সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের রাজনীতি অনেক লড়াই, ত্যাগ ও চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনগণের অবদান, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা এবং বারবার সংকটের মুখে টিকে থাকার ইতিহাস দেশটির সাফল্যের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে। আজকের পত্রিকায় ৪ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ শেষ, এখন দেশকে এগিয়ে নিতে হবে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিনাজপুর সরকারি কলেজে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের করণীয় সম্পর্কে নতুন দিকনির্দেশনার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুলের মতে, ‘গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে।’ এই কথাটি যেমন আশাবাদী করে তোলে, তেমনই প্রশ্ন জাগায়—এই যুদ্ধের ফলাফল কি প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে গেছে, নাকি এটি কেবল আরেকটি ক্ষমতার হাতবদল?
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরেই সংকটে। রাজনীতিতে সহনশীলতা এবং দায়িত্বশীলতার অভাব দেশের সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। মির্জা ফখরুল নিজেও স্বীকার করেছেন যে সংকীর্ণতা দূর করার মাধ্যমে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তিনি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, সহনশীলতা এবং দেশের প্রতি ভালোবাসার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি এমন এক আহ্বান, যা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে দেশের অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেয়।
নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিকাশে প্রধান বাধা। একে অপরকে শত্রু হিসেবে দেখা এবং অব্যাহত পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। জনগণের ভালোবাসা অর্জনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক রাজনীতি চর্চা করতে হবে।
এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো চিরকাল গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইয়ের কথা বললেও, প্রায়ই দেখা গেছে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে কাজ করেছে। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারবার ব্যাহত হয়েছে। বর্তমান সময়ে দলগুলোকে সংকীর্ণ দলীয় চিন্তার বাইরে গিয়ে দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
রাজনীতি শুধু ক্ষমতা দখলের মাধ্যম নয়, এটি একটি দায়িত্ব। যে দায়িত্ব দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করা এবং একটি ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন সুসংগঠিত একটি রূপরেখা, যা কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নয়, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের বিকাশ নিশ্চিত করবে।
মির্জা ফখরুল ঠিকই বলেছেন—‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংকীর্ণতা ত্যাগ করতে হবে।’ এখন প্রয়োজন এই বক্তব্যকে শুধু উচ্চারণে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করা। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে এবং জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক নেতাদের এগিয়ে আসা অপরিহার্য।
গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ যদি শেষ হয়েই থাকে, তবে এখন সময় দেশের জনগণকে সেই যুদ্ধের প্রকৃত ফলাফল উপহার দেওয়ার। ঐক্যের ভিত্তিতে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই হবে সেই স্বপ্নপূরণের প্রকৃত পথ।
বাংলাদেশের রাজনীতি অনেক লড়াই, ত্যাগ ও চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনগণের অবদান, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা এবং বারবার সংকটের মুখে টিকে থাকার ইতিহাস দেশটির সাফল্যের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে। আজকের পত্রিকায় ৪ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ শেষ, এখন দেশকে এগিয়ে নিতে হবে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিনাজপুর সরকারি কলেজে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের করণীয় সম্পর্কে নতুন দিকনির্দেশনার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুলের মতে, ‘গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে।’ এই কথাটি যেমন আশাবাদী করে তোলে, তেমনই প্রশ্ন জাগায়—এই যুদ্ধের ফলাফল কি প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে গেছে, নাকি এটি কেবল আরেকটি ক্ষমতার হাতবদল?
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরেই সংকটে। রাজনীতিতে সহনশীলতা এবং দায়িত্বশীলতার অভাব দেশের সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। মির্জা ফখরুল নিজেও স্বীকার করেছেন যে সংকীর্ণতা দূর করার মাধ্যমে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তিনি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, সহনশীলতা এবং দেশের প্রতি ভালোবাসার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি এমন এক আহ্বান, যা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে দেশের অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেয়।
নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিকাশে প্রধান বাধা। একে অপরকে শত্রু হিসেবে দেখা এবং অব্যাহত পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। জনগণের ভালোবাসা অর্জনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক রাজনীতি চর্চা করতে হবে।
এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো চিরকাল গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইয়ের কথা বললেও, প্রায়ই দেখা গেছে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে কাজ করেছে। এর ফলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারবার ব্যাহত হয়েছে। বর্তমান সময়ে দলগুলোকে সংকীর্ণ দলীয় চিন্তার বাইরে গিয়ে দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
রাজনীতি শুধু ক্ষমতা দখলের মাধ্যম নয়, এটি একটি দায়িত্ব। যে দায়িত্ব দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করা এবং একটি ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন সুসংগঠিত একটি রূপরেখা, যা কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নয়, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের বিকাশ নিশ্চিত করবে।
মির্জা ফখরুল ঠিকই বলেছেন—‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংকীর্ণতা ত্যাগ করতে হবে।’ এখন প্রয়োজন এই বক্তব্যকে শুধু উচ্চারণে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করা। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে এবং জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক নেতাদের এগিয়ে আসা অপরিহার্য।
গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ যদি শেষ হয়েই থাকে, তবে এখন সময় দেশের জনগণকে সেই যুদ্ধের প্রকৃত ফলাফল উপহার দেওয়ার। ঐক্যের ভিত্তিতে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই হবে সেই স্বপ্নপূরণের প্রকৃত পথ।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্ক্সবাদী চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
৯ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে শুরু হওয়া ‘জাতীয় ঐকমত্য’ প্রক্রিয়া তার শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু এখনো দেখা যাচ্ছে, প্রক্রিয়ার শুরুর জায়গাটিই ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। একদিকে রয়েছে ১৬৬টি প্রস্তাব, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের পাহাড়।
৯ ঘণ্টা আগেলেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১ দিন আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১ দিন আগে