নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ এখন সংসার চালাচ্ছে ধারদেনা করে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এ জরিপ করেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সানেম জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি–এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক তথ্য জানতে এ জরিপ চালানো হয়। চলতি মাসের ৯ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে চালানো এ জরিপে দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার ৬০০ পরিবার অংশগ্রহণ করে। শহর ও গ্রামে সমানসংখ্যক পরিবার আসে জরিপের আওতায়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য বাবদই খরচ বেড়েছে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। কুলিয়ে উঠতে না পেরে ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি পরিবারে আয় না বাড়লেও গড়ে খরচ বেড়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।
সানেম বলেছে, বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মান কমার সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় গত ছয় মাসের তুলনায় বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত, মাছ, মাংস ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গ্রহণে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত খাওয়া কমিয়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ গরিব মানুষ মাংস খাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। মাছ খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ লোক। ৭৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম ও ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ লোক ভোজ্যতেল খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে।
সানেম বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কারসাজি প্রতিরোধে যে শক্তিশালী ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উচিত, তার অনুপস্থিতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বাজারে প্রভাব বিস্তারের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির যে চাপ এক বছর ধরে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে, তা শুধু বৈশ্বিক কারণেই হচ্ছে না; বরং এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।
সানেমের জরিপের তথ্য বলছে, গত এক বছরে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। নিম্ন আয়ের ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বলেছে, গত ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের সঞ্চয় কমেছে। আয়-ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ নিয়মিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়তি খরচ মেটাতে আগের সঞ্চিত টাকা ভাঙতে বাধ্য হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তও চাপে আছে বলে মনে করে সানেম। আয় আর ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তের কাতারে নেমে গেছে।
জরিপের তথ্য বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত দামের সঙ্গে কুলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের ৪৫ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্রঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। ৩৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ধার করছে। অনেকেই আবার কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে।
গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, ইলিশ মাছ, রুই ও কাতলা মাছকে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের ‘বিশেষ খাদ্য’ উল্লেখ করে সানেম বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আগের ছয় মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে গরিব মানুষ এক মাসে গরুর মাংস খেয়েছে একবার। এখন সেটা নেমে এসেছে শূন্য দশমিক ৩ বারে।
মুরগির মাংস ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে প্রতি মাসে ২ বার খাওয়া হলেও সেটা সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে ছিল ৪ বার। এই ছয় মাসে ডিম খাওয়ায় ছেদ পড়েছে। সেপ্টেম্বরের দিকে ৮ দশমিক ১ বার খাওয়া হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে খাওয়া হচ্ছে ৫ দশমিক ৮ বার।
পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ গত ছয় মাসের তুলনায় এখন উদ্বিগ্ন কি না? এই প্রশ্নে সেপ্টেম্বরের দিকে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ বলেছে, তারা পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে সেটার পরিমাণ বেড়েছে ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ছয় মাস আগে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে পেত না। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ শতাংশে।
সেলিম রায়হান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে গরিব মানুষের ওপর নিষ্ঠুরতম শুল্ক। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের উচিত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎসে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে আমদানি করতে হবে।
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ এখন সংসার চালাচ্ছে ধারদেনা করে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এ জরিপ করেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সানেম জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি–এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক তথ্য জানতে এ জরিপ চালানো হয়। চলতি মাসের ৯ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে চালানো এ জরিপে দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার ৬০০ পরিবার অংশগ্রহণ করে। শহর ও গ্রামে সমানসংখ্যক পরিবার আসে জরিপের আওতায়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য বাবদই খরচ বেড়েছে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। কুলিয়ে উঠতে না পেরে ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি পরিবারে আয় না বাড়লেও গড়ে খরচ বেড়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।
সানেম বলেছে, বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মান কমার সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় গত ছয় মাসের তুলনায় বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত, মাছ, মাংস ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গ্রহণে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত খাওয়া কমিয়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ গরিব মানুষ মাংস খাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। মাছ খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ লোক। ৭৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম ও ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ লোক ভোজ্যতেল খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে।
