আজাদুল আদনান, ঢাকা
দেশে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনার প্রকোপ ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে গেলে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালুর দাবি ওঠে। জোরালো দাবির মুখে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয় সরকার। তবে আটকে থাকে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার বিষয়টি। পরে গত জানুয়ারিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই পরীক্ষা চালুর ঘোষণা দেন। কিন্তু এই ঘোষণার প্রায় আট মাস হয়ে গেলেও এখনো তা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।
গত ২৪ জানুয়ারি দেওয়া এক ঘোষণায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, `অ্যান্টিবডি টেস্ট অনেক দিনের দাবি। আজ যখন ঘোষণা দিলাম, তখন ধরে নিন এটা চালু হয়ে গেল।’ মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিবডি টেস্টের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের জুনের দিকে নীতিমালাও চূড়ান্ত করেছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে সেটি আর উন্মুক্ত হয়নি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে টিকায় জোর দেওয়া হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই মুহূর্তে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালু করা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই পরীক্ষায় সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই আছে। অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়। তবে অনেককেই পাওয়া যাবে টিকা নেওয়ার পর তাঁদের শরীরে কাঙ্ক্ষিত প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার শরীরে কতটুকু রোগ প্রতিরোধক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হয়েছে, সেটা জানার দ্রুততম উপায় এই পরীক্ষা। পাশাপাশি সংক্রমণ কী মাত্রায় ছড়িয়েছে, কোন টিকায় কেমন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হচ্ছে এবং কত দিন স্থায়িত্ব থাকছে, সেটি জানতে হলে এই পরীক্ষা করতেই হবে।
তবে ভিন্ন কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই মুহূর্তে গবেষণার কাজ ছাড়া অ্যান্টিবডি টেস্টের পক্ষে নয় প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন এই পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আপাতত টিকাদানকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, `প্রতিটা মানুষের শরীরে আলাদা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা থাকে। সে ক্ষেত্রে কারও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আবার কারও হয়তো ৪৫ শতাংশ অ্যান্টিবডি দেখা যায়। আমরা আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট, অ্যান্টিজেন টেস্ট করছি। এগুলো দিয়েই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। গবেষণার কাজ ছাড়া অ্যান্টিবডি টেস্টের ব্যবহার আপাতত না করাই ভালো।’
তবে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সঙ্গে একমত নন স্বয়ং অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘সময়মতো অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালু করা গেলে টিকার অপচয় রোধ করা সম্ভব হতো। আমাদের সক্ষমতা আছে কিন্তু কেবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর না চাওয়ার কারণে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি করা গেলে যাঁদের টিকার প্রয়োজন শুধু তাঁদেরই টিকার আওতায় আনা সহজ হতো।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ (আইইডিসিআর) অনেক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেই অ্যান্টিবডি টেস্ট করার সক্ষমতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরটি-পিসিআর টেস্টের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দেওয়া নিয়ে নানা টালবাহানা করেছে। একই অবস্থা অ্যান্টিবডি টেস্টের ক্ষেত্রেও।
৩ জুন করোনাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির এক সভায় র্যাপিড টেস্টের সুপারিশ করা হয়। সে সময় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থা জানতে হলে অ্যান্টিবডি টেস্ট চালু করা জরুরি। এটি এখন সময়ের দাবি।
কোভিড-১৯ ল্যাবরেটরি পরীক্ষা সম্প্রসারণ নীতিমালাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যান্টিবডির মূল বিষয় হলো নজরদারি করা। ব্যক্তিগত পর্যায়ের তুলনায় সামাজিক সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, সেটি জানতে অ্যান্টিবডি টেস্টের বিকল্প নেই। এ ছাড়া কোন ভ্যাকসিন কতটুকু রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি করছে, সেটিও জানা যাবে এই পরীক্ষায়। তাই সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাই যাতে এটি করতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসা উচিত।
দেশে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনার প্রকোপ ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে গেলে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালুর দাবি ওঠে। জোরালো দাবির মুখে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয় সরকার। তবে আটকে থাকে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার বিষয়টি। পরে গত জানুয়ারিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই পরীক্ষা চালুর ঘোষণা দেন। কিন্তু এই ঘোষণার প্রায় আট মাস হয়ে গেলেও এখনো তা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।
গত ২৪ জানুয়ারি দেওয়া এক ঘোষণায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, `অ্যান্টিবডি টেস্ট অনেক দিনের দাবি। আজ যখন ঘোষণা দিলাম, তখন ধরে নিন এটা চালু হয়ে গেল।’ মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিবডি টেস্টের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের জুনের দিকে নীতিমালাও চূড়ান্ত করেছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে সেটি আর উন্মুক্ত হয়নি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে টিকায় জোর দেওয়া হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই মুহূর্তে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালু করা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই পরীক্ষায় সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই আছে। অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়। তবে অনেককেই পাওয়া যাবে টিকা নেওয়ার পর তাঁদের শরীরে কাঙ্ক্ষিত প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার শরীরে কতটুকু রোগ প্রতিরোধক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হয়েছে, সেটা জানার দ্রুততম উপায় এই পরীক্ষা। পাশাপাশি সংক্রমণ কী মাত্রায় ছড়িয়েছে, কোন টিকায় কেমন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হচ্ছে এবং কত দিন স্থায়িত্ব থাকছে, সেটি জানতে হলে এই পরীক্ষা করতেই হবে।
তবে ভিন্ন কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই মুহূর্তে গবেষণার কাজ ছাড়া অ্যান্টিবডি টেস্টের পক্ষে নয় প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন এই পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আপাতত টিকাদানকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, `প্রতিটা মানুষের শরীরে আলাদা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা থাকে। সে ক্ষেত্রে কারও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আবার কারও হয়তো ৪৫ শতাংশ অ্যান্টিবডি দেখা যায়। আমরা আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট, অ্যান্টিজেন টেস্ট করছি। এগুলো দিয়েই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। গবেষণার কাজ ছাড়া অ্যান্টিবডি টেস্টের ব্যবহার আপাতত না করাই ভালো।’
তবে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সঙ্গে একমত নন স্বয়ং অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘সময়মতো অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালু করা গেলে টিকার অপচয় রোধ করা সম্ভব হতো। আমাদের সক্ষমতা আছে কিন্তু কেবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর না চাওয়ার কারণে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি করা গেলে যাঁদের টিকার প্রয়োজন শুধু তাঁদেরই টিকার আওতায় আনা সহজ হতো।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ (আইইডিসিআর) অনেক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেই অ্যান্টিবডি টেস্ট করার সক্ষমতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরটি-পিসিআর টেস্টের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দেওয়া নিয়ে নানা টালবাহানা করেছে। একই অবস্থা অ্যান্টিবডি টেস্টের ক্ষেত্রেও।
৩ জুন করোনাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির এক সভায় র্যাপিড টেস্টের সুপারিশ করা হয়। সে সময় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থা জানতে হলে অ্যান্টিবডি টেস্ট চালু করা জরুরি। এটি এখন সময়ের দাবি।
কোভিড-১৯ ল্যাবরেটরি পরীক্ষা সম্প্রসারণ নীতিমালাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অ্যান্টিবডির মূল বিষয় হলো নজরদারি করা। ব্যক্তিগত পর্যায়ের তুলনায় সামাজিক সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, সেটি জানতে অ্যান্টিবডি টেস্টের বিকল্প নেই। এ ছাড়া কোন ভ্যাকসিন কতটুকু রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি করছে, সেটিও জানা যাবে এই পরীক্ষায়। তাই সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাই যাতে এটি করতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসা উচিত।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক জামিন স্থগিত করেন।
৩৭ মিনিট আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের ৬ কোটি ২১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের বাড়ি ও জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই
১ ঘণ্টা আগেমাত্র আট মাসে দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী ও ঋণখেলাপি অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক (জব্দ) ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা করার পর আদালতের নির্দেশে এই ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়। দুদকের নথ
১ ঘণ্টা আগেসরকার পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ১৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে