অনলাইন ডেস্ক
গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের লক্ষ্যে বৈঠকে বসেছে ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের একটি কারিগরি দল। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। এই চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর, যা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌথ নদী কমিশনের ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গত সোমবার সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছান। এরপর তারা সরাসরি ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৫ মার্চ পর্যন্ত ফারাক্কায় অবস্থান করেন।
বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, আজ সকালে ইন্দো-বাংলাদেশ কারিগরি দলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে আছেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আধিকারিকদের মতে, ভারত, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত যৌথ নদী কমিশন প্রতিবছর আন্তসীমান্ত নদীসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক এবং কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ফারাক্কা ব্যারেজ পরিদর্শন করে গঙ্গা নদীর পানিপ্রবাহ এবং পদ্মার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শনে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ‘জানুয়ারিতে পানি প্রবাহ ভালো থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে তা কিছুটা কমেছে। তবে পানিবণ্টন ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ীই হচ্ছে।’ এ ছাড়া, দুই দেশের কারিগরি বিশেষজ্ঞরা গত পাঁচ মাসের গঙ্গা নদীর পানিপ্রবাহ সংক্রান্ত তথ্যবিনিময় করেন।
বৈঠকের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচসচিব মনীশ জৈনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
গঙ্গা পানিবণ্টন পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ফারাক্কা বাঁধ থেকে সরবরাহকৃত পানি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের জীবন-জীবিকা এবং কলকাতা বন্দরকে সচল রাখার জন্য অপরিহার্য। তবে গত বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘গঙ্গা চুক্তি নবায়নের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা করা হয়নি।’
কেন্দ্রীয় সরকারের জল শক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এর তিনটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।
ভারত ও বাংলাদেশ ৫৪টি অভিন্ন নদী ভাগাভাগি করে। ১৯৭২ সালে এই যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালের জুনে শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর বিষয়টি নতুন আলোচনার ভিত্তি তৈরি করেছে।
গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের লক্ষ্যে বৈঠকে বসেছে ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের একটি কারিগরি দল। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। এই চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর, যা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌথ নদী কমিশনের ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গত সোমবার সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছান। এরপর তারা সরাসরি ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৫ মার্চ পর্যন্ত ফারাক্কায় অবস্থান করেন।
বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, আজ সকালে ইন্দো-বাংলাদেশ কারিগরি দলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে আছেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আধিকারিকদের মতে, ভারত, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত যৌথ নদী কমিশন প্রতিবছর আন্তসীমান্ত নদীসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক এবং কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ফারাক্কা ব্যারেজ পরিদর্শন করে গঙ্গা নদীর পানিপ্রবাহ এবং পদ্মার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শনে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ‘জানুয়ারিতে পানি প্রবাহ ভালো থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে তা কিছুটা কমেছে। তবে পানিবণ্টন ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ীই হচ্ছে।’ এ ছাড়া, দুই দেশের কারিগরি বিশেষজ্ঞরা গত পাঁচ মাসের গঙ্গা নদীর পানিপ্রবাহ সংক্রান্ত তথ্যবিনিময় করেন।
বৈঠকের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচসচিব মনীশ জৈনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
গঙ্গা পানিবণ্টন পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ফারাক্কা বাঁধ থেকে সরবরাহকৃত পানি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের জীবন-জীবিকা এবং কলকাতা বন্দরকে সচল রাখার জন্য অপরিহার্য। তবে গত বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘গঙ্গা চুক্তি নবায়নের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা করা হয়নি।’
কেন্দ্রীয় সরকারের জল শক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এর তিনটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।
ভারত ও বাংলাদেশ ৫৪টি অভিন্ন নদী ভাগাভাগি করে। ১৯৭২ সালে এই যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালের জুনে শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর বিষয়টি নতুন আলোচনার ভিত্তি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩ মিনিট আগেতিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মালয়েশিয়ায় স্থানীয় সময় আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি কুয়ালালামপুরে পৌঁছান।
২৫ মিনিট আগেরংপুরে তারাগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে ভ্যান চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থাটি তাদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে ১১১ জন।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে শাহরিয়ার খান আনাসসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ...
২ ঘণ্টা আগে