সম্পাদকীয়
একজন আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশ এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, এখন পুরো একটি গ্রামের পুরুষ মানুষ গাঁ-ছাড়া হয়েছেন। এমনকি ৮০ বছরের একজন নারী মৃত্যুবরণ করা সত্ত্বেও তাঁর সন্তান বা অন্য আত্মীয়রা তাঁর সৎকারে এগিয়ে আসেননি। পরে পাশের গ্রামের কয়েকজন এসে মালঞ্চ রায় নামের ওই নারীর মরদেহ দাহ করেছেন।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রামপাড়া গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। ভয়ে-আতঙ্কে রাতে কোনো নারীও নিজ ঘরে থাকছেন না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল-অধ্যুষিত গ্রামটিতে ৩৬টি পরিবারের বাস। তো, কী এমন হলো যার জন্য গ্রামবাসী ভয়ে-আতঙ্কে গ্রাম থেকে পালাতে বাধ্য হলেন?
না, ঘটনা এক অর্থে সামান্যই। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে অসামান্য বানিয়ে ফেলেছে। মশা মারতে কামান দেগে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলা হয়েছে। রামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ রায় চোলাই মদ তৈরি করে পান করেন। পুলিশ এই অপরাধে তাঁকে একবার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছিল। আনন্দ জামিনে বেরিয়ে এসে আর আদালতে হাজিরা দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় গত শুক্রবার পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ধরে ফেলে। কিন্তু গ্রামবাসী তাতে বাধা দেন এবং পুলিশের সঙ্গে মারামারিতেও লিপ্ত হন।
পুলিশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, সেই ফাঁকে আনন্দ রায় সটকে পড়েন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আনন্দকে আর পায়নি, তবে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
এখন তল্লাশির নামে বাড়িঘরে ঢুকে আসবাব, হাঁড়ি-পাতিল ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি বাড়ির টিউবওয়েলের হাতলও খুলে নেওয়া হয়েছে।
আদিবাসী পরিষদের একজন নেতা জানিয়েছেন, পুলিশ সাদাপোশাকে আসামি আনন্দকে ধরতে যাওয়ায় গ্রামবাসী ভেবেছিল, কেউ হয়তো আনন্দকে অপহরণ করতে এসেছে। তাই তারা বাধা দিয়েছে।
এই ভাষ্য সত্য হতে পারে, না-ও পারে। তবে এটা তো ঠিক যে আনন্দ রায় কোনো দুর্ধর্ষ অপরাধী নন। চোলাই মদ তৈরি করে পান করেন। এটাও আদিবাসীদের কাছে হয়তো গুরুতর অপরাধ নয়। আনন্দ বড় যে অন্যায় করেছেন, সেটা হলো আদালতের শর্ত অমান্য করা।
তাঁকে ধরার জন্য পুলিশকে সাদাপোশাকে যেতে হলো কেন? তিনি পালিয়ে যাবেন বা তাঁকে ধরতে গেলে বাধা আসবে—তেমন আশঙ্কা থাকলে পুলিশ কি আদিবাসী পরিষদের সহযোগিতা নিতে পারত না?
মানুষের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ রাখাই তো পুলিশের দায়িত্ব। মানুষকে হয়রানির শিকারে পরিণত করা নিশ্চয়ই পুলিশের কাজ নয়। যাঁরা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন, তার বাইরে আর কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। আসামি আনন্দ রায়কে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি রামপাড়া গ্রামের মানুষের মন থেকে ভয় দূর করার কাজটিও এখন পুলিশকেই করতে হবে।
একজন আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশ এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, এখন পুরো একটি গ্রামের পুরুষ মানুষ গাঁ-ছাড়া হয়েছেন। এমনকি ৮০ বছরের একজন নারী মৃত্যুবরণ করা সত্ত্বেও তাঁর সন্তান বা অন্য আত্মীয়রা তাঁর সৎকারে এগিয়ে আসেননি। পরে পাশের গ্রামের কয়েকজন এসে মালঞ্চ রায় নামের ওই নারীর মরদেহ দাহ করেছেন।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রামপাড়া গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। ভয়ে-আতঙ্কে রাতে কোনো নারীও নিজ ঘরে থাকছেন না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল-অধ্যুষিত গ্রামটিতে ৩৬টি পরিবারের বাস। তো, কী এমন হলো যার জন্য গ্রামবাসী ভয়ে-আতঙ্কে গ্রাম থেকে পালাতে বাধ্য হলেন?
না, ঘটনা এক অর্থে সামান্যই। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে অসামান্য বানিয়ে ফেলেছে। মশা মারতে কামান দেগে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলা হয়েছে। রামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ রায় চোলাই মদ তৈরি করে পান করেন। পুলিশ এই অপরাধে তাঁকে একবার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছিল। আনন্দ জামিনে বেরিয়ে এসে আর আদালতে হাজিরা দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় গত শুক্রবার পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ধরে ফেলে। কিন্তু গ্রামবাসী তাতে বাধা দেন এবং পুলিশের সঙ্গে মারামারিতেও লিপ্ত হন।
পুলিশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, সেই ফাঁকে আনন্দ রায় সটকে পড়েন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আনন্দকে আর পায়নি, তবে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
এখন তল্লাশির নামে বাড়িঘরে ঢুকে আসবাব, হাঁড়ি-পাতিল ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি বাড়ির টিউবওয়েলের হাতলও খুলে নেওয়া হয়েছে।
আদিবাসী পরিষদের একজন নেতা জানিয়েছেন, পুলিশ সাদাপোশাকে আসামি আনন্দকে ধরতে যাওয়ায় গ্রামবাসী ভেবেছিল, কেউ হয়তো আনন্দকে অপহরণ করতে এসেছে। তাই তারা বাধা দিয়েছে।
এই ভাষ্য সত্য হতে পারে, না-ও পারে। তবে এটা তো ঠিক যে আনন্দ রায় কোনো দুর্ধর্ষ অপরাধী নন। চোলাই মদ তৈরি করে পান করেন। এটাও আদিবাসীদের কাছে হয়তো গুরুতর অপরাধ নয়। আনন্দ বড় যে অন্যায় করেছেন, সেটা হলো আদালতের শর্ত অমান্য করা।
তাঁকে ধরার জন্য পুলিশকে সাদাপোশাকে যেতে হলো কেন? তিনি পালিয়ে যাবেন বা তাঁকে ধরতে গেলে বাধা আসবে—তেমন আশঙ্কা থাকলে পুলিশ কি আদিবাসী পরিষদের সহযোগিতা নিতে পারত না?
মানুষের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ রাখাই তো পুলিশের দায়িত্ব। মানুষকে হয়রানির শিকারে পরিণত করা নিশ্চয়ই পুলিশের কাজ নয়। যাঁরা পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন, তার বাইরে আর কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। আসামি আনন্দ রায়কে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি রামপাড়া গ্রামের মানুষের মন থেকে ভয় দূর করার কাজটিও এখন পুলিশকেই করতে হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেকিছুদিন আগে ভোলাগঞ্জের পাথর নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে—পাথর অপসারণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সাদাপাথর, যেখানে পর্যটকেরা এই পাথর দেখার টানে ভ্রমণে যেতেন। পাথর সরানোর পরে সেখানে গেলে দেখতে পাবেন মাটি ও বালুর বিছানা পাতা। যা হোক, প্রশাসনের উদ্যোগ ও সচেতন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিষয়টি, পাথর আবার
১৩ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় চাঁদাবাজদের রমরমা অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ২৪ আগস্টের আজকের পত্রিকায়। চাঁদাবাজেরা যে কাউকে পরোয়া করে না, তারই একটি চিত্র যেন এই প্রতিবেদনটি। এত দিন পত্রপত্রিকায় পেঁপে, লাউ, আখের বাম্পার ফলন ধরনের সংবাদ ছাপা হতো। এখন যদি বলা হয়, চাঁদাবাজিরও বাম্পার ফলন হয়েছে, তাহলে কি
১৩ ঘণ্টা আগে‘হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন মোড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয় গত ১৭ জানুয়ারি। আল জাজিরা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ইতিহাস দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ।
২ দিন আগে