নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলেম-ওলামাদের হয়রানি করার অভিযোগ এনেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তাঁর অভিযোগ বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আলেমেরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি আলেমদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, ‘সম্প্রতি আলেমদের বিভিন্নভাবে গভীর রাতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে বা অন্য কোন স্থান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এরূপ ঘটনা অনুচিত বলে আমরা মনে করি। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এ সকল অগণতান্ত্রিক নিয়মকে শক্ত হাতে দমন করা না গেলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হতে পারে। কোন আত্মগোপনকারী শত্রু গোষ্ঠী ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে সুযোগ নিতে পারে।’
জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কায়দায় কোন আলেমকে যেন ধর পাকড় করা না হয়, সে জন্য বিবৃতিতে সরকারকে অনুরোধ জানান মুহিব্বুলাহ। এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আলেম ওলামারা এ দেশের বা সরকারের শত্রু নন। অভিযুক্ত ব্যক্তি, সে যেই হোক না কেন, আইন অনুযায়ী পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁর বিচার করা হোক। কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা যাচাই-বাছাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে তার যথাযোগ্য বিচার করার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ধর্মীয় বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীম গ্রেপ্তার ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরে হেফাজতের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এল। যদিও বিবৃতির কোথাও মুফতি ইব্রাহীমের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে মুফতি ইব্রাহীমকে আটক করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় আদালতে পাঠানোর পর তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বুধবার মুফতি ইব্রাহীমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
কয়েক বছর ধরে মুফতি ইব্রাহীম বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। ধর্মীয় বক্তা হয়েও নানা বৈজ্ঞানিক বক্তব্য দেন তিনি। তবে সেসব বক্তব্যে কোনো দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেন না। তার এসব বক্তব্যে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
মুফতি ইব্রাহীমকে আটকের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের সূত্র দেওয়া থেকে শুরু করে বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ে ওয়াজ করেছেন তিনি। করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কারণে নারীর দাঁড়ি গজাচ্ছে, পুরুষের কণ্ঠ পাল্টে নারীকণ্ঠ হচ্ছে। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়েও নানা মন্তব্য করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট, হিন্দুস্তানের দালাল, করোনা টিকা নিয়ে অপপ্রচার, জন্মনিয়ন্ত্রণ হারামসহ বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন মুফতি কাজী ইব্রাহীম। তাঁর এমন উসকানিমূলক বক্তব্যের পেছনে অন্য কারও ইন্ধন আছে কিনা জানতে চান তারা।
আলেম-ওলামাদের হয়রানি করার অভিযোগ এনেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তাঁর অভিযোগ বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আলেমেরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি আলেমদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, ‘সম্প্রতি আলেমদের বিভিন্নভাবে গভীর রাতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে বা অন্য কোন স্থান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এরূপ ঘটনা অনুচিত বলে আমরা মনে করি। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এ সকল অগণতান্ত্রিক নিয়মকে শক্ত হাতে দমন করা না গেলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হতে পারে। কোন আত্মগোপনকারী শত্রু গোষ্ঠী ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে সুযোগ নিতে পারে।’
জনমনে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কায়দায় কোন আলেমকে যেন ধর পাকড় করা না হয়, সে জন্য বিবৃতিতে সরকারকে অনুরোধ জানান মুহিব্বুলাহ। এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আলেম ওলামারা এ দেশের বা সরকারের শত্রু নন। অভিযুক্ত ব্যক্তি, সে যেই হোক না কেন, আইন অনুযায়ী পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁর বিচার করা হোক। কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা যাচাই-বাছাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে তার যথাযোগ্য বিচার করার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ধর্মীয় বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীম গ্রেপ্তার ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরে হেফাজতের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এল। যদিও বিবৃতির কোথাও মুফতি ইব্রাহীমের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে মুফতি ইব্রাহীমকে আটক করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় আদালতে পাঠানোর পর তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বুধবার মুফতি ইব্রাহীমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
কয়েক বছর ধরে মুফতি ইব্রাহীম বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। ধর্মীয় বক্তা হয়েও নানা বৈজ্ঞানিক বক্তব্য দেন তিনি। তবে সেসব বক্তব্যে কোনো দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেন না। তার এসব বক্তব্যে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
মুফতি ইব্রাহীমকে আটকের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের সূত্র দেওয়া থেকে শুরু করে বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ে ওয়াজ করেছেন তিনি। করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কারণে নারীর দাঁড়ি গজাচ্ছে, পুরুষের কণ্ঠ পাল্টে নারীকণ্ঠ হচ্ছে। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়েও নানা মন্তব্য করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট, হিন্দুস্তানের দালাল, করোনা টিকা নিয়ে অপপ্রচার, জন্মনিয়ন্ত্রণ হারামসহ বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন মুফতি কাজী ইব্রাহীম। তাঁর এমন উসকানিমূলক বক্তব্যের পেছনে অন্য কারও ইন্ধন আছে কিনা জানতে চান তারা।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১৯ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
২০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
২১ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
১ দিন আগে