সম্পাদকীয়
ফিরোজা বেগমকে সবাই নজরুলসংগীতের খ্যাতিমান শিল্পী বলেই মনে রেখেছে। কিন্তু শুরুর দিকে তিনি সবধরনের গানই গাইতেন। পাকিস্তান আমলে ভারতীয় হাইকমিশনের কোনো অনুষ্ঠানে তিনি গেয়েছিলেন রবীন্দ্রসংগীত, ‘ডাকব না, ডাকব না, অমন করে বাইরে থেকে ডাকব না...’। সেটা ছিল সম্ভবত কোনো রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান।
পাকিস্তান আমলেই একবার কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ফিরোজা বেগম। ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোখলেসুর রহমান, যিনি সিধু ভাই নামেই পরিচিত ছিলেন। বললেন, ‘ফিরোজা বেগম এসেছেন। তাঁকে দিয়েই আমরা ছায়ানটের প্রথম শ্রোতার আসর করাব।’
সাজ সাজ রব পড়ে গেল। সিধু ভাই-রোজবুর বাড়িতেই বসবে সে আসর। তত দিনে নজরুলসংগীতের সঙ্গে ফিরোজা বেগমের নাম এমনভাবে লেপ্টে গেছে যে, মনে হয় একেবারে হরিহর আত্মা।
তবে সেই শ্রোতার আসরে ফিরোজা বেগম কিন্তু গাইলেন নানা ধরনের গান। গাইলেন কিছু প্রাচীন গান, রজনীকান্তের গান, লোকগান। আর অবশ্যই গাইলেন নজরুলের গান। ‘সখী, আমি না হয় মান করেছিনু’ আর ‘হংসগমনে চলিল রাই’ গান দুটো শুনে ফাহমিদা খাতুন এতটাই অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন যে ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে সেই গান দুটি শিখে নিলেন। রজনীকান্তের ‘এরা চাহিতে জানে না দয়াময়’ গানখানি শুনে পাগল হয়ে গেলেন সন্জীদা খাতুন। এ গানটি ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে শিখে আসার জন্য তিনি সেলিনা মালিককে পাঠিয়ে দিলেন তাঁর কাছে।
সেই ফিরোজা বেগম অনেক কষ্টে নজরুলের গানের স্বরলিপি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ছাপানোর জন্য টাকা পাবেন কোথায়? সন্জীদা খাতুন তাঁকে পরামর্শ দিলেন বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করতে। একাডেমির পরিচালক সৈয়দ আলী আহসান কথা দিলেন ছাপবেন।
তাঁর গানের স্বরলিপি ছাপা হয়েছিল কি না, সে খবর কেউ রাখেনি। ফিরোজা বেগমের মৃত্যুর পর সন্জীদা খাতুনের মনে পড়ল পাণ্ডুলিপির কথা। তিনি যোগাযোগ করলেন বাংলা একাডমিতে। জানা গেল, তা কয়েক খণ্ডে ছাপা হয়েছিল। প্রচ্ছদ করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৭
ফিরোজা বেগমকে সবাই নজরুলসংগীতের খ্যাতিমান শিল্পী বলেই মনে রেখেছে। কিন্তু শুরুর দিকে তিনি সবধরনের গানই গাইতেন। পাকিস্তান আমলে ভারতীয় হাইকমিশনের কোনো অনুষ্ঠানে তিনি গেয়েছিলেন রবীন্দ্রসংগীত, ‘ডাকব না, ডাকব না, অমন করে বাইরে থেকে ডাকব না...’। সেটা ছিল সম্ভবত কোনো রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান।
পাকিস্তান আমলেই একবার কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ফিরোজা বেগম। ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোখলেসুর রহমান, যিনি সিধু ভাই নামেই পরিচিত ছিলেন। বললেন, ‘ফিরোজা বেগম এসেছেন। তাঁকে দিয়েই আমরা ছায়ানটের প্রথম শ্রোতার আসর করাব।’
সাজ সাজ রব পড়ে গেল। সিধু ভাই-রোজবুর বাড়িতেই বসবে সে আসর। তত দিনে নজরুলসংগীতের সঙ্গে ফিরোজা বেগমের নাম এমনভাবে লেপ্টে গেছে যে, মনে হয় একেবারে হরিহর আত্মা।
তবে সেই শ্রোতার আসরে ফিরোজা বেগম কিন্তু গাইলেন নানা ধরনের গান। গাইলেন কিছু প্রাচীন গান, রজনীকান্তের গান, লোকগান। আর অবশ্যই গাইলেন নজরুলের গান। ‘সখী, আমি না হয় মান করেছিনু’ আর ‘হংসগমনে চলিল রাই’ গান দুটো শুনে ফাহমিদা খাতুন এতটাই অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন যে ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে সেই গান দুটি শিখে নিলেন। রজনীকান্তের ‘এরা চাহিতে জানে না দয়াময়’ গানখানি শুনে পাগল হয়ে গেলেন সন্জীদা খাতুন। এ গানটি ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে শিখে আসার জন্য তিনি সেলিনা মালিককে পাঠিয়ে দিলেন তাঁর কাছে।
সেই ফিরোজা বেগম অনেক কষ্টে নজরুলের গানের স্বরলিপি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ছাপানোর জন্য টাকা পাবেন কোথায়? সন্জীদা খাতুন তাঁকে পরামর্শ দিলেন বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করতে। একাডেমির পরিচালক সৈয়দ আলী আহসান কথা দিলেন ছাপবেন।
তাঁর গানের স্বরলিপি ছাপা হয়েছিল কি না, সে খবর কেউ রাখেনি। ফিরোজা বেগমের মৃত্যুর পর সন্জীদা খাতুনের মনে পড়ল পাণ্ডুলিপির কথা। তিনি যোগাযোগ করলেন বাংলা একাডমিতে। জানা গেল, তা কয়েক খণ্ডে ছাপা হয়েছিল। প্রচ্ছদ করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৭
রাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বাস্তবায়নের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ এবং চীন-ভারতের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশকে জটিল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে ফেলতে পারে। এটি শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
১ দিন আগেসম্প্রতি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি পাঠাগারে আক্রমণ চালিয়ে কিছু ব্যক্তি সব বইপুস্তক নিয়ে যায়। তাদের ইচ্ছে ছিল আগুন দিয়ে লাইব্রেরিটি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের হস্তক্ষেপে লাইব্রেরিটি ভস্মীভূত হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
২ দিন আগেমে দিবস আসে প্রতিবছর, আসে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিতে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট আন্দোলনের আগুন আজও নিভে যায়নি, বরং সময়ের পরম্পরায় সেই আগুনই আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্নে।
২ দিন আগেজার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়।
২ দিন আগে