সম্পাদকীয়
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের শাশ্বতী কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি অনেকেরই খুব প্রিয়। ‘একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে, ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী’। এই পঙ্ক্তি দুটো নিয়ে কতই-না আলোচনা। একটিমাত্র কথা, তাতেই ভর করেছে একটি নয়, দুটি নয়, সাত-সাতটি অমরাবতী!
সুধীন্দ্রনাথ লিখেছেন খুব কম। কবিতার মোট বইয়ের সংখ্যা ছয়টি, গদ্যের বই দুটি। আর লেখা শুরু করেছিলেন আত্মজীবনী, সেটাও রেখে গেছেন অসমাপ্ত। কাব্যের ব্যাপারে ভীষণ খুঁতখুঁতে এই মানুষটি একবার কবিতায় লিখেছিলেন ‘উড়ে চলে গেছে’। শব্দগুলো তাঁর কবিতায় সুপ্রযুক্ত হয়নি ভেবে পরে তিনি লিখেছিলেন ‘উড্ডীন’ শব্দটি।
দারুণ মেধাবী ছিলেন তিনি। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হয়েছিলেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগেই ভর্তি হয়েছিলেন এমএ পড়ার জন্য। পড়ছিলেন বেশ। কিন্তু এ সময় জিওফ্রে চসারকে নিয়ে এক ক্লাসে মাস্টারমশাই বললেন চসার পাঠ করতে। করলেন সুধীন্দ্রনাথ। এরপর তিন-চার দিন ধরে মাস্টার সাহেব সুধীন্দ্রনাথকে দিয়ে চসারই পাঠ করাতে লাগলেন। সেটা ভালো লাগল না সুধীন্দ্রনাথের। তিনি আপত্তি জানালেন। তাতে খেপে উঠলেন শিক্ষক। উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানালে ক্ষমা চাইলেন সুধীন্দ্রনাথ, কিন্তু প্রতিবাদে পড়াশোনারও ঘটালেন ইতি।
প্রথাগত ডিগ্রি না থাকলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তুলনামূলক সাহিত্য’ বিভাগে সুধীন্দ্রনাথকে চাকরি দিয়েছিলেন। ডিগ্রিহীন শিক্ষক তো নেওয়া হয় না, তাই খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেই সেখানে ক্লাস নিয়েছেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। গোটা কলকাতা জানত, ডিগ্রি না থাকুক, কলকাতায় তুলনামূলক সাহিত্যে মালার্মে, ভালেরি, রিলকে এলিয়ট পড়ানোর জন্য সুধীন্দ্রনাথের চেয়ে যোগ্য মানুষ আর কেউই ছিলেন না। ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মেছিলেন এই কবি।
সূত্র: শিশির রায়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সুধীন্দ্রনাথ দত্তের শাশ্বতী কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি অনেকেরই খুব প্রিয়। ‘একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে, ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী’। এই পঙ্ক্তি দুটো নিয়ে কতই-না আলোচনা। একটিমাত্র কথা, তাতেই ভর করেছে একটি নয়, দুটি নয়, সাত-সাতটি অমরাবতী!
সুধীন্দ্রনাথ লিখেছেন খুব কম। কবিতার মোট বইয়ের সংখ্যা ছয়টি, গদ্যের বই দুটি। আর লেখা শুরু করেছিলেন আত্মজীবনী, সেটাও রেখে গেছেন অসমাপ্ত। কাব্যের ব্যাপারে ভীষণ খুঁতখুঁতে এই মানুষটি একবার কবিতায় লিখেছিলেন ‘উড়ে চলে গেছে’। শব্দগুলো তাঁর কবিতায় সুপ্রযুক্ত হয়নি ভেবে পরে তিনি লিখেছিলেন ‘উড্ডীন’ শব্দটি।
দারুণ মেধাবী ছিলেন তিনি। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হয়েছিলেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগেই ভর্তি হয়েছিলেন এমএ পড়ার জন্য। পড়ছিলেন বেশ। কিন্তু এ সময় জিওফ্রে চসারকে নিয়ে এক ক্লাসে মাস্টারমশাই বললেন চসার পাঠ করতে। করলেন সুধীন্দ্রনাথ। এরপর তিন-চার দিন ধরে মাস্টার সাহেব সুধীন্দ্রনাথকে দিয়ে চসারই পাঠ করাতে লাগলেন। সেটা ভালো লাগল না সুধীন্দ্রনাথের। তিনি আপত্তি জানালেন। তাতে খেপে উঠলেন শিক্ষক। উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানালে ক্ষমা চাইলেন সুধীন্দ্রনাথ, কিন্তু প্রতিবাদে পড়াশোনারও ঘটালেন ইতি।
প্রথাগত ডিগ্রি না থাকলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তুলনামূলক সাহিত্য’ বিভাগে সুধীন্দ্রনাথকে চাকরি দিয়েছিলেন। ডিগ্রিহীন শিক্ষক তো নেওয়া হয় না, তাই খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেই সেখানে ক্লাস নিয়েছেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। গোটা কলকাতা জানত, ডিগ্রি না থাকুক, কলকাতায় তুলনামূলক সাহিত্যে মালার্মে, ভালেরি, রিলকে এলিয়ট পড়ানোর জন্য সুধীন্দ্রনাথের চেয়ে যোগ্য মানুষ আর কেউই ছিলেন না। ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মেছিলেন এই কবি।
সূত্র: শিশির রায়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
রাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বাস্তবায়নের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ এবং চীন-ভারতের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশকে জটিল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে ফেলতে পারে। এটি শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি পাঠাগারে আক্রমণ চালিয়ে কিছু ব্যক্তি সব বইপুস্তক নিয়ে যায়। তাদের ইচ্ছে ছিল আগুন দিয়ে লাইব্রেরিটি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের হস্তক্ষেপে লাইব্রেরিটি ভস্মীভূত হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
১ দিন আগেমে দিবস আসে প্রতিবছর, আসে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিতে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট আন্দোলনের আগুন আজও নিভে যায়নি, বরং সময়ের পরম্পরায় সেই আগুনই আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্নে।
১ দিন আগেজার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়।
১ দিন আগে