শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি তালিকা করা হলেও কর্মকর্তাদের সংখ্যা পূরণ হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সংখ্যায় যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণে আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বিতর্কিত না হওয়া কর্মকর্তাদের আবার নেওয়া হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) একই কথা বলেছে। এই নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রস্তুতিও বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু গত বছরের আগস্টের ঘটনায় হারানো মনোবল পুলিশ এখনো ফিরে পায়নি। বিগত তিনটি নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের একাংশের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ভাবমূর্তির সংকটও রয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর)।
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের যতটা সম্ভব এবার দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি কঠিন, তবে বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকবে। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইন, বিধিবিধান ও প্রায়োগিক বিষয় শেখানো হবে। গত ১৫ বছরে পুলিশ সদস্যরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেননি, তাই এবার তাঁদের সেই প্রস্তুতি দেওয়া হবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই তিন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদেরও এবার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিতর্কিত ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সব পুলিশ সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর মোট জনবল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৭ জন। নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিতে হবে দেড় লাখ সদস্যকে। বিগত তিন নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ আছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাঁদের বাদ রেখে তালিকা করা হয়েছে। তবে এতে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার সংখ্যা পূরণ হচ্ছে না।
পুলিশের সূত্র জানায়, নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব দিতে এরই মধ্যে পুলিশ সদস্যদের স্থায়ী ঠিকানা, রাজনৈতিক পরিচয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদায়নের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই তালিকা সরকার আলাদা কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাইও করেছে। যাচাইয়ের ভিত্তিতে বাছাই করা সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি চলছে। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর দলীয়ভাবে নিয়োগ ও পদায়নের কারণে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পরও নিরপেক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তালিকায় কিছু কর্মকর্তার নাম এখনো দেওয়া যায়নি। তাই আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বাহিনীতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বলে পরিচিত কর্মকর্তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা পদস্থ কর্মকর্তাদের বাদ দিলে সেই অর্থে কর্মকর্তা পাওয়া কঠিন। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বড় ধরনের রদবদল করাও জটিল প্রক্রিয়া। একদম ঊর্ধ্বতনদের বাদ দিয়ে নিম্নপদস্থদের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত তুলনামূলক কম বিতর্কিত পুরোনো কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। না হলে এতগুলো কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন কঠিন হয়ে যাবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে ১১৭ জন ডিআইজি, ৩৩৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৭৪৬ জন এসপি, ৯৪১ জন অতিরিক্ত এসপি, ৮৯৯ জন এএসপি ও ৪ হাজার ৯৮২ জন পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কর্মরত রয়েছেন। নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে এসব পদের কর্মকর্তারাই পুলিশ সদস্যদের নেতৃত্ব দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এসপি ও থানার ওসিদের লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন চাইলে বদলি করতে পারবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জন্য সদস্যদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রশিক্ষণ চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বাহিনী মিলে প্রায় আট লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ১ লাখ ৭৪ হাজার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনকালীন মাঠে ছিলেন এবং বাকি ৯৪ হাজার সদস্য ভোটের তিন দিন আগে মাঠে নেমেছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে ছিলেন। এই নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় ভোটের আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরার অভিযোগ আছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ লাখ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভোটের সময় সরাসরি দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ৮৫ হাজার পুলিশ সদস্য।
আগের তিন নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৪০ কর্মকর্তার পুলিশ পদক বাতিল করা হয়েছে।
আইজিপি অবশ্য বলেছেন, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছিল। এবারও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
সার্বিক বিষয়ে অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে অনভিজ্ঞদের দায়িত্ব দিলে কাজটা কিছু কঠিন হবে। তবে পুলিশের পেশাদারত্ব বজায় রাখতে পারলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এরপরও নতুনদের গোপনে পক্ষপাত এড়াতে নজরদারিতে রাখতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি তালিকা করা হলেও কর্মকর্তাদের সংখ্যা পূরণ হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সংখ্যায় যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণে আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বিতর্কিত না হওয়া কর্মকর্তাদের আবার নেওয়া হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) একই কথা বলেছে। এই নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রস্তুতিও বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু গত বছরের আগস্টের ঘটনায় হারানো মনোবল পুলিশ এখনো ফিরে পায়নি। বিগত তিনটি নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের একাংশের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ভাবমূর্তির সংকটও রয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর)।
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের যতটা সম্ভব এবার দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি কঠিন, তবে বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকবে। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইন, বিধিবিধান ও প্রায়োগিক বিষয় শেখানো হবে। গত ১৫ বছরে পুলিশ সদস্যরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেননি, তাই এবার তাঁদের সেই প্রস্তুতি দেওয়া হবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই তিন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদেরও এবার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিতর্কিত ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সব পুলিশ সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর মোট জনবল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৭ জন। নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিতে হবে দেড় লাখ সদস্যকে। বিগত তিন নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ আছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাঁদের বাদ রেখে তালিকা করা হয়েছে। তবে এতে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার সংখ্যা পূরণ হচ্ছে না।
পুলিশের সূত্র জানায়, নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব দিতে এরই মধ্যে পুলিশ সদস্যদের স্থায়ী ঠিকানা, রাজনৈতিক পরিচয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদায়নের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই তালিকা সরকার আলাদা কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাইও করেছে। যাচাইয়ের ভিত্তিতে বাছাই করা সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি চলছে। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর দলীয়ভাবে নিয়োগ ও পদায়নের কারণে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পরও নিরপেক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তালিকায় কিছু কর্মকর্তার নাম এখনো দেওয়া যায়নি। তাই আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বাহিনীতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বলে পরিচিত কর্মকর্তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা পদস্থ কর্মকর্তাদের বাদ দিলে সেই অর্থে কর্মকর্তা পাওয়া কঠিন। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বড় ধরনের রদবদল করাও জটিল প্রক্রিয়া। একদম ঊর্ধ্বতনদের বাদ দিয়ে নিম্নপদস্থদের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত তুলনামূলক কম বিতর্কিত পুরোনো কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। না হলে এতগুলো কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন কঠিন হয়ে যাবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে ১১৭ জন ডিআইজি, ৩৩৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৭৪৬ জন এসপি, ৯৪১ জন অতিরিক্ত এসপি, ৮৯৯ জন এএসপি ও ৪ হাজার ৯৮২ জন পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কর্মরত রয়েছেন। নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে এসব পদের কর্মকর্তারাই পুলিশ সদস্যদের নেতৃত্ব দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এসপি ও থানার ওসিদের লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন চাইলে বদলি করতে পারবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জন্য সদস্যদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রশিক্ষণ চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বাহিনী মিলে প্রায় আট লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ১ লাখ ৭৪ হাজার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনকালীন মাঠে ছিলেন এবং বাকি ৯৪ হাজার সদস্য ভোটের তিন দিন আগে মাঠে নেমেছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে ছিলেন। এই নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় ভোটের আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরার অভিযোগ আছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ লাখ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভোটের সময় সরাসরি দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ৮৫ হাজার পুলিশ সদস্য।
আগের তিন নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৪০ কর্মকর্তার পুলিশ পদক বাতিল করা হয়েছে।
আইজিপি অবশ্য বলেছেন, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছিল। এবারও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
সার্বিক বিষয়ে অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে অনভিজ্ঞদের দায়িত্ব দিলে কাজটা কিছু কঠিন হবে। তবে পুলিশের পেশাদারত্ব বজায় রাখতে পারলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এরপরও নতুনদের গোপনে পক্ষপাত এড়াতে নজরদারিতে রাখতে হবে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি তালিকা করা হলেও কর্মকর্তাদের সংখ্যা পূরণ হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সংখ্যায় যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণে আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বিতর্কিত না হওয়া কর্মকর্তাদের আবার নেওয়া হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) একই কথা বলেছে। এই নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রস্তুতিও বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু গত বছরের আগস্টের ঘটনায় হারানো মনোবল পুলিশ এখনো ফিরে পায়নি। বিগত তিনটি নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের একাংশের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ভাবমূর্তির সংকটও রয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর)।
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের যতটা সম্ভব এবার দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি কঠিন, তবে বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকবে। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইন, বিধিবিধান ও প্রায়োগিক বিষয় শেখানো হবে। গত ১৫ বছরে পুলিশ সদস্যরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেননি, তাই এবার তাঁদের সেই প্রস্তুতি দেওয়া হবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই তিন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদেরও এবার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিতর্কিত ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সব পুলিশ সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর মোট জনবল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৭ জন। নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিতে হবে দেড় লাখ সদস্যকে। বিগত তিন নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ আছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাঁদের বাদ রেখে তালিকা করা হয়েছে। তবে এতে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার সংখ্যা পূরণ হচ্ছে না।
পুলিশের সূত্র জানায়, নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব দিতে এরই মধ্যে পুলিশ সদস্যদের স্থায়ী ঠিকানা, রাজনৈতিক পরিচয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদায়নের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই তালিকা সরকার আলাদা কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাইও করেছে। যাচাইয়ের ভিত্তিতে বাছাই করা সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি চলছে। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর দলীয়ভাবে নিয়োগ ও পদায়নের কারণে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পরও নিরপেক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তালিকায় কিছু কর্মকর্তার নাম এখনো দেওয়া যায়নি। তাই আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বাহিনীতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বলে পরিচিত কর্মকর্তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা পদস্থ কর্মকর্তাদের বাদ দিলে সেই অর্থে কর্মকর্তা পাওয়া কঠিন। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বড় ধরনের রদবদল করাও জটিল প্রক্রিয়া। একদম ঊর্ধ্বতনদের বাদ দিয়ে নিম্নপদস্থদের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত তুলনামূলক কম বিতর্কিত পুরোনো কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। না হলে এতগুলো কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন কঠিন হয়ে যাবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে ১১৭ জন ডিআইজি, ৩৩৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৭৪৬ জন এসপি, ৯৪১ জন অতিরিক্ত এসপি, ৮৯৯ জন এএসপি ও ৪ হাজার ৯৮২ জন পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কর্মরত রয়েছেন। নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে এসব পদের কর্মকর্তারাই পুলিশ সদস্যদের নেতৃত্ব দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এসপি ও থানার ওসিদের লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন চাইলে বদলি করতে পারবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জন্য সদস্যদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রশিক্ষণ চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বাহিনী মিলে প্রায় আট লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ১ লাখ ৭৪ হাজার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনকালীন মাঠে ছিলেন এবং বাকি ৯৪ হাজার সদস্য ভোটের তিন দিন আগে মাঠে নেমেছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে ছিলেন। এই নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় ভোটের আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরার অভিযোগ আছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ লাখ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভোটের সময় সরাসরি দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ৮৫ হাজার পুলিশ সদস্য।
আগের তিন নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৪০ কর্মকর্তার পুলিশ পদক বাতিল করা হয়েছে।
আইজিপি অবশ্য বলেছেন, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছিল। এবারও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
সার্বিক বিষয়ে অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে অনভিজ্ঞদের দায়িত্ব দিলে কাজটা কিছু কঠিন হবে। তবে পুলিশের পেশাদারত্ব বজায় রাখতে পারলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এরপরও নতুনদের গোপনে পক্ষপাত এড়াতে নজরদারিতে রাখতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি তালিকা করা হলেও কর্মকর্তাদের সংখ্যা পূরণ হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সংখ্যায় যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণে আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বিতর্কিত না হওয়া কর্মকর্তাদের আবার নেওয়া হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) একই কথা বলেছে। এই নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রস্তুতিও বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু গত বছরের আগস্টের ঘটনায় হারানো মনোবল পুলিশ এখনো ফিরে পায়নি। বিগত তিনটি নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের একাংশের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ভাবমূর্তির সংকটও রয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর)।
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের যতটা সম্ভব এবার দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি কঠিন, তবে বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকবে। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইন, বিধিবিধান ও প্রায়োগিক বিষয় শেখানো হবে। গত ১৫ বছরে পুলিশ সদস্যরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেননি, তাই এবার তাঁদের সেই প্রস্তুতি দেওয়া হবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই তিন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদেরও এবার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিতর্কিত ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সব পুলিশ সদস্য, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর মোট জনবল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৭ জন। নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিতে হবে দেড় লাখ সদস্যকে। বিগত তিন নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ আছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাঁদের বাদ রেখে তালিকা করা হয়েছে। তবে এতে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার সংখ্যা পূরণ হচ্ছে না।
পুলিশের সূত্র জানায়, নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব দিতে এরই মধ্যে পুলিশ সদস্যদের স্থায়ী ঠিকানা, রাজনৈতিক পরিচয় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদায়নের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই তালিকা সরকার আলাদা কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাইও করেছে। যাচাইয়ের ভিত্তিতে বাছাই করা সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি চলছে। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর দলীয়ভাবে নিয়োগ ও পদায়নের কারণে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পরও নিরপেক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তালিকায় কিছু কর্মকর্তার নাম এখনো দেওয়া যায়নি। তাই আগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও বাহিনীতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বলে পরিচিত কর্মকর্তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা পদস্থ কর্মকর্তাদের বাদ দিলে সেই অর্থে কর্মকর্তা পাওয়া কঠিন। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বড় ধরনের রদবদল করাও জটিল প্রক্রিয়া। একদম ঊর্ধ্বতনদের বাদ দিয়ে নিম্নপদস্থদের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত তুলনামূলক কম বিতর্কিত পুরোনো কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। না হলে এতগুলো কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন কঠিন হয়ে যাবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে ১১৭ জন ডিআইজি, ৩৩৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৭৪৬ জন এসপি, ৯৪১ জন অতিরিক্ত এসপি, ৮৯৯ জন এএসপি ও ৪ হাজার ৯৮২ জন পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কর্মরত রয়েছেন। নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে এসব পদের কর্মকর্তারাই পুলিশ সদস্যদের নেতৃত্ব দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এসপি ও থানার ওসিদের লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন চাইলে বদলি করতে পারবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জন্য সদস্যদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রশিক্ষণ চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব বাহিনী মিলে প্রায় আট লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ১ লাখ ৭৪ হাজার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনকালীন মাঠে ছিলেন এবং বাকি ৯৪ হাজার সদস্য ভোটের তিন দিন আগে মাঠে নেমেছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে ছিলেন। এই নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় ভোটের আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরার অভিযোগ আছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ লাখ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভোটের সময় সরাসরি দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ৮৫ হাজার পুলিশ সদস্য।
আগের তিন নির্বাচনে বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৪০ কর্মকর্তার পুলিশ পদক বাতিল করা হয়েছে।
আইজিপি অবশ্য বলেছেন, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছিল। এবারও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
সার্বিক বিষয়ে অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে অনভিজ্ঞদের দায়িত্ব দিলে কাজটা কিছু কঠিন হবে। তবে পুলিশের পেশাদারত্ব বজায় রাখতে পারলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এরপরও নতুনদের গোপনে পক্ষপাত এড়াতে নজরদারিতে রাখতে হবে।

সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৮ মিনিট আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪২ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
এদিকে পদোন্নতির প্যানেল ছাড়াও ২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল ফুলকোর্ট সভায়। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদন হয়নি বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত আসছে...

সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
এদিকে পদোন্নতির প্যানেল ছাড়াও ২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল ফুলকোর্ট সভায়। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডার অনুমোদন হয়নি বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত আসছে...

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি...
১৩ আগস্ট ২০২৫
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪২ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি...
১৩ আগস্ট ২০২৫
সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৮ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি...
১৩ আগস্ট ২০২৫
সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৮ মিনিট আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪২ মিনিট আগে
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর মা-বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র বলছে, ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা নিতে নিজের বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের নাম বাদ দিয়ে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদে দেখান।
এই সনদ দেখিয়ে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি কর্মকর্তা হন।
অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন কামাল হোসেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে কমিশন কামাল হোসেনসহ তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দেয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এই পরীক্ষা হবে।
কামাল হোসেন বর্তমানে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজানোর অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
তিনি বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে তাঁর বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ঘটনায় একাধিক তদন্ত চলছে। এর মধ্যেই কামাল হোসেন ও তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র বলছে, ইউএনও কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা নিতে নিজের বাবা মো. আবুল কাশেম ও মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের নাম বাদ দিয়ে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সনদে দেখান।
এই সনদ দেখিয়ে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি কর্মকর্তা হন।
অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেছেন কামাল হোসেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে কমিশন কামাল হোসেনসহ তাঁর বাবা-মা ও চাচা-চাচির ডিএনএ পরীক্ষা করার অনুমোদন দেয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এই পরীক্ষা হবে।
কামাল হোসেন বর্তমানে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মকর্তা বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই শেষে পুলিশ সদস্যদের একটি...
১৩ আগস্ট ২০২৫
সারাদেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে...
৮ মিনিট আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪২ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
১ ঘণ্টা আগে