সম্পাদকীয়
‘বাংলাদেশের বাজারে ভেজাল পণ্যের প্রভাব এবং জনস্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর দিক’ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। কিছু জানা তথ্য, কিছু অজানা তথ্য প্রকাশিত হলো এই সেমিনারে। ভেজাল পণ্য রোধ করার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় যে সচেতনতা, সে কথাও ব্যক্ত করা হলো বারবার। এখানেই সবচেয়ে বড় গেরোটা রয়েছে। এই সচেতনতা আসবে কী করে?
আমাদের দেশের মানুষ সচেতন হতে চান না, এ রকম একটা জনশ্রুতি আছে। সস্তায় পেলে যেকোনো রদ্দিমালকেও তাঁরা আপন করে নিতে পারেন। স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে, এ কথা বলার পরও রদ্দিমালটি কেনার প্রবণতা থামে না। ‘সস্তার তিন অবস্থা’ কথাটি প্রবাদ হিসেবে রয়ে গেছে। কিন্তু নিজ জীবনে তা প্রয়োগের কোনো তাড়না বোধ করা হয় কি না, সে প্রশ্ন এড়ানো যাবে না।
‘দুই নম্বরি’ শব্দ দুটি দিয়ে যে নকল মালের জয়জয়কার, তা এড়াতে হলে সচেতন তো হতে হবেই। কিন্তু সচেতন হওয়ার বিষয়টি তো চর্চার ব্যাপার। প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে নতুন ধারণার ওপর নির্ভর করার জন্য যে চর্চা দরকার, সেটা কোথায় আমাদের মনস্তত্ত্বে?
সেমিনারে আমদানি পণ্য নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আমদানি পণ্যের সরবরাহ কমলে এবং দাম বাড়লে উচ্চ শুল্কের কারণে নকল পণ্য বাজারে প্রবেশ করে। মানুষের স্বাভাবিক মনস্তত্ত্ব হলো, কম দামে পণ্য কিনে লাভবান হওয়া। একই রকম মোড়কে নকল পণ্য যখন হাতের কাছে পাওয়া যায়, তখন পণ্যটির গুণগত মান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন না। কম দামে ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, এটাই হয়ে ওঠে মুখ্য। বক্তাদের অনেকেই বলেছেন, শুল্ক কমিয়ে আমদানি পণ্য ভোক্তার কাছে সহজলভ্য করে তুললে এই সংকট মোকাবিলার একটা পথ তৈরি হতে পারে। নকল পণ্য ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকারক পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে সেমিনারে। নকল পণ্যের কারণে কিডনি, হৃৎপিণ্ড ও ক্যানসারের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে চিকিৎসার পেছনেও ঢালতে হচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
দেশে উৎপাদিত পণ্যের মানোন্নয়নের প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছিল আলোচনায়। ভেজাল পণ্যে অধিক মুনাফার চিন্তা ব্যবসায়ী মহলের একটি অংশকে প্রভাবিত করছে। এই অসততা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
নকল পণ্যের দাপট কমানোর জন্য বহু পরামর্শই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সবার আগে তো ‘খাসলত’ বদলাতে হবে। নকল পণ্য দমনে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু পরিকল্পনা দিয়ে এই প্রবণতা কতটা রোধ করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নকল পণ্য রোধে জনমনে যে সচেতনতার প্রয়োজন, তা অর্জন করা যে সহজ নয়, সে কথা সবাই জানে। নকল পণ্য ধরা পড়লে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা একটা কার্যকর পরিবর্তন আনতে পারে বটে, কিন্তু আমাদের দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো চেষ্টাই যে ফলপ্রসূ হয় না, সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। এ অবস্থায় করণীয় কী, তা রীতিমতো ভাববার বিষয়।
‘বাংলাদেশের বাজারে ভেজাল পণ্যের প্রভাব এবং জনস্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর দিক’ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। কিছু জানা তথ্য, কিছু অজানা তথ্য প্রকাশিত হলো এই সেমিনারে। ভেজাল পণ্য রোধ করার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় যে সচেতনতা, সে কথাও ব্যক্ত করা হলো বারবার। এখানেই সবচেয়ে বড় গেরোটা রয়েছে। এই সচেতনতা আসবে কী করে?
আমাদের দেশের মানুষ সচেতন হতে চান না, এ রকম একটা জনশ্রুতি আছে। সস্তায় পেলে যেকোনো রদ্দিমালকেও তাঁরা আপন করে নিতে পারেন। স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে, এ কথা বলার পরও রদ্দিমালটি কেনার প্রবণতা থামে না। ‘সস্তার তিন অবস্থা’ কথাটি প্রবাদ হিসেবে রয়ে গেছে। কিন্তু নিজ জীবনে তা প্রয়োগের কোনো তাড়না বোধ করা হয় কি না, সে প্রশ্ন এড়ানো যাবে না।
‘দুই নম্বরি’ শব্দ দুটি দিয়ে যে নকল মালের জয়জয়কার, তা এড়াতে হলে সচেতন তো হতে হবেই। কিন্তু সচেতন হওয়ার বিষয়টি তো চর্চার ব্যাপার। প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে নতুন ধারণার ওপর নির্ভর করার জন্য যে চর্চা দরকার, সেটা কোথায় আমাদের মনস্তত্ত্বে?
সেমিনারে আমদানি পণ্য নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আমদানি পণ্যের সরবরাহ কমলে এবং দাম বাড়লে উচ্চ শুল্কের কারণে নকল পণ্য বাজারে প্রবেশ করে। মানুষের স্বাভাবিক মনস্তত্ত্ব হলো, কম দামে পণ্য কিনে লাভবান হওয়া। একই রকম মোড়কে নকল পণ্য যখন হাতের কাছে পাওয়া যায়, তখন পণ্যটির গুণগত মান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন না। কম দামে ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, এটাই হয়ে ওঠে মুখ্য। বক্তাদের অনেকেই বলেছেন, শুল্ক কমিয়ে আমদানি পণ্য ভোক্তার কাছে সহজলভ্য করে তুললে এই সংকট মোকাবিলার একটা পথ তৈরি হতে পারে। নকল পণ্য ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকারক পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে সেমিনারে। নকল পণ্যের কারণে কিডনি, হৃৎপিণ্ড ও ক্যানসারের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে চিকিৎসার পেছনেও ঢালতে হচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
দেশে উৎপাদিত পণ্যের মানোন্নয়নের প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছিল আলোচনায়। ভেজাল পণ্যে অধিক মুনাফার চিন্তা ব্যবসায়ী মহলের একটি অংশকে প্রভাবিত করছে। এই অসততা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
নকল পণ্যের দাপট কমানোর জন্য বহু পরামর্শই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সবার আগে তো ‘খাসলত’ বদলাতে হবে। নকল পণ্য দমনে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু পরিকল্পনা দিয়ে এই প্রবণতা কতটা রোধ করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নকল পণ্য রোধে জনমনে যে সচেতনতার প্রয়োজন, তা অর্জন করা যে সহজ নয়, সে কথা সবাই জানে। নকল পণ্য ধরা পড়লে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা একটা কার্যকর পরিবর্তন আনতে পারে বটে, কিন্তু আমাদের দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো চেষ্টাই যে ফলপ্রসূ হয় না, সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। এ অবস্থায় করণীয় কী, তা রীতিমতো ভাববার বিষয়।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্ক্সবাদী চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
৯ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে শুরু হওয়া ‘জাতীয় ঐকমত্য’ প্রক্রিয়া তার শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু এখনো দেখা যাচ্ছে, প্রক্রিয়ার শুরুর জায়গাটিই ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। একদিকে রয়েছে ১৬৬টি প্রস্তাব, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের পাহাড়।
৯ ঘণ্টা আগেলেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১ দিন আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১ দিন আগে