সম্পাদকীয়
চাপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার গণকা মহল্লার মহররমী নামের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর গত ১ ফেব্রুয়ারি ককটেল বিস্ফোরণে হাতের কবজি উড়ে যায়, দুই চোখ আঘাতপ্রাপ্ত পায়। এলাকায় বিবদমান আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কারও ফেলে রাখা ককটেল হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় মহররমী।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার সময়ই চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, মহররমীর এক চোখ পুরো নষ্ট হয়ে গেছে এবং অন্য চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা ক্ষীণ। পরে ঢাকায় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ আই হসপিটাল লিমিটেডে তার চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সুফল পাওয়া যায়নি। মহররমীর পরিবার তার চোখ প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেছেন, সেটা হবে না। মহররমী আর দেখতে পাবে না।
হঠাৎ চোখের আলো হারিয়ে দিশেহারা মহররমী বেদনাভরা কণ্ঠে সাংবাদিকদের কাছে বলেছে, Ôআমি পড়তে চাই। শুনেছি অন্ধদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা স্কুল আছে। আমি সেখানে ভর্তি হতে চাই। কিন্তু কে আমাকে সেখানে নিয়ে যাবে?Õ
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়ামল গ্রুপ ও তামিজ গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এদেরই লুকিয়ে রাখা ককটেল কুড়িয়ে পেয়ে নাড়াচারা করার সময় মহররমীর কবজি উড়ে যায়, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মহররমরীর কবজি উড়ে যাওয়া ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দায় ওই বিবদমান দুই গ্রুপ এড়াতে পারে না বলে পুলিশও মনে করে। পুলিশ বাদী হয়ে একাধিক মামলা করেছে। দুই পক্ষের কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
এখন মহররমীর চোখের আলো কেড়ে নেওয়ার জন্য যাদের প্রতি সন্দেহ, তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোনো আইনি সুযোগ কি আছে? আইন যদি এক্ষেত্রে অন্ধ হয়, তাহলে নৈতিক দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এড়াতে পারেন না। কারও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই যদি আরেকজনের ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে তা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহররমীর আশা ও স্বপ্ন পূরণের নিশ্চয়তা বিধান করার দাবি আমরা তুলছি। নষ্ট রাজনীতির অশুভ প্রতিযোগিতা কারও জীবনের স্বপ্ন নষ্ট হওয়ার কারণ হোক, তা কারও কাম্য হতে পারে না।
চাপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার গণকা মহল্লার মহররমী নামের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর গত ১ ফেব্রুয়ারি ককটেল বিস্ফোরণে হাতের কবজি উড়ে যায়, দুই চোখ আঘাতপ্রাপ্ত পায়। এলাকায় বিবদমান আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কারও ফেলে রাখা ককটেল হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় মহররমী।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার সময়ই চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, মহররমীর এক চোখ পুরো নষ্ট হয়ে গেছে এবং অন্য চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা ক্ষীণ। পরে ঢাকায় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ আই হসপিটাল লিমিটেডে তার চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সুফল পাওয়া যায়নি। মহররমীর পরিবার তার চোখ প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেছেন, সেটা হবে না। মহররমী আর দেখতে পাবে না।
হঠাৎ চোখের আলো হারিয়ে দিশেহারা মহররমী বেদনাভরা কণ্ঠে সাংবাদিকদের কাছে বলেছে, Ôআমি পড়তে চাই। শুনেছি অন্ধদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা স্কুল আছে। আমি সেখানে ভর্তি হতে চাই। কিন্তু কে আমাকে সেখানে নিয়ে যাবে?Õ
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়ামল গ্রুপ ও তামিজ গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এদেরই লুকিয়ে রাখা ককটেল কুড়িয়ে পেয়ে নাড়াচারা করার সময় মহররমীর কবজি উড়ে যায়, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মহররমরীর কবজি উড়ে যাওয়া ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দায় ওই বিবদমান দুই গ্রুপ এড়াতে পারে না বলে পুলিশও মনে করে। পুলিশ বাদী হয়ে একাধিক মামলা করেছে। দুই পক্ষের কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
এখন মহররমীর চোখের আলো কেড়ে নেওয়ার জন্য যাদের প্রতি সন্দেহ, তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোনো আইনি সুযোগ কি আছে? আইন যদি এক্ষেত্রে অন্ধ হয়, তাহলে নৈতিক দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এড়াতে পারেন না। কারও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই যদি আরেকজনের ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে তা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহররমীর আশা ও স্বপ্ন পূরণের নিশ্চয়তা বিধান করার দাবি আমরা তুলছি। নষ্ট রাজনীতির অশুভ প্রতিযোগিতা কারও জীবনের স্বপ্ন নষ্ট হওয়ার কারণ হোক, তা কারও কাম্য হতে পারে না।
গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
১৩ ঘণ্টা আগেমে মাসে সূর্য যেন শুধু তাপ নয়, আগুন ছড়াচ্ছে। আকাশ থেকে যেন নেমে এসেছে মাথার ওপর, ওপর থেকে ঢুকে গেছে, যাচ্ছে ভেতরে। শহরের রাস্তায় আগুনের মতো উত্তাপ, গ্রামগঞ্জে পানির জন্য হাহাকার।
১৩ ঘণ্টা আগেউপকূলীয় এলাকায় জেগে ওঠা চরাঞ্চলে ১৯৬৫ সাল থেকে বন সৃষ্টি করা হচ্ছে, যাকে প্যারাবন বলা হয়। বন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর এবং কক্সবাজার জেলায় এই প্যারাবন গড়ে উঠেছে। প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার হেক্টর ভূমিতে এই বন তৈরি করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরের একটি গ্রামে সম্প্রতি যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোই বটে। একই সঙ্গে আমাদের গ্রামীণ সমাজকাঠামোতে যে এখনো গ্রাম্য মাতবরদের দৌরাত্ম্য আছে, সেটা স্পষ্ট হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে