মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৮ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৮ দিন আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৮ দিন আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এতে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে দুজন বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও তিনজন ইসির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা হয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধিমোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবেন।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্বালোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে—এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়। চিঠিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৫ ও ৪৪ (ঙ) অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এই ডিও লেটারের ফলে এখন সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ মাঠ প্রশাসন, পুলিশের দায়িত্বশীলদের কাছে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল চলমান প্রক্রিয়া। তফসিল ঘোষণার পর ইসি প্রয়োজন হলে যখন যা দরকার ব্যবস্থা নেবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বেশ কিছু পরিপত্র ও চিঠি জারি করা হচ্ছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সম্মতি ছাড়া অন্যত্র বদলি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ অনুরোধ জানিয়ে আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এতে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে দুজন বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও তিনজন ইসির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা হয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধিমোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবেন।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্বালোচনা ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে—এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছে ইসি সচিবালয়। চিঠিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৫ ও ৪৪ (ঙ) অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এই ডিও লেটারের ফলে এখন সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ মাঠ প্রশাসন, পুলিশের দায়িত্বশীলদের কাছে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রদবদল চলমান প্রক্রিয়া। তফসিল ঘোষণার পর ইসি প্রয়োজন হলে যখন যা দরকার ব্যবস্থা নেবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য বেশ কিছু পরিপত্র ও চিঠি জারি করা হচ্ছে।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৮ দিন আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে