Ajker Patrika

আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির, ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই: নাহিদ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৩৩
টাঙ্গাইলে এনসিপির আয়োজনে জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে সমাবেশে বক্তব্য দেন নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
টাঙ্গাইলে এনসিপির আয়োজনে জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে সমাবেশে বক্তব্য দেন নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। যিনি ধর্ম অবমাননা করেছে, তাকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই, ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলে এনসিপির আয়োজনে জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে নাহিদ এসব কথা বলেন। জেলা শহরের নিরালা মোড়ে এই সমাবেশ হয়।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আমাদের হিন্দু জনগোষ্ঠীর বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে, লুটপাত চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের নবীজিকে সেখানে কটূক্তি করা হয়েছে। আমাদের নবীজিকে কেউ কটূক্তি করলে, আমাদের ধর্মকে কেউ অবমাননা করলে, আমরা অবশ্যই তার বিচার চাই। কিন্তু সেই বিচার হতে হবে আইনের আওতায়। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি সেই সম্প্রদায়ের ওপর কেউ আঘাত হানে, তা আমরা কখনোই মেনে নেব না। আমাদের ধর্ম এটাকে পারমিট করে না। আমাদের ধর্মে বলা আছে, পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে দায়ী করা যাবে না, পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা যাবে না। অন্য ধর্মের ওপর আঘাত দেওয়া আমাদের নবীজি শিক্ষা দেন নাই। নবীজি সব সময় অন্য ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেন। ফলে এই ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য ধর্মীয় নয়, তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক, তাদের উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক, তাদের উদ্দেশ্য লুটপাট করা। এ রাজনীতি শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। এটা সংখ্যালঘুদের জমি দখল এবং লুটপাটের রাজনীতি ও বিচার না করার রাজনীতি।’

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে ইতিহাসে স্মরণ করা হয় না উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘শেরেবাংলা ফজলুল হক, মওলানা ভাসানীর মতো মহান রাজনীতিক পুরুষ, যাঁরা এ বাংলাদেশের স্থপতি, তাঁদের বাদ দিয়ে বাংলাদেশের জাতির পিতা শুধু একজন ব্যক্তিকে ঘোষণা করা হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে পূজা করা হয়েছে গত ৫৪ বছর ধরে। কিন্তু মওলানা ভাসানী না থাকলে শেখ মুজিব সৃষ্টি হতে পারতেন না। যে ’৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব নিয়েছে, সেই অভ্যুত্থানের অন্যতম কারিগর, নেপথ্যের পুরুষ ছিলেন মওলানা ভাসানী। তিনি কৃষক-শ্রমিকের জন্য লড়াই করেছেন, গণমানুষের জন্য লড়াই করেছেন। আমরা মওলানা ভাসানীর সেই আদর্শকে ধারণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মওলানা ভাসানী শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছিলেন রাজনৈতিক দার্শনিক। আমরা ভাসানীকে বাংলাদেশের অন্যতম ফাউন্ডিং ফাদার মনে করি। বাংলাদেশে কোনো একজন জাতির পিতা নয়, বাংলাদেশে অনেকজন জাতির পিতা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মওলানা ভাসানী।’

সমাবেশে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেন, বিগত বছরগুলোতে ফ্যাসিবাদের পছন্দের কিছু জেলা বাদে বাকি জেলাগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল নিজ স্বকীয়তায় বাংলাদেশের জনগণের কাছে এবং বহির্বিশ্বে গুরুত্বের জায়গায় থাকতে পারত। কিন্তু কিছু ব্যক্তি নিজের এবং দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এত বড় একটি ঐতিহ্যবাহী জেলার স্বার্থকে প্রতিনিয়ত বিসর্জন দিয়েছেন।

সারজিস বলেন, ‘প্রশাসনকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে স্পষ্ট করে একটি জিনিস বলতে চাই, আমরা ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রশাসনকে, পুলিশকে, অন্যান্য বাহিনীকে বাংলাদেশের জন্য দেখতে চাই। আমরা কোনো দল, ব্যক্তি, গোষ্ঠীর জন্য আর প্রশাসনকে দেখতে চাই না। আমরা স্পষ্ট করে আরেকটি কথা বলি, আমরা মিডিয়াকেও কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। মিডিয়া যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজে না লাগে। এই মিডিয়া যেন প্রোপাগান্ডা বাস্তবায়নের সেলের অংশ হিসেবে কাজ না করে। ’২৪-পূর্ববর্তী সময়ে কয়েকটি মিডিয়া অন্ধভাবে দলের দালালি করেছে। তাদের সংবাদকর্মীরা আজ তারা যে সে চ্যানেলে কাজ করে, সেটা বলতেও লজ্জা পায়। আমরা চাই না ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো মিডিয়ার আর এই করুণ দশা হোক।’

সমাবেশে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদা সারওয়ার, জ্যেষ্ঠ সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলীক মৃ, সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আজাদ খান ভাসানী, কেন্দ্রীয় সদস্য সালাহউদ্দিন, জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান প্রমুখ। তবে দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত থাকলেও অসুস্থতার কারণে বক্তব্য দেননি।

এনসিপি নেতারা দুপুর ১২টার দিকে শহরের জেলা সদর শামসুল হক তোরণের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। এতে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। পদযাত্রার আগে সকালে শহরের একটি হোটেলে নাহিদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই আন্দোলনে টাঙ্গাইলে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার দুপুরের পর থেকে শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়।

কর্মসূচি উপলক্ষে এনসিপি নেতারা গতকাল রাতে টাঙ্গাইলে পৌঁছানোর পর সন্তোষে মওলানা ভাসানীর কবর জিয়ারত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। ফাইল ছবি
সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মতপার্থক্য কাটাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ চেয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক আটটি রাজনৈতিক দল। এ সংলাপে রেফারির ভূমিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অফিসে সমমনা আট দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তাহের। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হলে সেখানে রেফারির অভাব হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে, বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা এখানে একটা রেফারির ভূমিকা পালন করবেন আগের মতো, এটা আমরা আশা করি।’

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত না দিতে পারলে সরকার নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তাহের বলেন, ‘আমরা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলাম, তাতে হঠাৎ করে একটি দল বিরোধিতা করছে। আমরা আশা করি, তারা তাদের দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে গণভোট আগে আর পরে করে লাভ নেই; বরং গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ নির্বাচনের দিন হ্যাঁ বা না ভোটে কারও মনোযোগ থাকবে না।’

তাহের আরও বলেন, ‘আমি গতকালকে দলগুলোর মধ্যে একটি আলোচনার আহ্বান করেছিলাম। আজকে উপদেষ্টা পরিষদও সে রকম একটি আহ্বান দলগুলোর কাছে জানিয়েছে। আমরাও দেখতে চাই, প্রধান দলগুলো এই আহ্বানে যেন সাড়া দেয়। তারাও যদি আমাদের মোত একইভাবে সাড়া দেয়, তাহলে একটা রাস্তা বেরিয়ে আসবে।’

প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে ৮ দল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে পঞ্চম পর্বের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গণমিছিল করে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে তারা।

রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের আটটি দলের পাঁচ দফা দাবিতে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছি। অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই পৃথকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করতে হবে। আরপিও সংশোধন করা হলে আমরা সেটা মানব না। অর্থাৎ আরপিও আগের মতোই রাখতে হবে। এগুলোই এখন আমাদের মূল দাবি।’

এসব দাবিতে ৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় গণমিছিল করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, দাবি আদায় না হলে ১১ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করবেন তাঁরা।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণার আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও ডেভেলপমেন্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকার সাপলুডু খেলছে: আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার সাপলুডু খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতার বলেন, ‘অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে লক্ষ করছি, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে সনদ দিয়ে। সরকার নিজেরা উদ্যোগ (সনদ বাস্তবায়নে) না নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঠেলে দিয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার সাপলুডু খেলছে।’

সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে বলে দাবি করে আখতার বলেন, ‘সংস্কার ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। অতি দ্রুত সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির দাবি জানাই।’

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নের পথে বাধা হচ্ছে। সংস্কারকে ধারণ করে না বিএনপি। সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এটা হতে দেবে না। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দলীয় মতামত গণভোটে যাওয়া উচিত না। কোন দিন আদেশ জারি করবেন, সেটা সরকারকে জানাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টাকে এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আদেশ জারি করা হলে ছাত্র-জনতা আবার মাঠে নামবে।

আসনের লোভ দেখিয়ে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র নষ্টের জন্য একটি দল উঠেপড়ে লেগেছে। গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা জনগণ রুখে দেবে।

বিএনপির আসন ঘোষণা প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া তিন আসনে প্রার্থী হওয়ায় শুভেচ্ছা। তাঁর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে যেহেতু তিনি নির্বাচন করতে পারছেন, সেহেতু সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে আমরা স্বাগত জানাই। আসেন, আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র চর্চা করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৭
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এনসিপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করিনি। তবে ৭-৮ নভেম্বরের দিকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারি। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৭০-১০০ জনের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। কিছু আলাপ চলছে। তবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তাজনুভা জাবীন। ছবি: সংগৃহীত
তাজনুভা জাবীন। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর কিছু সময় পরই দেশের কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণার খবর প্রচার করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন।

এক ফেসবুক পোস্টে জাবীন বলেছেন, ‘যাদের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো, তাদেরটা ব্রেকিং নিউজে জায়গা পেল না, কিন্তু ঠিক একই দিন একই সময় যারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্রেকিং নিউজ যাচ্ছে।’

জাবীন আরও লেখেন, ‘ব্রেকিং নিউজের পেছনের রাজনীতি কী? কী বয়ান মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য কারা এত ব‍্যাকুল?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত