয়েছে মির্জা আব্বাসকে। তিনি আগের নির্বাচনেও এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ঢাকা-১১ (বাড্ডা) আসন থেকে লড়বেন এম এ কাইয়ুম। আগেরবার এই আসনে বিএনপি থেকে লড়াই করেন শামীম আরা বেগম। ঢাকা-১২ (তেজগাঁও) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে সাইফুল আলম নীরবকে। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক। এবার তাঁর জায়গায় দেওয়া হয়েছে সানজিদা ইসলাম তুলিকে। ঢাকা-১৫ (কাফরুল) আসনে লড়বেন শফিকুল ইসলাম খান। এই আসনে আগের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মো. শফিকুর রহমান।
আমিনুল হক লড়বেন ঢাকা-১৬ (পল্লবী) আসন থেকে। এই আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মো. আহসান উল্লাহ হাসান। ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে গেল নির্বাচনের মতো এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মুখের এই তালিকায় শুরুতেই আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা...
২ মিনিট আগে
জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি। আজ সোমবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে ১২ আসনে ১০ নারীর নাম রয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে
দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এবার তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন।
৩৭ মিনিট আগে