Ajker Patrika

সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহে অনীহা, পাচ্ছে বেসরকারি

  • সরকারি কেন্দ্র রূপসায় গ্যাস দিতে রাজি নয় মন্ত্রণালয়
  • রূপসা ৩ বছরের মধ্যে চালু না হলে যন্ত্রপাতি নষ্ট হবে
  • সামিট, ইউনিক, রিলায়েন্সের কেন্দ্রে গ্যাস দিতে বেশি আগ্রহী সরকার
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ১৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

খুলনার রূপসায় নিউজপ্রিন্ট মিলের জায়গায় ৪০০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটে ৮০০ মেগাওয়াটের একটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কেন্দ্রটি আগামী তিন বছরের মধ্যে চালু না হলে যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে থাকবে। এ কারণে কেন্দ্রটিতে জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস দিতে চায় পেট্রোবাংলা। কিন্তু বাদ সেধেছে সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। তারা এই কেন্দ্রে গ্যাস দেবে না। অথচ এই কেন্দ্রের পরে অনুমতি পাওয়া মেঘনাঘাটে সামিট গ্রুপের ৫৮৩ মেগাওয়াট এবং আওয়ামী লীগ আমলের আরেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ৫৮৪ মেগাওয়াট কেন্দ্রে গ্যাস দিচ্ছে সরকার। এমনকি একই স্থানে ভারতের রিলায়েন্সের ৭১৮ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটিতেও গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

বেসরকারি ও বিদেশি কোম্পানির কেন্দ্রে গ্যাস দিলেও সরকারি কেন্দ্র রূপসায় গ্যাস দিতে রাজি নয় মন্ত্রণালয়। শুধু তা-ই নয়, সরকারি কেন্দ্রে গ্যাস দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য উত্থাপন করায় এক যুগ্ম সচিবকে রাতারাতি বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সেটির জ্বালানির নিশ্চয়তা নিতে হয় জ্বালানি বিভাগের প্রতিষ্ঠান থেকে। যদি গ্যাস হয়, তাহলে সেটির নিশ্চয়তা দিতে হয় পেট্রোবাংলাকে। এই নিশ্চয়তা পাওয়ার পর ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি পৃথক চুক্তি করে। খুলনার রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনাকারী শতভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পেট্রোবাংলা এই প্রকল্পে ২০২০ সাল নাগাদ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়। এরপর ২০১৮ সালের ২২ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাস হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট কেন্দ্রটির জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৫০ কেটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। গ্যাস সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে গত ২৮ মার্চ প্রকল্পের গ্যাস সরবরাহ চুক্তি সই হয়। কারণ, জরুরিভিত্তিক কেন্দ্রে পেট্রোবাংলা গ্যাস সরবরাহে একটি বিকল্প উপায় বের করে। এর অনেক পরে সামিট, চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ইউনিকের কেন্দ্রের সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে দুটি উৎস থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এর একটি হলো ভারত থেকে এইচএস এনার্জি পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহ করবে। অন্যটি হলো পটুয়াখালীর পায়রার এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে এই কেন্দ্রে গ্যাস আনা হবে। পটুয়াখালীর পায়রাতে সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে জার্মানির সিমেন্সের সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনে চুক্তিও সই হয়। বলা হয়, সেখানে তারা একটি ৩৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে। সেই কেন্দ্রের জন্য একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকসিলারেট এনার্জি। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সামিট গ্রুপ। কারণ, সরকারের ওপর প্রভাব বাড়িয়ে সামিট কাজটি পেতে চায়। এরপর ঠিক হয়, পায়রাতে দুটি এলএনজি টার্মিনাল করা হবে; একটি পাবে সামিট, অন্যটি করবে অ্যাকসিলারেট; যার গ্যাস ৩৬০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রে ব্যবহার হবে। আর এই দুই টার্মিনালের বাকি গ্যাস যাবে খুলনার শিল্পাঞ্চলে। এ ছাড়া সরকার ভারতের এইচএস এনার্জির সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখে, তবে এইচএস এনার্জির সঙ্গে তৎকালীন জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা থাকায় এই আলোচনাটি একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্যে আটকে যায়। এতে আটকা পড়ে যায় খুলনার রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস প্রাপ্যতার বিষয়টি।

জানা গেছে, রূপসা কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাব দেওয়ার পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, পাইপলাইনে গ্যাস দিলে তা অন্য কলকারখানা টেনে নেবে। তখন তাঁকে যুগ্ম সচিব মনোয়ার হোসেন জানান, এই পাইপলাইনে কোনো সংযোগ দেওয়া হয়নি। আর যদি অনুমতি না মেলে, তাহলে কেউ কোনো জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস নিতে পারবে না। তখন উপদেষ্টা সাফ জানিয়ে দেন, রূপসা কেন্দ্রে গ্যাস যাবে না। আর বৈঠকে উপদেষ্টাকে যুক্তি দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া হয় যুগ্ম সচিব মনোয়ার হোসেনকে।

দেশে বর্তমানে মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ৪৮১ মেগাওয়াটের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা ১০ হাজার ৭১২ মেগাওয়াট। এসব কেন্দ্র চালাতে দৈনিক প্রায় ২০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দরকার হয়। দেশে সর্বোচ্চ ৩৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে পেট্রোবাংলা, যার মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে দিতে পারে ১০০ কোটি ঘনফুট। বর্তমান গ্যাস-সংকটে পেট্রোবাংলার মোট সরবরাহ ২৫০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাত পাচ্ছে মাত্র ৭০ কোটি ঘনফুট। সরকারি মালিকানাধীন কেন্দ্রগুলোয় গ্যাস না দিয়ে গত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট সামিট, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারতের রিলায়েন্সের মতো কেন্দ্রে গ্যাস দিতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সামিট, রিলায়েন্স, নাফিজ সরাফাতের কোম্পানিগুলোর সব চুক্তি খতিয়ে দেখতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্যাস না দেওয়াটা দুঃখজনক। জনগণের রক্তের ওপর দাঁড়ানো সরকার যদি ভারতপন্থী হয়ে যায়, তাহলে তো দুঃখের সীমা থাকে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন বছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয় দিন সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র ও শনিবার) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর, ২০২৫) আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২৬ সালে সাধারণ ছুটি থাকছে মোট ১৪ দিন। এ ছাড়া নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকছে আরও ১৪ দিন। এই ২৮ দিনের মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কর্মজীবীরা বাস্তবে মোট ১৯ দিনের কর্মদিবস ছুটি পাবেন, যা সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ অবসর যাপনের সুযোগ এনে দেবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা–সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এই ছুটি পালন করা হবে।

সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য একজন কর্মচারী বছরে অনধিক মোট ৩ (তিন) দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এর জন্য বছরের শুরুতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এই ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যাবে।

govt-leave

বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা নিম্নরূপ:

প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থ বিবেচনা করে নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী ছুটির ব্যবস্থা করবে।

সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন ও ছুটির তালিকা দেখুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনটিএমসির নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ওসমান সরোয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
এনটিএমসির নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ওসমান সরোয়ার

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ারকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

গতকাল রোববার ওসমান সরোয়ারকে এনটিএমসির মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তাঁর চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা এই পদে ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওসমান সরোয়ার মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লাকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নিতে তাঁর চাকরি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল ও সমর্থকেরা বিক্ষোভ করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সমর্থকেরা যদি কোনো ধরনের বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তাহলে আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লেখেন।

স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ‘বিএএল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) ও তাদের সহযোগী সমর্থকেরা এবং গণহত্যাকারী নেত্রী মনে করছেন—এটি আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো সময়। তারা মনে করছেন দিনের বেলা এক ডজন মানুষকে হত্যা করার পর রাস্তা দখল করার জন্য হাজার হাজার দুর্বৃত্তকে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে পাঠাবেন।’

তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখিত—এটি এখন নতুন একটি বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবীদের ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না এবং মনে রাখবেন—এটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়। এটি জুলাই, চিরদিনের জুলাই।’

প্রেস-সচিব

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে অভিহিত করেছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা মনে করি রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।’

ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।

সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।’ সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।

গত শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।

এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আলম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত