নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, কন্যাশিশুর উন্নয়নে বড় বাধা বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ বন্ধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইনের প্রয়োগ ও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বিগত কয়েক দশকে নারী ও কন্যাশিশুদের কল্যাণে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে তাদের প্রতি সমাজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে, তারা শিক্ষিত ও সচেতন হয়ে উঠছে। এছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, শিশু সুরক্ষা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস, শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, শিশু নির্যাতন, শিশু পাচার রোধসহ শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
বক্তারা বলেন, মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টিসহ অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আমাদের কন্যাশিশুদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলে তারা রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে এবং নারী-পুরুষের সমতার পরিবেশ গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ এর যথাযথ বাস্তবায়নের ফলে কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ ও সকল ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এক দশক আগে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ছাত্রী ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ যা বর্তমানে ৯৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, মনঃকষ্টে, সমাজের চাপে অনেক কন্যাশিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, যা কষ্টকর। কেউ মনঃকষ্টে ভুগলেও ১০৯ নম্বরে কল করলে কাউন্সেলিং সেবা পাবে। নির্যাতন প্রতিরোধেও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই নম্বরে কল করে তাৎক্ষণিক সেবা গ্রহণ করা সম্ভব।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, আমাদের কন্যাশিশুরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তাদের জন্য যদি সকল ক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে তাঁরা আকাশ সমান সফলতা অর্জন করতে পারবে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ সম্পাদক রাবেয়া বেগম প্রমুখ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ৷ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ কিছু বেসরকারি সংস্থা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ ৪ সেপ্টেম্বর দিবসটি উদ্যাপন করে। দিবসটি উপলক্ষে কন্যা শিশুর উন্নয়নে কাজ করা বাইশটি সংগঠন ও শিশুদের নিয়ে একটি র্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
দেশব্যাপী কন্যাশিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ও কন্যাশিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয় ৷ মূল অনুষ্ঠানটি হয় ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে। এই অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিন গ্রুপে মোট ১৫ জন বিজয়ী শিশুর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।’ ক’ গ্রুপে পুরস্কার অর্জন করে মুনিবা মাজহার, অয়ন বর্মন, সমৃদ্ধি মণ্ডল (রিমঝিম), আমিনা হক মৃণ্ময়ী ও নুর-ই-আনজুম সারা।’ খ’ গ্রুপের পুরস্কারজয়ীরা হলো-ফাইজা আলম, প্রকৃতি চৌধুরী, মিথিলা ভৌমিক, তামান্না আক্তার ও মোছা: ফাতিহা জান্নাত মাহি এবং’ গ’ গ্রুপের পুরস্কারজয়ীরা হলো-অধরা চক্রবর্তী, আনিশা সান্তনি, অর্নিলা ভৌমিক, আদৃতি প্রিয়ন্তী বসু ও চাঁদনী আক্তার।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, কন্যাশিশুর উন্নয়নে বড় বাধা বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ বন্ধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইনের প্রয়োগ ও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বিগত কয়েক দশকে নারী ও কন্যাশিশুদের কল্যাণে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে তাদের প্রতি সমাজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে, তারা শিক্ষিত ও সচেতন হয়ে উঠছে। এছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, শিশু সুরক্ষা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস, শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, শিশু নির্যাতন, শিশু পাচার রোধসহ শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
বক্তারা বলেন, মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টিসহ অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আমাদের কন্যাশিশুদের গড়ে তুলতে হবে। তাহলে তারা রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে এবং নারী-পুরুষের সমতার পরিবেশ গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ এর যথাযথ বাস্তবায়নের ফলে কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ ও সকল ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এক দশক আগে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ছাত্রী ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ যা বর্তমানে ৯৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, মনঃকষ্টে, সমাজের চাপে অনেক কন্যাশিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, যা কষ্টকর। কেউ মনঃকষ্টে ভুগলেও ১০৯ নম্বরে কল করলে কাউন্সেলিং সেবা পাবে। নির্যাতন প্রতিরোধেও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই নম্বরে কল করে তাৎক্ষণিক সেবা গ্রহণ করা সম্ভব।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি বলেন, আমাদের কন্যাশিশুরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তাদের জন্য যদি সকল ক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে তাঁরা আকাশ সমান সফলতা অর্জন করতে পারবে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ সম্পাদক রাবেয়া বেগম প্রমুখ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ৷ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ কিছু বেসরকারি সংস্থা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ ৪ সেপ্টেম্বর দিবসটি উদ্যাপন করে। দিবসটি উপলক্ষে কন্যা শিশুর উন্নয়নে কাজ করা বাইশটি সংগঠন ও শিশুদের নিয়ে একটি র্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
দেশব্যাপী কন্যাশিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ও কন্যাশিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয় ৷ মূল অনুষ্ঠানটি হয় ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে। এই অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিন গ্রুপে মোট ১৫ জন বিজয়ী শিশুর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।’ ক’ গ্রুপে পুরস্কার অর্জন করে মুনিবা মাজহার, অয়ন বর্মন, সমৃদ্ধি মণ্ডল (রিমঝিম), আমিনা হক মৃণ্ময়ী ও নুর-ই-আনজুম সারা।’ খ’ গ্রুপের পুরস্কারজয়ীরা হলো-ফাইজা আলম, প্রকৃতি চৌধুরী, মিথিলা ভৌমিক, তামান্না আক্তার ও মোছা: ফাতিহা জান্নাত মাহি এবং’ গ’ গ্রুপের পুরস্কারজয়ীরা হলো-অধরা চক্রবর্তী, আনিশা সান্তনি, অর্নিলা ভৌমিক, আদৃতি প্রিয়ন্তী বসু ও চাঁদনী আক্তার।
বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ ক্যাডারে কাউকে সুপারিশ করার আগেই তাঁর বৈবাহিক, শারীরিক ও অন্যান্য বিষয়াদি খতিয়ে দেখা দরকার।
২০ মিনিট আগে‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগান নিয়ে এই সেবা আউটলেটের যাত্রা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে কার্যকর সরকারি সেবা দিয়ে জনগণের ক্ষমতায়ন করা হবে। ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিল, বয়স্ক ভাতা, স্কুলে ভর্তি, জলবায়ু কর্মসূচির তথ্যও পাওয়া যাবে।
১ ঘণ্টা আগেসেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী ১৬ মে থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদন শতভাগ অনলাইনে গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে।
১ ঘণ্টা আগেসব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
১১ ঘণ্টা আগে