Ajker Patrika

বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও সেই অর্থ কাজে লাগানো সম্ভব হয় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, ১৩: ৪৪
বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও সেই অর্থ কাজে লাগানো সম্ভব হয় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বরাদ্দ বাড়লেও নানা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ঠিকমতো বরাদ্দের অর্থ কাজে লাগানো সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বুধবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘কেমন হলো স্বাস্থ্য বাজেট ২০২২-২৩’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সক্ষমতার অভাবে তার অধিকাংশই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খরচ করতে পারে না। আমাদের সক্ষমতা আছে, বরাদ্দের অর্থ অনুমোদন পাওয়া থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়সহ নানা বিভাগের ওপর নির্ভর করতে হয়। যে কারণে চাইলেও যথাসময়ে বরাদ্দ খরচ করতে পারে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’ 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বরাবরই আমাদের বলা হয়ে থাকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাজেট বাস্তবায়নে অত্যন্ত ধীরগতির। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকে না। আমাদের বেশির ভাগ কাজ পিডব্লিউডি করে থাকে, তারা নিজেদের মতো করে কাজ করে। খরচ বেড়ে গেলে কাজ বন্ধ রাখে। তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন না হওয়ায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না, যে কারণে গত বছর চারটি মেডিকেল কলেজের কাজের মধ্যে তিনটির টেন্ডার করার পরও আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারিনি। যেকোনো একটা খরচের ক্ষেত্রে সবার আগে ফাইন্যান্স মিনিস্ট্রিতে (অর্থ মন্ত্রণালয়) ছাড়ের জন্য যেতে হয়, সেখানে অনেক সময় লাগে। আমাদের দক্ষতার ঘাটতির সঙ্গে জনবলের সংকট আছে।’ 

জাহিদ মালেক বলেন, ‘একটি বাজেট শুধু হিসাবের খাতা নয়, মানুষের জীবনমানের দলিল। মানুষের জন্য সরকার কোনটিতে জোর দেবে তার সবকিছু প্রতিফলিত হয় বাজেটে। এতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত থাকে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় রেখেই বাজেট করতে হয়।’ 

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যে ২০২১-২২ সালে যে বাজেটে কাজ করছি, সেটি থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ ভাগের কিছু বেশি বেড়েছে। তবে সেটি গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার কম। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয় মিলে স্বাস্থ্যের বাজেট হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। 

জাহিদ মালেক বলেন, এবারের বাজেটে যন্ত্রপাতির চেয়ে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অসংক্রামক ব্যাধি যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এর জন্য সব হাসপাতালে এনসিডিসি কর্নার হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাত যাতে আরও মজবুত হয়, ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় যাতে কমে, সেটি নিয়ে কাজ করছে সরকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত