Ajker Patrika

শুরু হোক আনন্দময় ক্রীড়ারাজ্য ভ্রমণ

সম্পাদকীয়
শুরু হোক আনন্দময় ক্রীড়ারাজ্য ভ্রমণ

বহুল প্রতীক্ষিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে কোভিড সারা বিশ্বের জীবনধারাকে বিপর্যস্ত করে রেখেছিল, তার রেশ পড়েছিল ক্রীড়াঙ্গনেও। স্তব্ধ-নিথর  একটা সময় কাটানোর পর একটু একটু করে ক্রীড়াঙ্গনও জেগে উঠেছে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে বসেছে ফুটবল, ক্রিকেটের মেলা। নামী খেলোয়াড়দের টেলিভিশনের পর্দায় দেখে তৃপ্ত হয়েছেন ভক্তরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও পড়েছিল সেই গাড্ডায়। শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় বসার কথা ছিল এই বিশ্বকাপের আসর। সেটা ২০২০ সালের অক্টোবর-নভেম্বর। কিন্তু তখন কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল বলে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। এরপর সেই দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। কিন্তু কোভিডের কারণে ভারতও নিরাপদ ভেন্যু ছিল না। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যবস্থা হয়েছে। অপেক্ষার পালা শেষ। এবার পৃথিবীর ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের চোখ থাকবে টেলিভিশনের দিকে। টি-টোয়েন্টির উত্তেজনাকর, রোমাঞ্চজাগানিয়া খেলাগুলো এখন মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায়।

খেলাবিষয়ক তথ্য পাওয়া যাবে পত্রপত্রিকার খেলার পাতায় কিংবা টেলিভিশন-রেডিওর বিশেষ আয়োজনে। সে বিষয়ে আমরা যাব না। আমরা শুধু বলব, যেকোনো খেলাই যেন মনকে আনন্দ দিতে পারে, সেই মানসিকতাটাই জরুরি। বহুবার আমরা দেখেছি, খেলার জয়-পরাজয়কে অনেকেই ব্যক্তিগত জয়-পরাজয় বলে মনে করে থাকেন। যুক্তিহীন আবেগে ভেসে যাওয়া মানুষ নিজের ক্ষতি তো করেনই, ক্ষতি করেন আশপাশের মানুষেরও। এই টুর্নামেন্ট যে নিছক কয়েকটি খেলা, যেখানে এক দল জিতলে আরেক দলকে হারতে হবে—এই ছোট্ট সত্যটি মেনে নিলেই নিজের উত্তেজনা দিয়ে অন্যের ক্ষতি করার প্রবণতা থাকবে না।

খেলাধুলা বিষয়ে ইংরেজিতে ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’ বলে একটা কথা আছে। সেটা খেলোয়াড়দের জন্য যেমন প্রযোজ্য, তেমনি দর্শক-ভক্তদের জন্যও প্রযোজ্য। পরাজয় মেনে নেওয়া কিংবা বিজয়কে বরণ করে নেওয়ার মানসিকতা না থাকলে সেটা স্পোর্টসম্যান স্পিরিটকে মলিন করে দেয়। মাঠে যে দল ভালো পারফর্ম করবে, সেই দলের হবে জয়। যে দলের প্রস্তুতি ভালো, যে দলে টিমস্পিরিট তুঙ্গে, সে দলই ভালো পারফর্ম করবে। সুতরাং, খেলার সঙ্গে কোনো দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, জীবনযাত্রা ইত্যাদি মেলানো একেবারেই অনুচিত। কখনো কখনো জাতীয় দলের জয়-পরাজয়ে এমন কথাও উচ্চারিত হয়েছে, যা খেলার মূল উদ্দেশ্যকেই নস্যাৎ করে দিয়েছে। কখনো পরাজিত দল সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে, নিজ দল হারলে কথার চাবুকে খেলোয়াড়দের শরীর থেকে চামড়া তুলে নেওয়া হয়েছে।  

খেলার মাঠে আমরা খেলাটাই উপভোগ করতে চাই। জয়ী হলে আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই, পরাজিত হলে দুঃখটাও ভাগ করে নিতে চাই। কিন্তু খেলার জয়-পরাজয়ের সঙ্গে দেশের জয়-পরাজয়কে গুলিয়ে ফেলার কোনো কারণ নেই।

শুরু হোক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শুরু হোক আনন্দময় ক্রীড়ারাজ্য ভ্রমণ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত