রেজা করিম, ঢাকা

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে মাঠে সরব বিএনপির মনোনয়ন-প্রত্যাশীরাও। সব মিলিয়ে তৃণমূলে বইছে ভোটের হাওয়া।
আওয়ামী লীগ ছাড়া ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়াও অন্য দলগুলোর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, এলডিপি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি), গণঅধিকার পরিষদের নেতারাও তাঁদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। নির্বাচনীমুখী প্রচারে স্বতন্ত্র প্রার্থীরও দেখা মিলছে কোথাও কোথাও।
ত্রয়োদশ নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপিতে প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটা চূড়ান্ত হবে। জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিগত দিনে কারা কতটা ভূমিকা রেখেছেন দলের জন্য, সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই দল প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে প্রচারে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে সময় ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে এতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। দলের নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। প্রার্থীরা কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে নেমেছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও তা একেবারেই চূড়ান্ত নয়। সমমনাদের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আসবে।
এদিকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে তৃণমূলে নির্বাচনী আমেজের চিত্র পাওয়া গেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতায় সরগরম হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। ভোটারদের আস্থা অর্জনে প্রতিদিন নতুন নতুন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন তাঁরা; ব্যস্ত রয়েছেন ঘরোয়া বৈঠক, জনসভা, সেমিনারের পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান, দোয়া মাহফিল এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জনাকীর্ণ এলাকায় ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন করছেন অনেক প্রার্থী। স্থানীয় নেতাদের নির্বাচনী প্রচারকে চাঙা করতে কোথাও কোথাও আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।
সমানতালে বিএনপি-জামায়াত
মাদারীপুর-২ আসনে এত দিন ধরে রাজত্ব করে এসেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শাজাহান খান ও তাঁর ছেলে আসিব খানসহ এই এলাকার আরও অনেক নেতা কারাগারে। আওয়ামী লীগবিহীন ওই আসন কবজায় নিতে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও বেশ সরব। এই আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুস সোবহান খান প্রচারে নেমেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে মাঠে নেমেছি। যুব ও সাধারণ জনগণের বিপুল সাড়া পাচ্ছি। তাই সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হবে বলে আমি আশাবাদী।’
একই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্তত ৭ জন মাঠে রয়েছেন এই মুহূর্তে। নিজ নিজ জায়গা থেকে তাঁরাও ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের সহশিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক নারী সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আগামী নির্বাচনে সৎ, যোগ্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে কাজ করব। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের পাশে থাকতে চাই।’
বিএনপির মনোনয়নের দৌড়ে নবীন-প্রবীণের পাশাপাশি বহিষ্কৃতরাও
পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিএনপির টিকিটে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই জয় সুনিশ্চিত, এমনটা ধরে নিয়ে দলটির মনোনয়ন পেতে মরিয়া অনেকেই। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় রাখছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। কোনোভাবেই যাতে মনোনয়নবঞ্চিত না হতে হয়, সে জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। এটা করতে গিয়ে অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে কোন্দলেও জড়িয়ে পড়ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিচারপতি টি এইচ খানের সন্তান আফজাল এইচ খান; ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান ওমর রুবেল। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে থেকেই তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মাঠে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাঁরা।
বিএনপির প্রার্থিতার দৌড়ে রয়েছেন হেভিওয়েট নেতা ও তরুণ প্রার্থী। দেশের অনেক জায়গায় মনোনয়ন পেতে তরুণ-প্রবীণের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। বাগেরহাট-১ আসনে প্রার্থিতার দৌড়ে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট ও তরুণ প্রার্থী। তাঁরা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান দিপু; বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মাসুদ রানা; জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন, ফকিরহাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম। মনোনয়নপ্রত্যাশী এই ৫ নেতাই প্রচারে নেমেছেন সর্বশক্তি দিয়ে। আবার কেন্দ্রের সঙ্গেও তাঁদের প্রত্যেকেরই নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। এই প্রতিযোগিতা শেষে দলের কাছ থেকে সবুজ সংকেত কে পান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অতীতে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন এমন অনেক নেতাও দলের মনোনয়নে এমপি হওয়ার আশা করছেন। ময়মনসিংহ-১১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান দলটি থেকে বহিষ্কৃত ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে দল তাঁকেই মনোনয়ন দেবে বলে তাঁর প্রত্যাশা। ফখর উদ্দিন আহমেদের দাবি, দলের হাইকমান্ড থেকে আশ্বাস পেয়েই তিনি নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন। যদিও এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, দলের হাইকমান্ড মনোনয়নের ব্যাপারে তাঁকেই আশ্বস্ত করেছেন।
অন্য এলাকার প্রার্থী নিয়েও রয়েছে আলোচনা। পাবনা-৩ আসনে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের প্রার্থী হতে পারেন, এমন খবর পাওয়া গছে। জাফির তুহিন পাবনা-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপি তাঁকে পাবনা-৩ আসনে কাজ করার জন্য অনুমতি দিয়েছে, এমন খবর এলাকায় আসার পর চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও তুহিনকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
দুবারের সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরের কোনো প্রার্থীকে পাবনা-৩ আসনের মানুষ মানবে না। আশা করি, দল যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসানুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘কেউ ধানের শীষ পেয়ে গেছেন মর্মে প্রচারণা চালাচ্ছেন; যাঁদের সুদীর্ঘকাল ধরে এই আসনের মাটি-মানুষের সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি কিনা মন্ত্রী হওয়ার আশ্বাসে এই আসনের সাধারণ সহজসরল মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাই আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি।’ হাসান জাফির তুহিন অবশ্য দাবি করেন, দেড় মাস আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই তাঁকে এখানে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলের নির্দেশে আমি এখানে কাজ করছি। তারেক রহমান এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন। আশা করি, সবচেয়ে বেশি ভোটে এই আসনের মানুষ আমাকে বিজয়ী করবে।’
এদিকে বিএনপিতে মনোনয়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপে ব্যতিক্রমও আছে কোথাও কোথাও, যেখানে একক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৌলভীবাজার-৩ আসনে তাঁর ছেলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন্দল, দলাদলি ও মনোমালিন্যকে বড় কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ‘এত বড় একটা দলে (বিএনপি) এগুলো হয়েই থাকে। আশা রাখি সময়ের প্রয়োজনে সঠিক সময়ে সবাই এক হয়ে যাবে।’
জামায়াত আমিরকে নিয়ে আলোচনায় মৌলভীবাজার-১
তারকা নেতারা প্রার্থী হবেন, এমন সম্ভাব্যতার কারণে কোনো কোনো আসন এরই মধ্যে এসেছে আলোচনায়। মৌলভীবাজার-১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এই নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। তিনিও এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন। জামায়াত আমির এই আসনে প্রার্থী হবেন, স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীদের এমনটাই চাওয়া বলে জানা গেছে। মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইয়ামীর আলী বলেন, ‘জামায়াতের আমিরের নিজ জন্মস্থান হওয়ায় এলাকার মানুষ উনাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছে। আমরাও চাচ্ছি। তৃণমূল মানুষের কথা আমরা কেন্দ্রে জানিয়েছি।’ অন্যদিকে আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও বেশ প্রভাবশালী। তাঁদের মধ্যে প্রবাসী দুই নেতার তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তাঁরাও আলোচনায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভোটারদের প্রত্যাশা
আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যও দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় চায়ের দোকান থেকে সর্বত্র মুখর রেখেছেন ভোটাররা। এবার সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা তাঁদের।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে মাঠে সরব বিএনপির মনোনয়ন-প্রত্যাশীরাও। সব মিলিয়ে তৃণমূলে বইছে ভোটের হাওয়া।
আওয়ামী লীগ ছাড়া ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়াও অন্য দলগুলোর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, এলডিপি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি), গণঅধিকার পরিষদের নেতারাও তাঁদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। নির্বাচনীমুখী প্রচারে স্বতন্ত্র প্রার্থীরও দেখা মিলছে কোথাও কোথাও।
ত্রয়োদশ নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপিতে প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটা চূড়ান্ত হবে। জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিগত দিনে কারা কতটা ভূমিকা রেখেছেন দলের জন্য, সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই দল প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।
এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে প্রচারে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে সময় ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে এতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। দলের নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। প্রার্থীরা কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে নেমেছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও তা একেবারেই চূড়ান্ত নয়। সমমনাদের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আসবে।
এদিকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে তৃণমূলে নির্বাচনী আমেজের চিত্র পাওয়া গেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতায় সরগরম হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। ভোটারদের আস্থা অর্জনে প্রতিদিন নতুন নতুন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন তাঁরা; ব্যস্ত রয়েছেন ঘরোয়া বৈঠক, জনসভা, সেমিনারের পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান, দোয়া মাহফিল এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জনাকীর্ণ এলাকায় ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন করছেন অনেক প্রার্থী। স্থানীয় নেতাদের নির্বাচনী প্রচারকে চাঙা করতে কোথাও কোথাও আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।
সমানতালে বিএনপি-জামায়াত
মাদারীপুর-২ আসনে এত দিন ধরে রাজত্ব করে এসেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শাজাহান খান ও তাঁর ছেলে আসিব খানসহ এই এলাকার আরও অনেক নেতা কারাগারে। আওয়ামী লীগবিহীন ওই আসন কবজায় নিতে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও বেশ সরব। এই আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুস সোবহান খান প্রচারে নেমেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে মাঠে নেমেছি। যুব ও সাধারণ জনগণের বিপুল সাড়া পাচ্ছি। তাই সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হবে বলে আমি আশাবাদী।’
একই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্তত ৭ জন মাঠে রয়েছেন এই মুহূর্তে। নিজ নিজ জায়গা থেকে তাঁরাও ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের সহশিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক নারী সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আগামী নির্বাচনে সৎ, যোগ্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে কাজ করব। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের পাশে থাকতে চাই।’
বিএনপির মনোনয়নের দৌড়ে নবীন-প্রবীণের পাশাপাশি বহিষ্কৃতরাও
পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিএনপির টিকিটে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই জয় সুনিশ্চিত, এমনটা ধরে নিয়ে দলটির মনোনয়ন পেতে মরিয়া অনেকেই। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় রাখছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। কোনোভাবেই যাতে মনোনয়নবঞ্চিত না হতে হয়, সে জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। এটা করতে গিয়ে অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে কোন্দলেও জড়িয়ে পড়ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিচারপতি টি এইচ খানের সন্তান আফজাল এইচ খান; ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান ওমর রুবেল। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে থেকেই তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মাঠে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাঁরা।
বিএনপির প্রার্থিতার দৌড়ে রয়েছেন হেভিওয়েট নেতা ও তরুণ প্রার্থী। দেশের অনেক জায়গায় মনোনয়ন পেতে তরুণ-প্রবীণের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। বাগেরহাট-১ আসনে প্রার্থিতার দৌড়ে রয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট ও তরুণ প্রার্থী। তাঁরা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান দিপু; বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মাসুদ রানা; জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন, ফকিরহাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম। মনোনয়নপ্রত্যাশী এই ৫ নেতাই প্রচারে নেমেছেন সর্বশক্তি দিয়ে। আবার কেন্দ্রের সঙ্গেও তাঁদের প্রত্যেকেরই নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। এই প্রতিযোগিতা শেষে দলের কাছ থেকে সবুজ সংকেত কে পান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অতীতে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন এমন অনেক নেতাও দলের মনোনয়নে এমপি হওয়ার আশা করছেন। ময়মনসিংহ-১১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান দলটি থেকে বহিষ্কৃত ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে দল তাঁকেই মনোনয়ন দেবে বলে তাঁর প্রত্যাশা। ফখর উদ্দিন আহমেদের দাবি, দলের হাইকমান্ড থেকে আশ্বাস পেয়েই তিনি নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন। যদিও এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, দলের হাইকমান্ড মনোনয়নের ব্যাপারে তাঁকেই আশ্বস্ত করেছেন।
অন্য এলাকার প্রার্থী নিয়েও রয়েছে আলোচনা। পাবনা-৩ আসনে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের প্রার্থী হতে পারেন, এমন খবর পাওয়া গছে। জাফির তুহিন পাবনা-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপি তাঁকে পাবনা-৩ আসনে কাজ করার জন্য অনুমতি দিয়েছে, এমন খবর এলাকায় আসার পর চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও তুহিনকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
দুবারের সাবেক এমপি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরের কোনো প্রার্থীকে পাবনা-৩ আসনের মানুষ মানবে না। আশা করি, দল যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসানুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘কেউ ধানের শীষ পেয়ে গেছেন মর্মে প্রচারণা চালাচ্ছেন; যাঁদের সুদীর্ঘকাল ধরে এই আসনের মাটি-মানুষের সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি কিনা মন্ত্রী হওয়ার আশ্বাসে এই আসনের সাধারণ সহজসরল মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাই আমি আমার মতো করে কাজ করে যাচ্ছি।’ হাসান জাফির তুহিন অবশ্য দাবি করেন, দেড় মাস আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই তাঁকে এখানে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলের নির্দেশে আমি এখানে কাজ করছি। তারেক রহমান এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন। আশা করি, সবচেয়ে বেশি ভোটে এই আসনের মানুষ আমাকে বিজয়ী করবে।’
এদিকে বিএনপিতে মনোনয়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপে ব্যতিক্রমও আছে কোথাও কোথাও, যেখানে একক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৌলভীবাজার-৩ আসনে তাঁর ছেলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন্দল, দলাদলি ও মনোমালিন্যকে বড় কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ‘এত বড় একটা দলে (বিএনপি) এগুলো হয়েই থাকে। আশা রাখি সময়ের প্রয়োজনে সঠিক সময়ে সবাই এক হয়ে যাবে।’
জামায়াত আমিরকে নিয়ে আলোচনায় মৌলভীবাজার-১
তারকা নেতারা প্রার্থী হবেন, এমন সম্ভাব্যতার কারণে কোনো কোনো আসন এরই মধ্যে এসেছে আলোচনায়। মৌলভীবাজার-১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এই নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। তিনিও এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন। জামায়াত আমির এই আসনে প্রার্থী হবেন, স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীদের এমনটাই চাওয়া বলে জানা গেছে। মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইয়ামীর আলী বলেন, ‘জামায়াতের আমিরের নিজ জন্মস্থান হওয়ায় এলাকার মানুষ উনাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছে। আমরাও চাচ্ছি। তৃণমূল মানুষের কথা আমরা কেন্দ্রে জানিয়েছি।’ অন্যদিকে আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও বেশ প্রভাবশালী। তাঁদের মধ্যে প্রবাসী দুই নেতার তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তাঁরাও আলোচনায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভোটারদের প্রত্যাশা
আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যও দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় চায়ের দোকান থেকে সর্বত্র মুখর রেখেছেন ভোটাররা। এবার সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা তাঁদের।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
১২ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
১৪ মিনিট আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
২৬ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
১৪ মিনিট আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
২৬ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
১২ মিনিট আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
২ ঘণ্টা আগেশিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থানে মানুষকে মিষ্টিমুখ করান। আজ মঙ্গলবার বিএনপি তাঁর মনোনয়ন স্থগিত করেছে।
গতকাল বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় মনোনয়নবঞ্চিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থিত লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল সে সময়।
এ ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করল বিএনপি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত, ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।’
কামাল জামান মোল্লা ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। এ বিষয়ে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কামাল জামান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের উল্লাস করা যাবে না। সরাসরি ভোটারদের দ্বারে যেতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আমরা আনন্দ মিছিল করব। এর আগে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিবচরে সকল মানুষকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থানে মানুষকে মিষ্টিমুখ করান। আজ মঙ্গলবার বিএনপি তাঁর মনোনয়ন স্থগিত করেছে।
গতকাল বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় মনোনয়নবঞ্চিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থিত লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল সে সময়।
এ ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করল বিএনপি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত, ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।’
কামাল জামান মোল্লা ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। এ বিষয়ে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কামাল জামান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের উল্লাস করা যাবে না। সরাসরি ভোটারদের দ্বারে যেতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আমরা আনন্দ মিছিল করব। এর আগে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিবচরে সকল মানুষকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
২৬ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
১২ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
১৪ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে দল তিনটির জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশেক (করমর্দন) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) কাঁচি প্রতীক দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
২৬ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
১২ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
১৪ মিনিট আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
১ ঘণ্টা আগে