সম্পাদকীয়
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই শেরপুরের উদ্যমী এবং সফল এক উদ্যোক্তা মো. হজরত আলীকে। ৩৭ বছর বয়সী এ মানুষটি ফলের চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে বড় সফলতা পেয়েছেন। মানুষকে ঠকিয়ে বা নানাভাবে প্রতারিত করে অর্থসম্পদের মালিক হওয়ার বিভিন্ন খবর যখন প্রায় প্রতিদিন আমাদের মনকে বিষাদগ্রস্ত করছে, তখন সফল ফলচাষি হজরত আলীর গল্প আমাদের মন ভালো করে দিয়েছে।
এ ধরনের উদ্যোগে আরও অনেকে এগিয়ে আসুক, দেশের মানুষের ফলের চাহিদা মিটুক এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সম্প্রসারিত হোক।
হজরত আলীর বাগানে ২৭১ জাতের ৫০ হাজার ফলের গাছ রয়েছে। ২০১৯ সালে ১০০ বিঘা জমিতে মাল্টা, কমলা, আঙুর, ড্রাগন, লটকন, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, কুল বরই, সৌদি খেজুরসহ ১২টি জাতের ফলের চাষ শুরু করেন। এখন ৮০০ বিঘা জমিতে রয়েছে ২৭১ জাতের ফল গাছ। তাঁর নার্সারি ও বাগানে প্রায় ২০০ মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর ১৪ কোটি টাকার ফল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যে ১০ কোটি টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, শেরপুর জেলা সদরের হাজি মো. ইব্রাহিম খলিল উল্লাহর তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় মো. হজরত আলী। একসময় অর্থাভাবে খুব কষ্টে জীবনযাপন করতেন। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মনোহারি ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
সে সময়ই তাঁর মাথায় নিজ এলাকায় একটি ফলের বাগান করার চিন্তা আসে। এরপর কৃষি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নিজ গ্রামে ২০১৯ সালে ১০০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের। তাঁর চিন্তা বড় কিছু করার। তাই তিনি বসে না থেকে এর মধ্যেই শেরপুর সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় ৮০০ বিঘা জমিতে ১২টি ফল ও চারা উৎপাদনের বাগান করেছেন। ১০০ বিঘা জমি তাঁর নিজের মালিকানাধীন, বাকি জমি ২০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন। দেশের মানুষকে বিষমুক্ত ফল খাওয়ানোর ইচ্ছা থেকেই হজরত আলীর বাগান করার এই উদ্যোগ। তিনি যে আরও এগিয়ে নেবেন, তাতে সন্দেহ নেই। আমাদের কৃষি বিভাগ যেসব জায়গায় সম্ভাবনা ও সুযোগ আছে, সেই সব জায়গায় এই উদ্যোগের বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
হজরত আলীর এই সাফল্য অন্য এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। চাকরিনির্ভরতা ছেড়ে উদ্যোক্তা হয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নের এ গল্পটি নিজের জীবনের অংশও করে নিতে পারেন আগ্রহী জনেরা। এটা এমনই একটি ক্ষেত্র, যেখানে সততাকে বিসর্জন না দিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
হজরত আলীর মতো উদ্যোগী মানুষের সাফল্যের খবর নিশ্চয়ই আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। খারাপ খবর দ্রুত ছড়ায়, ভালো খবর নয়। কিন্তু হজরত আলীর এই সফলতার খবর ছড়িয়ে পড়ুক বেশি বেশি করে।
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই শেরপুরের উদ্যমী এবং সফল এক উদ্যোক্তা মো. হজরত আলীকে। ৩৭ বছর বয়সী এ মানুষটি ফলের চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে বড় সফলতা পেয়েছেন। মানুষকে ঠকিয়ে বা নানাভাবে প্রতারিত করে অর্থসম্পদের মালিক হওয়ার বিভিন্ন খবর যখন প্রায় প্রতিদিন আমাদের মনকে বিষাদগ্রস্ত করছে, তখন সফল ফলচাষি হজরত আলীর গল্প আমাদের মন ভালো করে দিয়েছে।
এ ধরনের উদ্যোগে আরও অনেকে এগিয়ে আসুক, দেশের মানুষের ফলের চাহিদা মিটুক এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সম্প্রসারিত হোক।
