সম্পাদকীয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও স্পষ্টভাবে তাঁদের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন—তাঁরা ডাকসু নির্বাচন চান, অবিলম্বে ও নিরপেক্ষভাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত পরামর্শক কমিটির সর্বশেষ জরিপে দেখা যাচ্ছে, অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৭৪৩ শিক্ষার্থীর ৯৬ শতাংশই মনে করেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন জরুরি এবং অনিবার্য। ২৬ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এটা সবারই জানা যে দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ থাকার ফলে সাংগঠনিক শূন্যতা এবং নেতৃত্ব তৈরির স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ মনে করে, চলতি বছরের মধ্যেই অর্থাৎ জুন মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হলে সেটি সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর এই অভিমত এই ধারণাকেই জোরদার করে যে, তাঁরা অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন; তাঁরা চান, প্রশাসন এখনই দায়িত্ব নিয়ে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করুক। বারবার নানান অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, ‘সঠিক পরিবেশ নেই’ কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে ডাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যে ধারা এত দিন চলেছে, তা আর শিক্ষার্থীরা মানতে রাজি নন।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা বলেছেন, ১৮ শতাংশ ডিজিটাল পদ্ধতির ভোট গ্রহণ ও গণনার পক্ষে মত দিয়েছেন, আর কেউ কেউ নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে পূর্বসম্মতি ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীরা শুধু নির্বাচন চান না, তাঁরা একটি পরিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তি-সমর্থিত নির্বাচন চান—যেখানে কারচুপি, সহিংসতা কিংবা প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ থাকবে না।
প্রার্থিতার যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়েও শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যৌক্তিক পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, প্রার্থীর কমপক্ষে এক বছরের বৈধ ছাত্রত্ব থাকতে হবে; কেউ বলেছেন, একটি ন্যূনতম সিজিপিএ থাকা উচিত; কেউ আবার বয়সসীমা নির্ধারণ, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তদের অযোগ্য ঘোষণা করার মতো প্রস্তাব দিয়েছেন। এসব প্রস্তাব শিক্ষার্থীদের নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রতি তাঁদের আকাঙ্ক্ষার পরিচায়ক।
নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত প্রশ্নেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের আস্থার জায়গা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি মিলে কমিশন গঠন করা উচিত। এতে যেমন একধরনের ভারসাম্য বজায় থাকবে, তেমনি একক সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা কমে গিয়ে কমিশনের প্রতি আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আর কোনো দ্বিধা নয়, বরং সাহসিকতা, স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছা নিয়ে ডাকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে, যাঁরা হয়তো ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে পরিচালনা করবেন। যাঁরা ইতিহাসের দিকে তাকাতে জানেন, তাঁদের কাছে এটাও জানা যে ডাকসু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণ ফিরে পাক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও স্পষ্টভাবে তাঁদের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন—তাঁরা ডাকসু নির্বাচন চান, অবিলম্বে ও নিরপেক্ষভাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত পরামর্শক কমিটির সর্বশেষ জরিপে দেখা যাচ্ছে, অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৭৪৩ শিক্ষার্থীর ৯৬ শতাংশই মনে করেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন জরুরি এবং অনিবার্য। ২৬ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এটা সবারই জানা যে দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ থাকার ফলে সাংগঠনিক শূন্যতা এবং নেতৃত্ব তৈরির স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ মনে করে, চলতি বছরের মধ্যেই অর্থাৎ জুন মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হলে সেটি সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর এই অভিমত এই ধারণাকেই জোরদার করে যে, তাঁরা অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন; তাঁরা চান, প্রশাসন এখনই দায়িত্ব নিয়ে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করুক। বারবার নানান অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, ‘সঠিক পরিবেশ নেই’ কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে ডাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যে ধারা এত দিন চলেছে, তা আর শিক্ষার্থীরা মানতে রাজি নন।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা বলেছেন, ১৮ শতাংশ ডিজিটাল পদ্ধতির ভোট গ্রহণ ও গণনার পক্ষে মত দিয়েছেন, আর কেউ কেউ নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে পূর্বসম্মতি ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীরা শুধু নির্বাচন চান না, তাঁরা একটি পরিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তি-সমর্থিত নির্বাচন চান—যেখানে কারচুপি, সহিংসতা কিংবা প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ থাকবে না।
প্রার্থিতার যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়েও শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যৌক্তিক পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন, প্রার্থীর কমপক্ষে এক বছরের বৈধ ছাত্রত্ব থাকতে হবে; কেউ বলেছেন, একটি ন্যূনতম সিজিপিএ থাকা উচিত; কেউ আবার বয়সসীমা নির্ধারণ, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তদের অযোগ্য ঘোষণা করার মতো প্রস্তাব দিয়েছেন। এসব প্রস্তাব শিক্ষার্থীদের নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রতি তাঁদের আকাঙ্ক্ষার পরিচায়ক।
নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত প্রশ্নেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের আস্থার জায়গা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধি মিলে কমিশন গঠন করা উচিত। এতে যেমন একধরনের ভারসাম্য বজায় থাকবে, তেমনি একক সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা কমে গিয়ে কমিশনের প্রতি আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আর কোনো দ্বিধা নয়, বরং সাহসিকতা, স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছা নিয়ে ডাকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে, যাঁরা হয়তো ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে পরিচালনা করবেন। যাঁরা ইতিহাসের দিকে তাকাতে জানেন, তাঁদের কাছে এটাও জানা যে ডাকসু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণ ফিরে পাক।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১ দিন আগে