অনলাইন ডেস্ক
২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি বছর। এ বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ‘মব জাস্টিস’ (উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে হওয়া বিচার)–এর নামে মানুষকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাগুলো ছিল উদ্বেগজনক। গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
আজ মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২৮ জন। ২০২৩ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিলেন ৫১ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কমে এলেও এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। এমনকি এ ক্ষেত্রে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যায়নি। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২১ জনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মোট ৮৫৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৫১ জন।
আসকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪০৮টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, অগ্নিসংযোগ হয়েছে ৩৬ টিতে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ১১৩ টিতে, মন্দির ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩২ টি, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে ৯২টি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩ জন এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১ জন নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে; আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের পতনের দিন দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ইতিহাস। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ছিল স্বাধীনতার ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত এবং উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ৬০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য। এছাড়াও রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় দেড় হাজার ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলা হয়েছে। এসব ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বেশির ভাগই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক।
আসক বলছে, ২০২৪ সালে বিভিন্ন কারাগারে অসুস্থতাসহ নানা কারণে মারা গেছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২৩ এবং হাজতি ৪২ জন। বছরজুড়ে ৫৩১ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। যাদের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ২১৯ জন সংবাদকর্মী। এর মধ্যে শুধুমাত্র দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় লাঞ্ছিত ও হামলার শিকার হয়েছেন ৩০ জন সাংবাদিক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়িত্ব পালনকালে গুলিতে নিহত হয়েছেন ৬ জন এবং ১ জন সাংবাদিক দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন।
এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী মামলার শিকার হয়েছেন ১৩০ জন সাংবাদিক। বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৪ বারের মতো পেছাল।
২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি বছর। এ বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ‘মব জাস্টিস’ (উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে হওয়া বিচার)–এর নামে মানুষকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাগুলো ছিল উদ্বেগজনক। গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
আজ মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২৮ জন। ২০২৩ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিলেন ৫১ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কমে এলেও এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। এমনকি এ ক্ষেত্রে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যায়নি। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২১ জনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মোট ৮৫৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৫১ জন।
আসকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪০৮টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, অগ্নিসংযোগ হয়েছে ৩৬ টিতে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ১১৩ টিতে, মন্দির ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩২ টি, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে ৯২টি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩ জন এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১ জন নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে; আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের পতনের দিন দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ইতিহাস। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ছিল স্বাধীনতার ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত এবং উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ৬০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য। এছাড়াও রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় দেড় হাজার ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলা হয়েছে। এসব ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বেশির ভাগই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক।
আসক বলছে, ২০২৪ সালে বিভিন্ন কারাগারে অসুস্থতাসহ নানা কারণে মারা গেছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২৩ এবং হাজতি ৪২ জন। বছরজুড়ে ৫৩১ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। যাদের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ২১৯ জন সংবাদকর্মী। এর মধ্যে শুধুমাত্র দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় লাঞ্ছিত ও হামলার শিকার হয়েছেন ৩০ জন সাংবাদিক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়িত্ব পালনকালে গুলিতে নিহত হয়েছেন ৬ জন এবং ১ জন সাংবাদিক দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন।
এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী মামলার শিকার হয়েছেন ১৩০ জন সাংবাদিক। বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৪ বারের মতো পেছাল।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়তে আবেদন করেছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সেই আবেদন খারিজ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, ‘আপনি ট্রেন মিস করেছেন।’
২৬ মিনিট আগেসচিবালয়ের ভেতরে মিছিল, সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। যদিও সরকারি কর্মচারীরা দলবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩২ মিনিট আগেদেশে গত জুলাই মাসে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১৩৫৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, নিহতের ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আহতের ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপনের নতুন সূচি ঘোষণা করেছে সরকার। ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট সারা দেশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন করা কবে। এর লক্ষ্য, দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরি করা।
১ ঘণ্টা আগে