হজরত আলীর বাগানে ২৭১ জাতের ৫০ হাজার ফলের গাছ রয়েছে। ২০১৯ সালে ১০০ বিঘা জমিতে মাল্টা, কমলা, আঙুর, ড্রাগন, লটকন, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, কুল বরই, সৌদি খেজুরসহ ১২টি জাতের ফলের চাষ শুরু করেন। এখন ৮০০ বিঘা জমিতে রয়েছে ২৭১ জাতের ফল গাছ। তাঁর নার্সারি ও বাগানে প্রায় ২০০ মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর ১৪ কোটি টাকার ফল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যে ১০ কোটি টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, শেরপুর জেলা সদরের হাজি মো. ইব্রাহিম খলিল উল্লাহর তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় মো. হজরত আলী। একসময় অর্থাভাবে খুব কষ্টে জীবনযাপন করতেন। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মনোহারি ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
সে সময়ই তাঁর মাথায় নিজ এলাকায় একটি ফলের বাগান করার চিন্তা আসে। এরপর কৃষি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নিজ গ্রামে ২০১৯ সালে ১০০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের। তাঁর চিন্তা বড় কিছু করার। তাই তিনি বসে না থেকে এর মধ্যেই শেরপুর সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় ৮০০ বিঘা জমিতে ১২টি ফল ও চারা উৎপাদনের বাগান করেছেন। ১০০ বিঘা জমি তাঁর নিজের মালিকানাধীন, বাকি জমি ২০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন। দেশের মানুষকে বিষমুক্ত ফল খাওয়ানোর ইচ্ছা থেকেই হজরত আলীর বাগান করার এই উদ্যোগ। তিনি যে আরও এগিয়ে নেবেন, তাতে সন্দেহ নেই। আমাদের কৃষি বিভাগ যেসব জায়গায় সম্ভাবনা ও সুযোগ আছে, সেই সব জায়গায় এই উদ্যোগের বার্তা পৌঁছে দিতে পারে।
হজরত আলীর এই সাফল্য অন্য এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। চাকরিনির্ভরতা ছেড়ে উদ্যোক্তা হয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নের এ গল্পটি নিজের জীবনের অংশও করে নিতে পারেন আগ্রহী জনেরা। এটা এমনই একটি ক্ষেত্র, যেখানে সততাকে বিসর্জন না দিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
হজরত আলীর মতো উদ্যোগী মানুষের সাফল্যের খবর নিশ্চয়ই আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। খারাপ খবর দ্রুত ছড়ায়, ভালো খবর নয়। কিন্তু হজরত আলীর এই সফলতার খবর ছড়িয়ে পড়ুক বেশি বেশি করে।
সমাপ্তপ্রায় অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে, এ সময়ে দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে ২৮.৭৯ শতাংশ ও মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে ২৫.৫৬ শতাংশ। প্রায় একই ধরনের অর্থনৈতিক প্রবণতার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যরোও (বিবিএস)।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে একসময় একটি গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল—প্রজাপতিটা যখন তখন উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে রাঙা মেঘের মতন/বসে আমার আকাশজুড়ে/ বসে আমার আকাশজুড়ে যখন তখন। প্রজাপতি নিয়ে অবশ্য আমাদের মধ্যে মজার গল্পও প্রচলিত আছে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের সমুদ্র অর্থনীতির বড় একটি অংশ জুড়ে আছে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ। এই সম্পদ আহরণে নিবেদিত মৎস্যজীবীদের প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রতিকূল পরিবেশের। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারাতে হচ্ছে তাঁদের।
৮ ঘণ্টা আগেযাঁর কাছে শিক্ষাব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকার কথা, তিনি যদি দুর্নীতিকে বাড়তি আয়ের উৎস মনে করে দায়িত্বকে অবহেলা করেন, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা তিমিরে থেকে যাবে, সেটা স্পষ্ট। নৈতিকতা, মূল্যবোধ-বিবর্জিত এ ধরনের অসৎ শিক্ষা কর্মকর্তার কারণে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা রসাতলে যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে