সম্পাদকীয়
গত ২৭ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে শাহ আমানত নামে একটি ফেরি নোঙর করার পর হঠাৎ করেই একদিকে কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। ঘটনা বুঝতে পেরে ফেরিতে থাকা যানবাহনের চালক, তাঁদের সহকারী এবং ফেরির অন্য লোকজন তাড়াহুড়ো করে নেমে যান। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে লঞ্চের চেয়ে ফেরিতে পারাপার বা চলাচলকে যাঁরা নিরাপদ ভাবেন, তাঁদের জন্য খারাপ খবর হলো, আমাদের দেশে বিভিন্ন নৌরুটে যে ফেরিগুলো চলাচল করছে, তার বেশির ভাগেরই আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে। সেগুলো চালানো হচ্ছে, তবে বড় বিপদের ঝুঁকি আছে। যেকোনো মুহূর্তেই দুর্ঘটনার খবর শোনার প্রস্তুতি রাখতে হবে। শাহ আমানত ফেরির মেয়াদও শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। পাশাপাশি ফিটনেস সনদও ছিল না ফেরিটির। সর্বশেষ গত ১ জুলাই ডকিং থেকে নামানো হয় ফেরিটি। এর আগে গত বর্ষা মৌসুমে পদ্মা সেতুর পিলারে যে চারটি ফেরি ধাক্কা দিয়েছিল, তার একটিরও ছিল না ফিটনেস সনদ।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে বিভিন্ন নৌরুটে বর্তমানে যানবাহন পারাপার করছে ৫৩টি ফেরি। এর মধ্যে ২৬টির আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে অনেক আগে। বাকি ২৭টির মধ্যে ৬টির বয়স হয়েছে ২০ থেকে ৩০ বছর করে। আর সব মিলিয়ে ফিটনেস সনদ নেই ৪৭টি ফেরির।
আমাদের দেশে কয়েকটি জেলায় মানুষ ও পণ্য পরিবহনের জন্য নৌপথ এখনো গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এসব নৌপথ ব্যবহার করে প্রায় ৭ হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। এর মধ্যে বাস আছে ১ হাজার ৪০০, ট্রাক ২ হাজার ৬০০ এবং বাকি ৩ হাজার প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য ছোট গাড়ি। এসব যান এবং গাড়ি ছাড়া প্রতিদিন হাজার দশেক মানুষ পারাপার হয়ে থাকে।
এ অবস্থায় নৌপথে নতুন ফেরি সংযোজন করা জরুরি বলে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা মনে করেন। সড়কপথ যত সম্প্রসারিত হচ্ছে, দুর্ঘটনাও তত বাড়ছে। নানা কারণেই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে চালকদের অনভিজ্ঞতা, অসতর্কতা এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয় বলে সাধারণভাবে মনে করা হয়। নিরাপদ সড়কের দাবি করা হলেও তা এখনো অধরাই রয়ে গেছে।
কয়েক বছর ধরে রেল যোগাযোগের প্রতি সরকারের আগ্রহ বেড়েছে। বিপুল অর্থ রেলে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। রেল যোগাযোগ আরামদায়ক ও নিরাপদ করার জন্য আরও অনেক কিছুই এখনো করা বাকি। তবে রেল ও সড়কের চেয়ে নৌপথ এখন মনে হয় কিছুটা উপেক্ষিত। সমস্যা হলো, আমাদের নীতি-পরিকল্পনা অনেক সময়ই ভারসাম্যপূর্ণ হয় না। একদিকে নজর দিলে আরেক দিক উপেক্ষিত থাকে। সম্পদের সীমাবদ্ধতাও একটি জরুরি বিষয়। ইদানীং যেহেতু সব ক্ষেত্রেই আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেহেতু নৌরুটে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ফেরি চলাচলের বিষয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন ফেরি কিনতে হবে। সংখ্যা দিয়ে নয়, ফেরিগুলো চলাচলের উপযুক্ত কি না, সেটাই দেখতে হবে।
গত ২৭ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে শাহ আমানত নামে একটি ফেরি নোঙর করার পর হঠাৎ করেই একদিকে কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। ঘটনা বুঝতে পেরে ফেরিতে থাকা যানবাহনের চালক, তাঁদের সহকারী এবং ফেরির অন্য লোকজন তাড়াহুড়ো করে নেমে যান। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে লঞ্চের চেয়ে ফেরিতে পারাপার বা চলাচলকে যাঁরা নিরাপদ ভাবেন, তাঁদের জন্য খারাপ খবর হলো, আমাদের দেশে বিভিন্ন নৌরুটে যে ফেরিগুলো চলাচল করছে, তার বেশির ভাগেরই আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে। সেগুলো চালানো হচ্ছে, তবে বড় বিপদের ঝুঁকি আছে। যেকোনো মুহূর্তেই দুর্ঘটনার খবর শোনার প্রস্তুতি রাখতে হবে। শাহ আমানত ফেরির মেয়াদও শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। পাশাপাশি ফিটনেস সনদও ছিল না ফেরিটির। সর্বশেষ গত ১ জুলাই ডকিং থেকে নামানো হয় ফেরিটি। এর আগে গত বর্ষা মৌসুমে পদ্মা সেতুর পিলারে যে চারটি ফেরি ধাক্কা দিয়েছিল, তার একটিরও ছিল না ফিটনেস সনদ।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে বিভিন্ন নৌরুটে বর্তমানে যানবাহন পারাপার করছে ৫৩টি ফেরি। এর মধ্যে ২৬টির আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে অনেক আগে। বাকি ২৭টির মধ্যে ৬টির বয়স হয়েছে ২০ থেকে ৩০ বছর করে। আর সব মিলিয়ে ফিটনেস সনদ নেই ৪৭টি ফেরির।
আমাদের দেশে কয়েকটি জেলায় মানুষ ও পণ্য পরিবহনের জন্য নৌপথ এখনো গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এসব নৌপথ ব্যবহার করে প্রায় ৭ হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। এর মধ্যে বাস আছে ১ হাজার ৪০০, ট্রাক ২ হাজার ৬০০ এবং বাকি ৩ হাজার প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য ছোট গাড়ি। এসব যান এবং গাড়ি ছাড়া প্রতিদিন হাজার দশেক মানুষ পারাপার হয়ে থাকে।
এ অবস্থায় নৌপথে নতুন ফেরি সংযোজন করা জরুরি বলে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা মনে করেন। সড়কপথ যত সম্প্রসারিত হচ্ছে, দুর্ঘটনাও তত বাড়ছে। নানা কারণেই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে চালকদের অনভিজ্ঞতা, অসতর্কতা এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয় বলে সাধারণভাবে মনে করা হয়। নিরাপদ সড়কের দাবি করা হলেও তা এখনো অধরাই রয়ে গেছে।
কয়েক বছর ধরে রেল যোগাযোগের প্রতি সরকারের আগ্রহ বেড়েছে। বিপুল অর্থ রেলে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। রেল যোগাযোগ আরামদায়ক ও নিরাপদ করার জন্য আরও অনেক কিছুই এখনো করা বাকি। তবে রেল ও সড়কের চেয়ে নৌপথ এখন মনে হয় কিছুটা উপেক্ষিত। সমস্যা হলো, আমাদের নীতি-পরিকল্পনা অনেক সময়ই ভারসাম্যপূর্ণ হয় না। একদিকে নজর দিলে আরেক দিক উপেক্ষিত থাকে। সম্পদের সীমাবদ্ধতাও একটি জরুরি বিষয়। ইদানীং যেহেতু সব ক্ষেত্রেই আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেহেতু নৌরুটে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ফেরি চলাচলের বিষয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন ফেরি কিনতে হবে। সংখ্যা দিয়ে নয়, ফেরিগুলো চলাচলের উপযুক্ত কি না, সেটাই দেখতে হবে।
সমাপ্তপ্রায় অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে, এ সময়ে দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে ২৮.৭৯ শতাংশ ও মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে ২৫.৫৬ শতাংশ। প্রায় একই ধরনের অর্থনৈতিক প্রবণতার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যরোও (বিবিএস)।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে একসময় একটি গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল—প্রজাপতিটা যখন তখন উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে রাঙা মেঘের মতন/বসে আমার আকাশজুড়ে/ বসে আমার আকাশজুড়ে যখন তখন। প্রজাপতি নিয়ে অবশ্য আমাদের মধ্যে মজার গল্পও প্রচলিত আছে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের সমুদ্র অর্থনীতির বড় একটি অংশ জুড়ে আছে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ। এই সম্পদ আহরণে নিবেদিত মৎস্যজীবীদের প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রতিকূল পরিবেশের। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারাতে হচ্ছে তাঁদের।
৮ ঘণ্টা আগেযাঁর কাছে শিক্ষাব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকার কথা, তিনি যদি দুর্নীতিকে বাড়তি আয়ের উৎস মনে করে দায়িত্বকে অবহেলা করেন, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা তিমিরে থেকে যাবে, সেটা স্পষ্ট। নৈতিকতা, মূল্যবোধ-বিবর্জিত এ ধরনের অসৎ শিক্ষা কর্মকর্তার কারণে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা রসাতলে যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে