সম্পাদকীয়
চার কলামজুড়ে ছাপা হয়েছে খবরটি। আজকের পত্রিকার যশোর সংস্করণে। একজন শিক্ষক ছয় বছর ধরে স্কুলে যাচ্ছেন না; কিন্তু প্রতি মাসের বেতন তুলে নিচ্ছেন। খবরটি পড়ে হতাশায় ভরে উঠল মন। শিক্ষক বলতে আমরা যে আদর্শবাদী মানুষের কথা কল্পনায় আনি, তাঁরা যেন সত্যিই শুধু ইতিহাস আর কল্পনার জগতের বাসিন্দা হয়ে উঠছেন!
না, আমরা প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের বড় বড় খবরের সঙ্গে এই ছোট খবরটিকে মেলাতে চাইছি না। সে অপরাধগুলোর তুলনায় এ অপরাধ নিতান্তই তুচ্ছ। কিন্তু এ বিষয়েও লিখতে হচ্ছে শুধু এই ভেবে যে, শিক্ষকতার মতো পেশায় থেকে যদি এ রকম অনৈতিক কাজ করেন কেউ, তাহলে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষক সম্পর্কে কোন বার্তা গিয়ে পৌঁছাবে?
সংগত কারণেই সম্পাদকীয়তে এই শিক্ষকের নাম বলা হলো না। যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে অবস্থিত স্কুলটির নাম চান্দুটিয়া সিএজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০০২ সালে এই শিক্ষক যোগ দিয়েছিলেন স্কুলে। ২০১৫ সাল থেকে তিনি স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন বলে মৌখিক ছুটি নিয়েছিলেন। এরপর একের পর এক মাস কাটতে লাগল, বেতন পেতে লাগলেন; কিন্তু স্কুলে এলেন না আর। লিখিত কোনো ছুটির দরখাস্তও করলেন না।
নিয়ম বলছে, চিকিৎসার প্রমাণসহ সাত দিন ছুটি কাটানো যায়। সুস্থ না হলে পুরো বেতনে এক মাস, অর্ধবেতনে তিন মাস ছুটি নেওয়া যায়। এরপরও সুস্থ না হলে বিনা বেতনে ছুটি কাটাতে পারবেন তিন বছর। এই শিক্ষকের ক্ষেত্রে নিয়মের কিছুই মানা হয়নি!
এ রকম এক সৃষ্টিছাড়া ঘটনা দেখে যে প্রশ্নগুলো সামনে এল, তা হলো শিক্ষক হয়েও তিনি কি চাকরির নিয়ম জানতেন না? শিক্ষকের স্বামী বলছেন, এই শিক্ষকের হয়ে তাঁরই স্কুলের এক শিক্ষক ক্লাসগুলো নিতেন, মানে প্রক্সি দিতেন এবং তা টাকার বিনিময়ে। এখানে শিক্ষকের নৈতিকতা থাকল কোথায়? স্কুলে না এসে বেতন তোলায় এই শিক্ষককে তিনবার শোকজ করেছেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকও কি চাকরির নিয়ম জানেন না? কেন তিনি শুধু শোকজের মাধ্যমে ছাড় দিলেন এই শিক্ষককে? যদিও প্রধান শিক্ষক উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন, লিখিতভাবে নয় কেন? স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিই-বা কেন বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানায়নি?
পুরো ব্যাপারটা বিশ্লেষণ করলে যা খুঁজে পাওয়া যায়, তা হলো: ১. অনৈতিকতা ২. উদাসীনতা ৩. নিয়মভঙ্গ ৪. দায়িত্ব পালনে অবহেলা। ঘটনাটির বিভিন্ন স্তরে সেই মানুষেরাই এই কাণ্ডগুলো ঘটিয়েছেন, যাঁদের ওপর ভরসা করে শিশুদের স্কুলে পাঠানো হয়। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে মনে, পারিবারিকভাবেও কি নৈতিকতাকে আমরা ক্রমেই দূরে ঠেলে দিচ্ছি? নইলে শিক্ষকেরা কেন এ রকম অনৈতিক কাজে লিপ্ত হবেন? উত্তর মেলে না।
চার কলামজুড়ে ছাপা হয়েছে খবরটি। আজকের পত্রিকার যশোর সংস্করণে। একজন শিক্ষক ছয় বছর ধরে স্কুলে যাচ্ছেন না; কিন্তু প্রতি মাসের বেতন তুলে নিচ্ছেন। খবরটি পড়ে হতাশায় ভরে উঠল মন। শিক্ষক বলতে আমরা যে আদর্শবাদী মানুষের কথা কল্পনায় আনি, তাঁরা যেন সত্যিই শুধু ইতিহাস আর কল্পনার জগতের বাসিন্দা হয়ে উঠছেন!
না, আমরা প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের বড় বড় খবরের সঙ্গে এই ছোট খবরটিকে মেলাতে চাইছি না। সে অপরাধগুলোর তুলনায় এ অপরাধ নিতান্তই তুচ্ছ। কিন্তু এ বিষয়েও লিখতে হচ্ছে শুধু এই ভেবে যে, শিক্ষকতার মতো পেশায় থেকে যদি এ রকম অনৈতিক কাজ করেন কেউ, তাহলে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষক সম্পর্কে কোন বার্তা গিয়ে পৌঁছাবে?
সংগত কারণেই সম্পাদকীয়তে এই শিক্ষকের নাম বলা হলো না। যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে অবস্থিত স্কুলটির নাম চান্দুটিয়া সিএজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০০২ সালে এই শিক্ষক যোগ দিয়েছিলেন স্কুলে। ২০১৫ সাল থেকে তিনি স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন বলে মৌখিক ছুটি নিয়েছিলেন। এরপর একের পর এক মাস কাটতে লাগল, বেতন পেতে লাগলেন; কিন্তু স্কুলে এলেন না আর। লিখিত কোনো ছুটির দরখাস্তও করলেন না।
নিয়ম বলছে, চিকিৎসার প্রমাণসহ সাত দিন ছুটি কাটানো যায়। সুস্থ না হলে পুরো বেতনে এক মাস, অর্ধবেতনে তিন মাস ছুটি নেওয়া যায়। এরপরও সুস্থ না হলে বিনা বেতনে ছুটি কাটাতে পারবেন তিন বছর। এই শিক্ষকের ক্ষেত্রে নিয়মের কিছুই মানা হয়নি!
এ রকম এক সৃষ্টিছাড়া ঘটনা দেখে যে প্রশ্নগুলো সামনে এল, তা হলো শিক্ষক হয়েও তিনি কি চাকরির নিয়ম জানতেন না? শিক্ষকের স্বামী বলছেন, এই শিক্ষকের হয়ে তাঁরই স্কুলের এক শিক্ষক ক্লাসগুলো নিতেন, মানে প্রক্সি দিতেন এবং তা টাকার বিনিময়ে। এখানে শিক্ষকের নৈতিকতা থাকল কোথায়? স্কুলে না এসে বেতন তোলায় এই শিক্ষককে তিনবার শোকজ করেছেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকও কি চাকরির নিয়ম জানেন না? কেন তিনি শুধু শোকজের মাধ্যমে ছাড় দিলেন এই শিক্ষককে? যদিও প্রধান শিক্ষক উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন, লিখিতভাবে নয় কেন? স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিই-বা কেন বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানায়নি?
পুরো ব্যাপারটা বিশ্লেষণ করলে যা খুঁজে পাওয়া যায়, তা হলো: ১. অনৈতিকতা ২. উদাসীনতা ৩. নিয়মভঙ্গ ৪. দায়িত্ব পালনে অবহেলা। ঘটনাটির বিভিন্ন স্তরে সেই মানুষেরাই এই কাণ্ডগুলো ঘটিয়েছেন, যাঁদের ওপর ভরসা করে শিশুদের স্কুলে পাঠানো হয়। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে মনে, পারিবারিকভাবেও কি নৈতিকতাকে আমরা ক্রমেই দূরে ঠেলে দিচ্ছি? নইলে শিক্ষকেরা কেন এ রকম অনৈতিক কাজে লিপ্ত হবেন? উত্তর মেলে না।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৩ মে পালিত হয় বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবস। এই দিনটিতে সাংবাদিকেরা আত্ম-উপলব্ধির দিন হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা ও পেশাগত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে থাকেন।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের রাজনীতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয় তো আছেই। নির্বাচনের মধ্যেও এখন পর্যন্ত রয়েছে স্থানীয় সরকার, গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশ্ন। এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে সম্ভাব্য জোট গঠন কিংবা সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে...
৬ ঘণ্টা আগেমেয়েটি কি বাবার কাছেই যাওয়ার জন্য ব্যাকুল ছিল? নাকি বাবার স্মৃতি মনে গেঁথেই নতুন জীবন গড়তে চেয়েছিল? এসব প্রশ্নের আর উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে না মেয়েটির কাছে। কেননা আত্মহননের পর মেয়েটি আর মনের কথা বলতে পারবে না। মৃত্যুর আগে এমনিতেও চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল সে। জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে বাড়ি...
৬ ঘণ্টা আগেরাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বাস্তবায়নের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ এবং চীন-ভারতের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশকে জটিল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে ফেলতে পারে। এটি শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
২ দিন আগে