উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মামলায় হেরে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি উত্তরণের উপায়-সংবলিত সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। এমনকি হেরে যাওয়া মামলার নম্বর, রিট আবেদনকারীর নাম-ঠিকানা, মামলার বিষয়বস্তুসহ সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করতেও বলা হয়েছে।
এসব বিষয়সহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় হার ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব সচিবকে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবকে ১৬ মে দেওয়া এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সভাপতিত্বে ‘উচ্চ আদালতে চলমান সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা পরিচালনা কার্যক্রম পরিবীক্ষণ-সংক্রান্ত’ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে স্বার্থসংশ্লিষ্ট সরকারি মামলা চলমান ৮৬ হাজার ৭২৩টি। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ অন্তত অর্ধশত মামলার বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, অধিকাংশ মামলায় সরকারের হার হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সরকার হারলেও আপিল করা হয়নি। এতে কমিটির অধিকাংশ সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় সরকারের হার হওয়ার কারণ খুঁজে করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ শনাক্ত করে পরিস্থিতির উত্তরণের উপায় বের করতে হবে।
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সভায় বলেন, এতে সরকারপক্ষের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না কিংবা কী কারণে মামলায় সরকার হারল, তার কারণ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সভায় উপস্থিত ছিলেন একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি জানান, অনেক সময় মামলাসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাসময়ে পাওয়া যায় না। অসাধু কর্মচারীরা মামলার তথ্য-উপাত্ত ধামাচাপা দেন। সরকারি দপ্তরের স্বাক্ষর-সিলমোহর জালিয়াতি করে নোটিশ বা আদেশ জারি করা হয়। এসব কারণে মামলার রায় সরকারের বিপক্ষে যায়। স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলার হার ঠেকাতে তখন কমিটি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় একাধিক কর্মকর্তা কিছু বলতে রাজি হননি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে দেড় হাজারের বেশি মামলা আছে, তাদের আইন অনুবিভাগ গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন অধিশাখা সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সলিসিটর অনুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিত তালিকা তৈরি করে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, সলিসিটর অনুবিভাগে পাঠাতে হবে। সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনার পদ্ধতি, জবাব বা এফিডেভিট তৈরি, আপিল বা রিভিউ দায়ের, তামাদির বিধানের বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় হেরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাবেক এক সচিব বলেন, অনেক সময় সরকারি কর্মকর্তারা মামলাকে গুরুত্ব দেন না। আবার বেশির ভাগ সময় সরকারের বিপক্ষে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আইনকানুন বোঝেন না। এ ছাড়া আইনেও অনেক ফাঁকফোকর আছে। এসব কারণে মামলার রায় সরকারের বিপক্ষে যায়।
সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মামলায় হেরে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি উত্তরণের উপায়-সংবলিত সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। এমনকি হেরে যাওয়া মামলার নম্বর, রিট আবেদনকারীর নাম-ঠিকানা, মামলার বিষয়বস্তুসহ সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করতেও বলা হয়েছে।
এসব বিষয়সহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় হার ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব সচিবকে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবকে ১৬ মে দেওয়া এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সভাপতিত্বে ‘উচ্চ আদালতে চলমান সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা পরিচালনা কার্যক্রম পরিবীক্ষণ-সংক্রান্ত’ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে স্বার্থসংশ্লিষ্ট সরকারি মামলা চলমান ৮৬ হাজার ৭২৩টি। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ অন্তত অর্ধশত মামলার বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, অধিকাংশ মামলায় সরকারের হার হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সরকার হারলেও আপিল করা হয়নি। এতে কমিটির অধিকাংশ সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় সরকারের হার হওয়ার কারণ খুঁজে করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ শনাক্ত করে পরিস্থিতির উত্তরণের উপায় বের করতে হবে।
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সভায় বলেন, এতে সরকারপক্ষের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না কিংবা কী কারণে মামলায় সরকার হারল, তার কারণ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সভায় উপস্থিত ছিলেন একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি জানান, অনেক সময় মামলাসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাসময়ে পাওয়া যায় না। অসাধু কর্মচারীরা মামলার তথ্য-উপাত্ত ধামাচাপা দেন। সরকারি দপ্তরের স্বাক্ষর-সিলমোহর জালিয়াতি করে নোটিশ বা আদেশ জারি করা হয়। এসব কারণে মামলার রায় সরকারের বিপক্ষে যায়। স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলার হার ঠেকাতে তখন কমিটি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় একাধিক কর্মকর্তা কিছু বলতে রাজি হননি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে দেড় হাজারের বেশি মামলা আছে, তাদের আইন অনুবিভাগ গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন অধিশাখা সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সলিসিটর অনুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিত তালিকা তৈরি করে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, সলিসিটর অনুবিভাগে পাঠাতে হবে। সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনার পদ্ধতি, জবাব বা এফিডেভিট তৈরি, আপিল বা রিভিউ দায়ের, তামাদির বিধানের বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় হেরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাবেক এক সচিব বলেন, অনেক সময় সরকারি কর্মকর্তারা মামলাকে গুরুত্ব দেন না। আবার বেশির ভাগ সময় সরকারের বিপক্ষে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আইনকানুন বোঝেন না। এ ছাড়া আইনেও অনেক ফাঁকফোকর আছে। এসব কারণে মামলার রায় সরকারের বিপক্ষে যায়।
সরকারি (অফিশিয়াল) ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির তালিকায় ৩০তম দেশ হিসেবে যুক্ত হচ্ছে পাকিস্তান। বিশ্বের ২৯টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি রয়েছে। কিন্তু আশপাশের দেশ হিসেবে বাকি রয়ে গেছে পাকিস্তান।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত ১৬৭ জনের মধ্যে বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না বলে জানিয়েছেন সেখানকার সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দিতে তিনি এই তথ্য দেন।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী সংগঠনের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ; যার মধ্যে প্রতিফলিত হবে আন্দোলনের মূল চেতনা ও অঙ্গীকার। মতানৈক্যসহ নানা কারণে তা বিলম্বিত হলেও শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল ও সমমনা সংগঠনগুলোর প্রত্যাশা ও দাবি ছিল...
৩ ঘণ্টা আগে২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ২১ বছর আজ বৃহস্পতিবার। বিচারিক আদালতে সাজার পর হাইকোর্টে খালাস পান সব আসামি। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এখন চলছে সেই আপিল শুনানি। আপিল নিষ্পত্তির রিভিউ আবেদনের সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধরা। আপিল বিভাগে প্রশ্ন উঠেছে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে।
৫ ঘণ্টা আগে