Ajker Patrika

আওয়ামী লীগ ভেবেছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী: আনু মুহাম্মদ

জবি প্রতিনিধি 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ত্রৈমাসিক চিন্তক আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ নিয়ে বোঝাপড়া’-শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ত্রৈমাসিক চিন্তক আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ নিয়ে বোঝাপড়া’-শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেবেছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী। জনগণকে শুধুমাত্র দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন দেখিয়েছে। পরবর্তীতে কী হতে পারে, সেটা তারা ভাবেনি।’

আজ মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ত্রৈমাসিক চিন্তক আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ নিয়ে বোঝাপড়া’-শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা করলেই বলা হতো হাসিনার বিকল্প কে? অর্থাৎ হাসিনার বিকল্প নেই তাই সমালোচনা করা যাবে না। আমাদের টাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন যা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল না। কত টাকায় হওয়ার কথা কত টাকায় হলো, সেটাও জানার বা প্রশ্ন করার অধিকার ছিল না আমাদের। তাদের কথা একটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যার দ্বারা কোনো ক্ষতি হবে না।’

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমরা বিগত বছরগুলোতে যে নির্বাচন দেখেছি, তা কোনো নির্বাচন ছিল না। এটা ছিল একটা স্বৈরাচারী ব্যবস্থা। তাছাড়া আমরা যখন দুর্নীতি, গুম, খুন নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতাম, তখন তাঁরাও স্বীকার করত বিষয়গুলো, কিন্তু ব্যবস্থাটা এমন ছিল যে এর বিরুদ্ধে কারও কিছু বলার ছিল না। কারণ এসব কার্যক্রম একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মধ্যে আটকে ছিল।’

অনুষ্ঠানে মাসিক সাম্যবাদের সম্পাদক ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ আসলে একটা ব্যবস্থা। এটা শুধু একটা দলের কাজ নয়। এখানে বিভিন্ন অনুষঙ্গের মাধ্যমে এই ধরনের একটি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল বড় বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ।’

জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে এত মানুষ হত্যা করেছে, এরপরও তাঁদের বিন্দু মাত্র অনুশোচনা নেই। আমরা দেখেছি, সরকার নিপীড়নের জন্য পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছে। আমরা চাই সংবিধান এমনভাবে সংশোধন করা হোক যাতে করে ভবিষ্যতে চাইলেই কেউ আমাদের হাতে হাতকড়া পরাতে না পারে। একটা গণ-আন্দোলনকে জোরপূর্বক যাতে দমন না করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত