সম্পাদকীয়
ফিরে এসেছে বিজয়া দশমী, ফিরে এসেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। বাঙালি হিন্দুসমাজের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের শুভক্ষণে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা। পুরাণ অনুসরণ করলে আমরা দেখতে পাই, দুর্গা অসুরবিনাশী দেবী। একই সঙ্গে তিনি দুর্গতিনাশিনী, দুর্গতিগ্রস্ত জীবের প্রতি বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত, দুর্গতিনাশ করেন। এবার দেবী এসেছেন ঘোড়ায়। গমন হবে দোলায় চড়ে। দেবী দুর্গা অশুভ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন, তিনি অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। সব সময়ই অন্যায় ও অশুভের বিরুদ্ধে দেবী দুর্গার অবস্থান।
শুধু বাংলাদেশ বা ভারতের বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীরাই শারদীয় দুর্গোৎসবকে তাঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মনে করেন না; বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাঙালি হিন্দুরা দুর্গাপূজাকে তাঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বলে মনে করেন। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা যায়, এই উৎসবে শরিক হয়েছেন সারা বিশ্বের বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ। এখানে এ কথা বলা মোটেই অমূলক হবে না যে, শত শত বছরের ঐতিহ্যের কারণে পাশাপাশি বসবাস করে আসা বাঙালি হিন্দু-মুসলমান তাঁদের পারস্পরিক ধর্মীয় উৎসবে সানন্দে অংশ নিয়ে থাকেন। তাতে আবহমান কাল ধরে বাঙালির সামাজিক সম্প্রীতি সুদৃঢ় হয়েছে। এটা বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্যেরই অংশ। আর এ কারণেই দুর্গোৎসব সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।
ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি রাখলে দেখা যাবে, একসময় পূজার মূল আয়োজন হতো বনেদি হিন্দু জমিদারবাড়িতে। এরপর কালপ্রবাহে তা ছড়িয়ে পড়ে, হয়ে ওঠে সর্বজনীন। এখন এই উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অশুভের বিনাশ ঘটবে—এই বিশ্বাস থেকে যাঁরা উৎসবে যোগ দেন, তাঁরা একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুকে নিয়ে গড়তে চান জীবন। সেটাই হয়ে ওঠে সামনে এগিয়ে চলার পাথেয়। এ কারণেই এই উৎসব হয়ে ওঠে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব।
বিগত প্রায় দুই বছর করোনার ভয়াবহ থাবা জীবনকে করে তুলেছিল বিপর্যস্ত। এখনো সে সংকট পুরোপুরি কাটেনি। করোনা সংক্রমণের রেখাচিত্রটি আপাতত নিম্নগামী। তাই এবার অন্তত গতবারের চেয়ে একটু সাড়ম্বরেই প্রাণে প্রাণে মিলনের আয়োজন বসেছে।
একটি আক্ষেপ রয়ে গেল। প্রতিবারের মতো এবারও দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব রটিয়ে আবারও একশ্রেণির অসৎ মানুষ পূজার আনন্দ নস্যাৎ করতে চেয়েছে। যাঁরা এসব ‘কীর্তি’ ঘটিয়েছেন বা ঘটিয়ে থাকেন, তাঁরা আর যা-ই হোক, উদার মানসিকতার মানুষ নন। বরং তাঁদের উন্মাদ ও স্বার্থান্বেষী বদমাশ বলেই আখ্যা দেওয়া যায়। এঁরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের ঔদ্ধত্য ও হিংস্রতা দিয়ে নিজের ধর্মবিশ্বাসের ওপরই আঘাত হানেন। এঁরা সবারই শত্রু।
এ দেশের সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব মুক্তভাবে পালন করবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে শক্তিশালী করবে—এটাই শারদীয় উৎসবের মূল আকাঙ্ক্ষা হোক। শুভ বিজয়া।
ফিরে এসেছে বিজয়া দশমী, ফিরে এসেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। বাঙালি হিন্দুসমাজের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের শুভক্ষণে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা। পুরাণ অনুসরণ করলে আমরা দেখতে পাই, দুর্গা অসুরবিনাশী দেবী। একই সঙ্গে তিনি দুর্গতিনাশিনী, দুর্গতিগ্রস্ত জীবের প্রতি বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত, দুর্গতিনাশ করেন। এবার দেবী এসেছেন ঘোড়ায়। গমন হবে দোলায় চড়ে। দেবী দুর্গা অশুভ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন, তিনি অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। সব সময়ই অন্যায় ও অশুভের বিরুদ্ধে দেবী দুর্গার অবস্থান।
শুধু বাংলাদেশ বা ভারতের বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীরাই শারদীয় দুর্গোৎসবকে তাঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মনে করেন না; বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাঙালি হিন্দুরা দুর্গাপূজাকে তাঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বলে মনে করেন। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা যায়, এই উৎসবে শরিক হয়েছেন সারা বিশ্বের বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ। এখানে এ কথা বলা মোটেই অমূলক হবে না যে, শত শত বছরের ঐতিহ্যের কারণে পাশাপাশি বসবাস করে আসা বাঙালি হিন্দু-মুসলমান তাঁদের পারস্পরিক ধর্মীয় উৎসবে সানন্দে অংশ নিয়ে থাকেন। তাতে আবহমান কাল ধরে বাঙালির সামাজিক সম্প্রীতি সুদৃঢ় হয়েছে। এটা বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্যেরই অংশ। আর এ কারণেই দুর্গোৎসব সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।
ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি রাখলে দেখা যাবে, একসময় পূজার মূল আয়োজন হতো বনেদি হিন্দু জমিদারবাড়িতে। এরপর কালপ্রবাহে তা ছড়িয়ে পড়ে, হয়ে ওঠে সর্বজনীন। এখন এই উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অশুভের বিনাশ ঘটবে—এই বিশ্বাস থেকে যাঁরা উৎসবে যোগ দেন, তাঁরা একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুকে নিয়ে গড়তে চান জীবন। সেটাই হয়ে ওঠে সামনে এগিয়ে চলার পাথেয়। এ কারণেই এই উৎসব হয়ে ওঠে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব।
বিগত প্রায় দুই বছর করোনার ভয়াবহ থাবা জীবনকে করে তুলেছিল বিপর্যস্ত। এখনো সে সংকট পুরোপুরি কাটেনি। করোনা সংক্রমণের রেখাচিত্রটি আপাতত নিম্নগামী। তাই এবার অন্তত গতবারের চেয়ে একটু সাড়ম্বরেই প্রাণে প্রাণে মিলনের আয়োজন বসেছে।
একটি আক্ষেপ রয়ে গেল। প্রতিবারের মতো এবারও দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব রটিয়ে আবারও একশ্রেণির অসৎ মানুষ পূজার আনন্দ নস্যাৎ করতে চেয়েছে। যাঁরা এসব ‘কীর্তি’ ঘটিয়েছেন বা ঘটিয়ে থাকেন, তাঁরা আর যা-ই হোক, উদার মানসিকতার মানুষ নন। বরং তাঁদের উন্মাদ ও স্বার্থান্বেষী বদমাশ বলেই আখ্যা দেওয়া যায়। এঁরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের ঔদ্ধত্য ও হিংস্রতা দিয়ে নিজের ধর্মবিশ্বাসের ওপরই আঘাত হানেন। এঁরা সবারই শত্রু।
এ দেশের সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব মুক্তভাবে পালন করবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে শক্তিশালী করবে—এটাই শারদীয় উৎসবের মূল আকাঙ্ক্ষা হোক। শুভ বিজয়া।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেকিছুদিন আগে ভোলাগঞ্জের পাথর নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে—পাথর অপসারণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সাদাপাথর, যেখানে পর্যটকেরা এই পাথর দেখার টানে ভ্রমণে যেতেন। পাথর সরানোর পরে সেখানে গেলে দেখতে পাবেন মাটি ও বালুর বিছানা পাতা। যা হোক, প্রশাসনের উদ্যোগ ও সচেতন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিষয়টি, পাথর আবার
১৯ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় চাঁদাবাজদের রমরমা অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ২৪ আগস্টের আজকের পত্রিকায়। চাঁদাবাজেরা যে কাউকে পরোয়া করে না, তারই একটি চিত্র যেন এই প্রতিবেদনটি। এত দিন পত্রপত্রিকায় পেঁপে, লাউ, আখের বাম্পার ফলন ধরনের সংবাদ ছাপা হতো। এখন যদি বলা হয়, চাঁদাবাজিরও বাম্পার ফলন হয়েছে, তাহলে কি
১৯ ঘণ্টা আগে‘হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন মোড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয় গত ১৭ জানুয়ারি। আল জাজিরা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ইতিহাস দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ।
২ দিন আগে