সানেম বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কারসাজি প্রতিরোধে যে শক্তিশালী ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উচিত, তার অনুপস্থিতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বাজারে প্রভাব বিস্তারের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির যে চাপ এক বছর ধরে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে, তা শুধু বৈশ্বিক কারণেই হচ্ছে না; বরং এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।
সানেমের জরিপের তথ্য বলছে, গত এক বছরে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। নিম্ন আয়ের ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বলেছে, গত ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের সঞ্চয় কমেছে। আয়-ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ নিয়মিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়তি খরচ মেটাতে আগের সঞ্চিত টাকা ভাঙতে বাধ্য হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তও চাপে আছে বলে মনে করে সানেম। আয় আর ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তের কাতারে নেমে গেছে।
জরিপের তথ্য বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত দামের সঙ্গে কুলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের ৪৫ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্রঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। ৩৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ধার করছে। অনেকেই আবার কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে।
গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, ইলিশ মাছ, রুই ও কাতলা মাছকে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের ‘বিশেষ খাদ্য’ উল্লেখ করে সানেম বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আগের ছয় মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে গরিব মানুষ এক মাসে গরুর মাংস খেয়েছে একবার। এখন সেটা নেমে এসেছে শূন্য দশমিক ৩ বারে।
মুরগির মাংস ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে প্রতি মাসে ২ বার খাওয়া হলেও সেটা সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে ছিল ৪ বার। এই ছয় মাসে ডিম খাওয়ায় ছেদ পড়েছে। সেপ্টেম্বরের দিকে ৮ দশমিক ১ বার খাওয়া হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে খাওয়া হচ্ছে ৫ দশমিক ৮ বার।
পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ গত ছয় মাসের তুলনায় এখন উদ্বিগ্ন কি না? এই প্রশ্নে সেপ্টেম্বরের দিকে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ বলেছে, তারা পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে সেটার পরিমাণ বেড়েছে ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ছয় মাস আগে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে পেত না। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ শতাংশে।
সেলিম রায়হান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে গরিব মানুষের ওপর নিষ্ঠুরতম শুল্ক। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের উচিত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎসে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে আমদানি করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ এখন সংসার চালাচ্ছে ধারদেনা করে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এ জরিপ করেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সানেম জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি–এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক তথ্য জানতে এ জরিপ চালানো হয়। চলতি মাসের ৯ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে চালানো এ জরিপে দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার ৬০০ পরিবার অংশগ্রহণ করে। শহর ও গ্রামে সমানসংখ্যক পরিবার আসে জরিপের আওতায়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য বাবদই খরচ বেড়েছে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। কুলিয়ে উঠতে না পেরে ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি পরিবারে আয় না বাড়লেও গড়ে খরচ বেড়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।
সানেম বলেছে, বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মান কমার সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় গত ছয় মাসের তুলনায় বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত, মাছ, মাংস ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গ্রহণে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত খাওয়া কমিয়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ গরিব মানুষ মাংস খাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। মাছ খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ লোক। ৭৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম ও ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ লোক ভোজ্যতেল খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে।
সানেম বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কারসাজি প্রতিরোধে যে শক্তিশালী ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উচিত, তার অনুপস্থিতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বাজারে প্রভাব বিস্তারের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির যে চাপ এক বছর ধরে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে, তা শুধু বৈশ্বিক কারণেই হচ্ছে না; বরং এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।
সানেমের জরিপের তথ্য বলছে, গত এক বছরে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। নিম্ন আয়ের ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বলেছে, গত ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের সঞ্চয় কমেছে। আয়-ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ নিয়মিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়তি খরচ মেটাতে আগের সঞ্চিত টাকা ভাঙতে বাধ্য হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তও চাপে আছে বলে মনে করে সানেম। আয় আর ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তের কাতারে নেমে গেছে।
জরিপের তথ্য বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত দামের সঙ্গে কুলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের ৪৫ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্রঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। ৩৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ধার করছে। অনেকেই আবার কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে।
গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, ইলিশ মাছ, রুই ও কাতলা মাছকে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের ‘বিশেষ খাদ্য’ উল্লেখ করে সানেম বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আগের ছয় মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে গরিব মানুষ এক মাসে গরুর মাংস খেয়েছে একবার। এখন সেটা নেমে এসেছে শূন্য দশমিক ৩ বারে।
মুরগির মাংস ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে প্রতি মাসে ২ বার খাওয়া হলেও সেটা সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে ছিল ৪ বার। এই ছয় মাসে ডিম খাওয়ায় ছেদ পড়েছে। সেপ্টেম্বরের দিকে ৮ দশমিক ১ বার খাওয়া হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে খাওয়া হচ্ছে ৫ দশমিক ৮ বার।
পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ গত ছয় মাসের তুলনায় এখন উদ্বিগ্ন কি না? এই প্রশ্নে সেপ্টেম্বরের দিকে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ বলেছে, তারা পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে সেটার পরিমাণ বেড়েছে ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ছয় মাস আগে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে পেত না। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ শতাংশে।
সেলিম রায়হান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে গরিব মানুষের ওপর নিষ্ঠুরতম শুল্ক। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের উচিত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎসে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে আমদানি করতে হবে।
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ এখন সংসার চালাচ্ছে ধারদেনা করে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এ জরিপ করেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সানেম জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি–এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক তথ্য জানতে এ জরিপ চালানো হয়। চলতি মাসের ৯ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে চালানো এ জরিপে দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার ৬০০ পরিবার অংশগ্রহণ করে। শহর ও গ্রামে সমানসংখ্যক পরিবার আসে জরিপের আওতায়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য বাবদই খরচ বেড়েছে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। কুলিয়ে উঠতে না পেরে ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি পরিবারে আয় না বাড়লেও গড়ে খরচ বেড়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।
সানেম বলেছে, বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মান কমার সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় গত ছয় মাসের তুলনায় বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত, মাছ, মাংস ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গ্রহণে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত খাওয়া কমিয়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ গরিব মানুষ মাংস খাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। মাছ খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ লোক। ৭৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম ও ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ লোক ভোজ্যতেল খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে।
সানেম বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কারসাজি প্রতিরোধে যে শক্তিশালী ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উচিত, তার অনুপস্থিতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বাজারে প্রভাব বিস্তারের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির যে চাপ এক বছর ধরে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে, তা শুধু বৈশ্বিক কারণেই হচ্ছে না; বরং এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।
সানেমের জরিপের তথ্য বলছে, গত এক বছরে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। নিম্ন আয়ের ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বলেছে, গত ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের সঞ্চয় কমেছে। আয়-ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ নিয়মিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়তি খরচ মেটাতে আগের সঞ্চিত টাকা ভাঙতে বাধ্য হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তও চাপে আছে বলে মনে করে সানেম। আয় আর ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তের কাতারে নেমে গেছে।
জরিপের তথ্য বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত দামের সঙ্গে কুলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের ৪৫ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্রঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। ৩৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ধার করছে। অনেকেই আবার কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে।
গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, ইলিশ মাছ, রুই ও কাতলা মাছকে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের ‘বিশেষ খাদ্য’ উল্লেখ করে সানেম বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আগের ছয় মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে গরিব মানুষ এক মাসে গরুর মাংস খেয়েছে একবার। এখন সেটা নেমে এসেছে শূন্য দশমিক ৩ বারে।
মুরগির মাংস ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে প্রতি মাসে ২ বার খাওয়া হলেও সেটা সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে ছিল ৪ বার। এই ছয় মাসে ডিম খাওয়ায় ছেদ পড়েছে। সেপ্টেম্বরের দিকে ৮ দশমিক ১ বার খাওয়া হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে খাওয়া হচ্ছে ৫ দশমিক ৮ বার।
পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ গত ছয় মাসের তুলনায় এখন উদ্বিগ্ন কি না? এই প্রশ্নে সেপ্টেম্বরের দিকে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ বলেছে, তারা পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে সেটার পরিমাণ বেড়েছে ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ছয় মাস আগে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে পেত না। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ শতাংশে।
সেলিম রায়হান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে গরিব মানুষের ওপর নিষ্ঠুরতম শুল্ক। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের উচিত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎসে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে আমদানি করতে হবে।

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নি
৩০ মার্চ ২০২৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নি
৩০ মার্চ ২০২৩
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নি
৩০ মার্চ ২০২৩
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নি
৩০ মার্চ ২০২৩
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে