সম্পাদকীয়
পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করে নতুন পোশাকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাহিনীগুলোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পোশাকের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ২১ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, বাহিনীর সদস্যদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি। সে লক্ষ্যে পোশাক পরিবর্তন করা হচ্ছে। শুধু পোশাক নয়; বাহিনীগুলোকে জনবান্ধব করতে প্রশিক্ষণ পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হবে। পুলিশের নতুন পোশাক করা হচ্ছে আয়রন বা লোহার রং, র্যাবের অলিভ বা জলপাই এবং আনসারের পোশাক গোল্ডেন হুইট বা সোনালি গমের রং।
প্রশ্ন হলো, তিন বাহিনীর পোশাকের পরিবর্তন হলেই কি তাদের খাসলত বা আচরণের পরিবর্তন হবে? তিন বাহিনীর মধ্যে জনগণের কাজে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত থাকে পুলিশ। ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশের পোশাক ছিল খাকি। সেই সময় তারা ব্রিটিশ সরকার ও জমিদারদের রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে। ব্রিটিশ সরকার তাদের নিজেদের কাজের প্রয়োজনে পুলিশ বাহিনী পরিচালনার জন্য কিছু বিধিবিধান করেছিল। সেই বিধিবিধানে সাধারণ জনগণকে নিম্ন শ্রেণির প্রাণী হিসেবে দেখা হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশরা চলে গেলেও পুলিশের সেসব বিধিবিধানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এরপর ২০০৩ সালে প্রথমবার পুলিশের পোশাকের পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু পুলিশের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা সেই সরকারের তাঁবেদার ও লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। তবে গত সাড়ে ১৫ বছর এ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ উঠেছিল দলীয় ক্যাডার বাহিনীর ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়া। জুলাই আন্দোলনের সময় তারা ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে শিক্ষার্থী-জনতার ওপর। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সারা দেশের কোনো থানায় বেশ কয়েক দিন পুলিশের অস্তিত্ব দেখা যায়নি। অন্যদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ থাকার পরেও সেই সময় দেশের মানুষ পুলিশের প্রয়োজন অনুভব করেছিল তীব্রভাবে। তাদের অনুপস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে গিয়েছিল। এরপর তাদের কিছু দাবির ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর তদারকিতে তারা কাজে ফেরে। কিন্তু পুলিশ যে ট্রমার মধ্যে পড়েছিল, সেই অবস্থার এখনো কোনো উন্নতি ঘটেনি।
পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হলো, তাদের মধ্যে ঘুষ, দুর্নীতি, অবৈধ কার্যকলাপ এবং জনগণের প্রতি সেবার মানসিকতার অভাব আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, জনগণ তাদের প্রতি কোনো আস্থা পায় না। পোশাকের পরিবর্তন কি এই সমস্যাগুলোর কোনোটির সমাধান করতে পারবে? সে জন্য পুরো বাহিনীর কাঠামোর পরিবর্তন জরুরি। নিয়োগপ্রক্রিয়া, পদোন্নতি থেকে প্রশিক্ষণ পদ্ধতির পরিবর্তন সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু এসবের পরিবর্তন করা না গেলে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থাও ফিরবে না। এ জন্য পুলিশসহ সব বাহিনীতে গভীর সংস্কার জরুরি। এতে দুর্নীতি দমন, দক্ষ লোক নিয়োগ এবং জনগণের প্রতি জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। পোশাকের রং বদল নয়, বদলানো জরুরি বাহিনীর সদস্যদের মন।
পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করে নতুন পোশাকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাহিনীগুলোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পোশাকের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ২১ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, বাহিনীর সদস্যদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি। সে লক্ষ্যে পোশাক পরিবর্তন করা হচ্ছে। শুধু পোশাক নয়; বাহিনীগুলোকে জনবান্ধব করতে প্রশিক্ষণ পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হবে। পুলিশের নতুন পোশাক করা হচ্ছে আয়রন বা লোহার রং, র্যাবের অলিভ বা জলপাই এবং আনসারের পোশাক গোল্ডেন হুইট বা সোনালি গমের রং।
প্রশ্ন হলো, তিন বাহিনীর পোশাকের পরিবর্তন হলেই কি তাদের খাসলত বা আচরণের পরিবর্তন হবে? তিন বাহিনীর মধ্যে জনগণের কাজে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত থাকে পুলিশ। ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশের পোশাক ছিল খাকি। সেই সময় তারা ব্রিটিশ সরকার ও জমিদারদের রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে। ব্রিটিশ সরকার তাদের নিজেদের কাজের প্রয়োজনে পুলিশ বাহিনী পরিচালনার জন্য কিছু বিধিবিধান করেছিল। সেই বিধিবিধানে সাধারণ জনগণকে নিম্ন শ্রেণির প্রাণী হিসেবে দেখা হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশরা চলে গেলেও পুলিশের সেসব বিধিবিধানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এরপর ২০০৩ সালে প্রথমবার পুলিশের পোশাকের পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু পুলিশের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা সেই সরকারের তাঁবেদার ও লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। তবে গত সাড়ে ১৫ বছর এ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ উঠেছিল দলীয় ক্যাডার বাহিনীর ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়া। জুলাই আন্দোলনের সময় তারা ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে শিক্ষার্থী-জনতার ওপর। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সারা দেশের কোনো থানায় বেশ কয়েক দিন পুলিশের অস্তিত্ব দেখা যায়নি। অন্যদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ থাকার পরেও সেই সময় দেশের মানুষ পুলিশের প্রয়োজন অনুভব করেছিল তীব্রভাবে। তাদের অনুপস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে গিয়েছিল। এরপর তাদের কিছু দাবির ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর তদারকিতে তারা কাজে ফেরে। কিন্তু পুলিশ যে ট্রমার মধ্যে পড়েছিল, সেই অবস্থার এখনো কোনো উন্নতি ঘটেনি।
পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হলো, তাদের মধ্যে ঘুষ, দুর্নীতি, অবৈধ কার্যকলাপ এবং জনগণের প্রতি সেবার মানসিকতার অভাব আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, জনগণ তাদের প্রতি কোনো আস্থা পায় না। পোশাকের পরিবর্তন কি এই সমস্যাগুলোর কোনোটির সমাধান করতে পারবে? সে জন্য পুরো বাহিনীর কাঠামোর পরিবর্তন জরুরি। নিয়োগপ্রক্রিয়া, পদোন্নতি থেকে প্রশিক্ষণ পদ্ধতির পরিবর্তন সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু এসবের পরিবর্তন করা না গেলে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থাও ফিরবে না। এ জন্য পুলিশসহ সব বাহিনীতে গভীর সংস্কার জরুরি। এতে দুর্নীতি দমন, দক্ষ লোক নিয়োগ এবং জনগণের প্রতি জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। পোশাকের রং বদল নয়, বদলানো জরুরি বাহিনীর সদস্যদের মন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
৭ ঘণ্টা আগেদেশে নারী জাগরণ অভূতপূর্ব। এটা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না। বীরকন্যা প্রীতিলতা, বেগম রোকেয়া থেকে জাহানারা ইমামে এর উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ শাসিত হয়েছে নারীর অধীনে। এরশাদের পতনের পর সরাসরি সামরিক শাসনের অবসান হলে খালেদা জিয়া দেশ শাসনে আসেন।
৭ ঘণ্টা আগেআকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুদিন পরেই বৃষ্টিতে নাজেহাল হয়ে ওঠা মানুষদের এমনটাই মনে হবে। বাইরে হয়তো রোদ তখন তেমন কড়া নয়, আবার কড়াও হতে পারে, শেফালির শাখে বিহগ-বিহগী কে জানে কী গেয়ে যাবে!
৭ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছোট্ট গ্রাম সাড়ে পাঁচআনি। এখানেই বড় হচ্ছে সোহান—মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরের এক বিস্ময়বালক, যার পায়ের জাদু দেখে বিস্মিত হচ্ছে দেশজুড়ে মানুষ।
৭ ঘণ্টা আগে