সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম ‘মরণব্যাধি’ ক্যানসার নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। সেই গবেষণার উপাত্ত থেকে জানা যায়, দেশে বছরে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে ৫৩ জন। বর্তমানে ১ লাখ মানুষের মধ্যে ক্যানসার রোগী রয়েছে ১০৬ জন। আর দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশের জন্য দায়ী প্রাণঘাতী এই কর্কট রোগ। ২ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে। শুধু দেশের একটি উপজেলার মাত্র ২ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে এই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। সারা দেশে গবেষণাটি করলে পরিস্থিতি কত ভয়াবহ হবে, তা অনুমান করা কঠিন নয়।
বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস, সচেতনতার অভাব, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে না পারা এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা শুরু না করার কারণে ক্যানসার মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এসবের চেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, আমাদের দেশে এ রোগটির চিকিৎসাব্যবস্থার অপ্রতুলতা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক তথ্যমতে, জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটসহ দেশের ৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার চিকিৎসায় অতিপ্রয়োজনীয় রেডিওথেরাপির যন্ত্রের ৫০ শতাংশই বিকল। হাসপাতালগুলোতে গিয়ে রোগীরা ঠিকমতো রেডিওথেরাপি না পেয়ে ছুটছে বেসরকারি হাসপাতালে।
বেসরকারি হাসপাতালে একজন ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা বাবদ ব্যয় বছরে ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা, যা সরকারি হাসপাতালের তুলনায় ৮ থেকে ১০ গুণ। এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। এ তথ্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ক্যানসার চিকিৎসার সংকটের চিত্র। পাশাপাশি রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যা কম হওয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিট পেতে দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আছে। বিশেষ করে, গ্রামের নিরক্ষর বা অর্ধশিক্ষিত মানুষেরা ‘সিস্টেমের’ জাঁতাকলে পড়ে অনেক সময় সঠিক জায়গায় চিকিৎসার জন্য পৌঁছাতে পারে না। এ জন্য সরকারিভাবে মানুষকে সচেতন করা দরকার, যেন আক্রান্ত যে কেউ সহজে আসল জায়গায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারে।
সব চিকিৎসাব্যবস্থা রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ায় দূরের জেলার মানুষেরা বেশি অর্থ ব্যয়ের ভয়ে ঢাকায় আসতে পারে না। তাই ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রতি জেলায় সম্ভব না হলেও বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ করা দরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র প্রয়োজন। এই হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ২০০ চিকিৎসাকেন্দ্র প্রয়োজন। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩০টি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে।
সঠিক সময়ে ক্যানসার নির্ণয় করা এবং সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা গেলে রোগটি নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু তার আগে দেশে আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে জরুরি ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম ‘মরণব্যাধি’ ক্যানসার নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। সেই গবেষণার উপাত্ত থেকে জানা যায়, দেশে বছরে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে ৫৩ জন। বর্তমানে ১ লাখ মানুষের মধ্যে ক্যানসার রোগী রয়েছে ১০৬ জন। আর দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশের জন্য দায়ী প্রাণঘাতী এই কর্কট রোগ। ২ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে। শুধু দেশের একটি উপজেলার মাত্র ২ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে এই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। সারা দেশে গবেষণাটি করলে পরিস্থিতি কত ভয়াবহ হবে, তা অনুমান করা কঠিন নয়।
বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস, সচেতনতার অভাব, সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে না পারা এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা শুরু না করার কারণে ক্যানসার মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এসবের চেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, আমাদের দেশে এ রোগটির চিকিৎসাব্যবস্থার অপ্রতুলতা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক তথ্যমতে, জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটসহ দেশের ৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার চিকিৎসায় অতিপ্রয়োজনীয় রেডিওথেরাপির যন্ত্রের ৫০ শতাংশই বিকল। হাসপাতালগুলোতে গিয়ে রোগীরা ঠিকমতো রেডিওথেরাপি না পেয়ে ছুটছে বেসরকারি হাসপাতালে।
বেসরকারি হাসপাতালে একজন ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা বাবদ ব্যয় বছরে ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা, যা সরকারি হাসপাতালের তুলনায় ৮ থেকে ১০ গুণ। এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। এ তথ্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ক্যানসার চিকিৎসার সংকটের চিত্র। পাশাপাশি রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যা কম হওয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিট পেতে দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আছে। বিশেষ করে, গ্রামের নিরক্ষর বা অর্ধশিক্ষিত মানুষেরা ‘সিস্টেমের’ জাঁতাকলে পড়ে অনেক সময় সঠিক জায়গায় চিকিৎসার জন্য পৌঁছাতে পারে না। এ জন্য সরকারিভাবে মানুষকে সচেতন করা দরকার, যেন আক্রান্ত যে কেউ সহজে আসল জায়গায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারে।
সব চিকিৎসাব্যবস্থা রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ায় দূরের জেলার মানুষেরা বেশি অর্থ ব্যয়ের ভয়ে ঢাকায় আসতে পারে না। তাই ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রতি জেলায় সম্ভব না হলেও বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ করা দরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র প্রয়োজন। এই হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ২০০ চিকিৎসাকেন্দ্র প্রয়োজন। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩০টি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে।
সঠিক সময়ে ক্যানসার নির্ণয় করা এবং সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা গেলে রোগটি নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু তার আগে দেশে আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে জরুরি ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১ দিন আগে