নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ভীষণ গরম আর রোদ। কিন্তু ছুটি তো শেষের পথে। অফিস শুরু হলে আর সময় মেলাতে পারব না। বাচ্চার বায়না মেটাতে আসতেই হলো।’ কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী তাসনুভা আলম। আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছিলেন তিনি।
তাসনুভা জানান, তাঁর ছেলে মাকে নিয়ে ঘুরতে চায়। কিন্তু সাধ্যের মধ্যে না থাকায় অনেক জায়গাতেই তাঁরা যেতে পারেন না। চিড়িয়াখানায় স্বল্প খরচে সারা দিন ঘুরে বেড়ানো যায়। ঈদের তিন দিন বাসায় অতিথি থাকায় বাইরে বের হওয়ার ফুরসত মেলেনি। ঈদের চতুর্থ দিন ঘরের কাজ গুছিয়ে ছেলের ইচ্ছাপূরণ করতে সকাল সকাল চিড়িয়াখানায় চলে এসেছেন।
এবার ঈদের দিন কিছুটা বৃষ্টি হলেও তারপর থেকে চড়ছিল তাপমাত্রা। প্রায় দুদিন ধরে বয়ে যাচ্ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। আজ বিকেলে নামে একপশলা বৃষ্টি। তবে এই দাবদাহ আর মেঘবৃষ্টির খেলা—কোনোটাই আমোদপ্রিয় শহরবাসীকে ঘরবন্দী করে রাখতে পারেনি। তাসনুভা আলম আর তাঁর ছেলের মতোই ঈদের ছুটিতে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন চিড়িয়াখানাসহ লালবাগ কেল্লা, ধানমন্ডি লেক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ডিএনসিসি ওয়ান্ডার ল্যান্ড, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে উচ্ছ্বাস নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন অনেকে। জাতীয় জাদুঘর ও আহসান মঞ্জিলের মতো দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকায় অনেকে আবার হতাশ হয়ে ফিরেও গেছেন।
ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল জাতীয় চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রবেশ টিকিট বিক্রির সংখ্যার হিসাবে ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ গতকাল সোমবার সেখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি, ১ লাখ ২৫ হাজার প্রায়। ঈদের দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারের কাছাকাছি। আর আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হয়। দুই বছরের কম বয়সী শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাঁর সহায়ক টিকিট ছাড়াই চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারেন। চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের ছুটিতে সব সময় চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় থাকে। এবারও ছিল। তবে এবার লম্বা ছুটি থাকায় চাপ তুলনামূলক কম ছিল।
পাঁচ বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা স্কুলশিক্ষক আবুল বাশার বলেন, ‘বানর, বাঘ, ময়ূর দেখে মেয়ে অনেক খুশি। মেয়ের আনন্দ দেখে আমিও খুশি। তবে ভেতরের পরিবেশ আরও ভালো হওয়া দরকার। হকারের উৎপাত আছে। ওয়াশ রুমগুলোর অবস্থা আরেকটু ভালো হওয়া উচিত।’
যান্ত্রিক শহরে ঈদের লম্বা ছুটি নিয়ে এসেছে কিছুটা প্রশান্তি। নেই ব্যস্ততা, নেই অফিসফেরা ক্লান্তি। আর তাই আজ বিকেলে বৃষ্টির মধ্যেই হাতিরঝিলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন নবদম্পতি রিয়াদ আহমেদ- তামান্না আফরিন। রিয়াদ আহমেদ বলেন, ‘ঢাকায় এত ভিড় আর যানজট। লম্বা ছুটি ছাড়া ঘুরে বেড়ানোর মতো অবস্থা থাকে না। এখন রাস্তাঘাট ফাঁকা, তাই বের হলাম। রোদ-বৃষ্টির পরোয়া করলে এই সুযোগটা হারাতে হবে।’
ঈদের ছুটিতে প্রতিবারের মতো এবারও বন্ধ জাতীয় জাদুঘর ও আহসান মঞ্জিল। তবে সাধারণ নাগরিকদের অনেকেই বিষয়টি না জানায় বন্ধ প্রবেশদ্বারের সামনে থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে গেছেন। আজ সকালে যাত্রাবাড়ী থেকে ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এসেছিলেন পোশাককর্মী মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতেই যদি এইটা বন্ধ থাকে, তাইলে মানুষ এইখানে আসবে কেমনে? আর বাচ্চারা এর ভিতরে কী আছে, জানবেইবা কেমনে? এমনে সময়ে তো এই জ্যামের জায়গায় আসা যায় না।’ হতাশ তো বটেই, স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে কিছুটা বিব্রতও মনে হচ্ছিল তাঁকে।
প্রতি ঈদের ছুটিতেই মোহাম্মদ সলিমুল্লার মতো অনেক অভিভাবককে এমন বিব্রতকর অভিজ্ঞতা নিয়ে জাতীয় জাদুঘর ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশদ্বার থেকে ফিরতে হয়। ছুটির দিনে কেন দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে—এমন প্রশ্ন অনেকেরই। এ বিষয়ে জাতীয় জাদুঘরের সচিব সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা ছিল। এরপর ঈদের জন্য বন্ধ। আগামী শুক্রবার আবার খুলবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনেক আগে থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। আমি এখানে নতুন এসেছি, মাত্র এক মাস হলো। আমরা চেষ্টা করব, যেন এই নিয়ম পরিবর্তন করা যায়। মানুষ যেন ছুটিতে এখানে আসতে পারে।’
‘ভীষণ গরম আর রোদ। কিন্তু ছুটি তো শেষের পথে। অফিস শুরু হলে আর সময় মেলাতে পারব না। বাচ্চার বায়না মেটাতে আসতেই হলো।’ কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী তাসনুভা আলম। আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছিলেন তিনি।
তাসনুভা জানান, তাঁর ছেলে মাকে নিয়ে ঘুরতে চায়। কিন্তু সাধ্যের মধ্যে না থাকায় অনেক জায়গাতেই তাঁরা যেতে পারেন না। চিড়িয়াখানায় স্বল্প খরচে সারা দিন ঘুরে বেড়ানো যায়। ঈদের তিন দিন বাসায় অতিথি থাকায় বাইরে বের হওয়ার ফুরসত মেলেনি। ঈদের চতুর্থ দিন ঘরের কাজ গুছিয়ে ছেলের ইচ্ছাপূরণ করতে সকাল সকাল চিড়িয়াখানায় চলে এসেছেন।
এবার ঈদের দিন কিছুটা বৃষ্টি হলেও তারপর থেকে চড়ছিল তাপমাত্রা। প্রায় দুদিন ধরে বয়ে যাচ্ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। আজ বিকেলে নামে একপশলা বৃষ্টি। তবে এই দাবদাহ আর মেঘবৃষ্টির খেলা—কোনোটাই আমোদপ্রিয় শহরবাসীকে ঘরবন্দী করে রাখতে পারেনি। তাসনুভা আলম আর তাঁর ছেলের মতোই ঈদের ছুটিতে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন চিড়িয়াখানাসহ লালবাগ কেল্লা, ধানমন্ডি লেক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ডিএনসিসি ওয়ান্ডার ল্যান্ড, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে উচ্ছ্বাস নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন অনেকে। জাতীয় জাদুঘর ও আহসান মঞ্জিলের মতো দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকায় অনেকে আবার হতাশ হয়ে ফিরেও গেছেন।
ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল জাতীয় চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রবেশ টিকিট বিক্রির সংখ্যার হিসাবে ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ গতকাল সোমবার সেখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি, ১ লাখ ২৫ হাজার প্রায়। ঈদের দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারের কাছাকাছি। আর আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হয়। দুই বছরের কম বয়সী শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাঁর সহায়ক টিকিট ছাড়াই চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারেন। চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের ছুটিতে সব সময় চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় থাকে। এবারও ছিল। তবে এবার লম্বা ছুটি থাকায় চাপ তুলনামূলক কম ছিল।
পাঁচ বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা স্কুলশিক্ষক আবুল বাশার বলেন, ‘বানর, বাঘ, ময়ূর দেখে মেয়ে অনেক খুশি। মেয়ের আনন্দ দেখে আমিও খুশি। তবে ভেতরের পরিবেশ আরও ভালো হওয়া দরকার। হকারের উৎপাত আছে। ওয়াশ রুমগুলোর অবস্থা আরেকটু ভালো হওয়া উচিত।’
যান্ত্রিক শহরে ঈদের লম্বা ছুটি নিয়ে এসেছে কিছুটা প্রশান্তি। নেই ব্যস্ততা, নেই অফিসফেরা ক্লান্তি। আর তাই আজ বিকেলে বৃষ্টির মধ্যেই হাতিরঝিলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন নবদম্পতি রিয়াদ আহমেদ- তামান্না আফরিন। রিয়াদ আহমেদ বলেন, ‘ঢাকায় এত ভিড় আর যানজট। লম্বা ছুটি ছাড়া ঘুরে বেড়ানোর মতো অবস্থা থাকে না। এখন রাস্তাঘাট ফাঁকা, তাই বের হলাম। রোদ-বৃষ্টির পরোয়া করলে এই সুযোগটা হারাতে হবে।’
ঈদের ছুটিতে প্রতিবারের মতো এবারও বন্ধ জাতীয় জাদুঘর ও আহসান মঞ্জিল। তবে সাধারণ নাগরিকদের অনেকেই বিষয়টি না জানায় বন্ধ প্রবেশদ্বারের সামনে থেকে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে গেছেন। আজ সকালে যাত্রাবাড়ী থেকে ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এসেছিলেন পোশাককর্মী মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতেই যদি এইটা বন্ধ থাকে, তাইলে মানুষ এইখানে আসবে কেমনে? আর বাচ্চারা এর ভিতরে কী আছে, জানবেইবা কেমনে? এমনে সময়ে তো এই জ্যামের জায়গায় আসা যায় না।’ হতাশ তো বটেই, স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে কিছুটা বিব্রতও মনে হচ্ছিল তাঁকে।
প্রতি ঈদের ছুটিতেই মোহাম্মদ সলিমুল্লার মতো অনেক অভিভাবককে এমন বিব্রতকর অভিজ্ঞতা নিয়ে জাতীয় জাদুঘর ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশদ্বার থেকে ফিরতে হয়। ছুটির দিনে কেন দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে—এমন প্রশ্ন অনেকেরই। এ বিষয়ে জাতীয় জাদুঘরের সচিব সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা ছিল। এরপর ঈদের জন্য বন্ধ। আগামী শুক্রবার আবার খুলবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনেক আগে থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। আমি এখানে নতুন এসেছি, মাত্র এক মাস হলো। আমরা চেষ্টা করব, যেন এই নিয়ম পরিবর্তন করা যায়। মানুষ যেন ছুটিতে এখানে আসতে পারে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৪০ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে