কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের পর সপ্তাহ না গড়াতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ইউনূসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে গত আগস্টে ক্ষমতায় পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও সামরিক দিক থেকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হতে চলেছে, এ কারণে বৈঠকগুলোর ওপর নজর থাকবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের, এমনটা মনে করছেন স্থানীয় কূটনীতিকেরা।
কূটনীতিকেরা অবশ্য বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার দিকটি বিবেচনায় রেখেই ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে।
বেইজিংয়ে সরকারপ্রধানের বৈঠকে কী হতে পারে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, এবারের সফরে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
স্থানীয় ঊর্ধ্বতন এক কূটনীতিক বলছেন, গত জুলাইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ে শীর্ষ বৈঠক করে এসেছেন। এর এক বছরের কম সময়ের মধ্যে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বেইজিং সফর করে এলেন। তাই এবারের বৈঠক থেকে ‘বোঝাপড়া গভীর করার বাইরে’ কোনো পক্ষই বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে না।
এসব সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার এবারও চীনের কাছে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো, ঋণের সুদ কমানো, দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানো ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির কাছ থেকে গঠনমূলক জোরালো ভূমিকার অনুরোধ রাখবে, এমনটা জানান ঢাকার কূটনীতিকেরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জাপান, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পর চীন বাংলাদেশের ঋণের চতুর্থ একক বৃহত্তম উৎস। চীন ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকের বেশি এসেছে প্রেসিডেন্ট সির ২০১৬ সালে ঢাকা সফরের পর। বর্তমানে দেশটি প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করে থাকে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে দুই দেশের কূটনীতিকেরা নিয়মিত পরামর্শমূলক বৈঠকে বসছেন। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরের সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা আসতে পারে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে এই সফর একটি মাইলফলক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সফরে আগামী বুধবার চীনের পাঠানো একটি উড়োজাহাজে রওনা হবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি হাইনান প্রদেশে বোয়াও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী শুক্রবার বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। সেদিনই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আসছেন মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিং রওনা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে আজ সোমবার রাতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভোয়েলের। এক দিনের এই সফরে ইউনূস ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে।
ইউনূসের চীন রওনা হওয়ার ঠিক আগে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার ঢাকা আসার কী তাৎপর্য থাকতে পারে, এমন প্রশ্নে কূটনৈতিক বিশ্লেষক বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের অনেক কার্যক্রম আছে। মার্কিন কর্মকর্তার সফর সেই কার্যক্রমের অংশ হতে পারে। এর বাইরে চীন সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যতটা উদ্বেগ থাকবে, ভারতের উদ্বেগ থাকবে তার চেয়ে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফর সম্পর্কে হুমায়ুন কবীর বলেন, চীনারা বুদ্ধিমান। ওরা জানে, অধ্যাপক ইউনূসের সরকার অস্থায়ী সরকার। তাই তারা দীর্ঘ মেয়াদের কোনো ব্যবস্থায় এখন যাবে, এটা মনে হয় না।
ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই শেষ দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক যাবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সাত দেশের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিকে ঢাকা থেকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে। পত্রটির জবাব এসেছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গতকাল সাংবাদিকদের জানান, কোনো উত্তর আসেনি।
দুই দেশের কূটনীতিকেরা বলছেন, মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি দিল্লি থেকে এখনো নাকচ করা হয়নি।
ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় একটি সরকারি সূত্র সেখানকার সংসদীয় প্যানেলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের একটি জবাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জয়শঙ্কর বলেছেন, ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান। ব্যাংককের বৈঠকটি হলে এটাই হবে দুই দেশের মধ্যে হাসিনা-পরবর্তী সময়ে প্রথম শীর্ষ বৈঠক।
জয়শঙ্কর সংসদীয় প্যানেলকে বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের আগেই বাংলাদেশে হাসিনাবিরোধী জনরোষ তৈরি হওয়ার ব্যাপারে ভারত অবগত ছিল। তাঁর দাবি, হাসিনার ওপর পর্যাপ্ত প্রভাব না থাকায় ‘পরামর্শ দেওয়া ছাড়া’ ভারতের তেমন কিছু করার পরিস্থিতি ছিল না।
আরও খবর পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের পর সপ্তাহ না গড়াতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ইউনূসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে গত আগস্টে ক্ষমতায় পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও সামরিক দিক থেকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হতে চলেছে, এ কারণে বৈঠকগুলোর ওপর নজর থাকবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের, এমনটা মনে করছেন স্থানীয় কূটনীতিকেরা।
কূটনীতিকেরা অবশ্য বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার দিকটি বিবেচনায় রেখেই ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে।
বেইজিংয়ে সরকারপ্রধানের বৈঠকে কী হতে পারে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, এবারের সফরে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
স্থানীয় ঊর্ধ্বতন এক কূটনীতিক বলছেন, গত জুলাইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ে শীর্ষ বৈঠক করে এসেছেন। এর এক বছরের কম সময়ের মধ্যে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বেইজিং সফর করে এলেন। তাই এবারের বৈঠক থেকে ‘বোঝাপড়া গভীর করার বাইরে’ কোনো পক্ষই বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে না।
এসব সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার এবারও চীনের কাছে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো, ঋণের সুদ কমানো, দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানো ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির কাছ থেকে গঠনমূলক জোরালো ভূমিকার অনুরোধ রাখবে, এমনটা জানান ঢাকার কূটনীতিকেরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জাপান, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পর চীন বাংলাদেশের ঋণের চতুর্থ একক বৃহত্তম উৎস। চীন ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকের বেশি এসেছে প্রেসিডেন্ট সির ২০১৬ সালে ঢাকা সফরের পর। বর্তমানে দেশটি প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করে থাকে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে দুই দেশের কূটনীতিকেরা নিয়মিত পরামর্শমূলক বৈঠকে বসছেন। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরের সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা আসতে পারে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে এই সফর একটি মাইলফলক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সফরে আগামী বুধবার চীনের পাঠানো একটি উড়োজাহাজে রওনা হবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি হাইনান প্রদেশে বোয়াও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী শুক্রবার বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। সেদিনই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আসছেন মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিং রওনা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে আজ সোমবার রাতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভোয়েলের। এক দিনের এই সফরে ইউনূস ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে।
ইউনূসের চীন রওনা হওয়ার ঠিক আগে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার ঢাকা আসার কী তাৎপর্য থাকতে পারে, এমন প্রশ্নে কূটনৈতিক বিশ্লেষক বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের অনেক কার্যক্রম আছে। মার্কিন কর্মকর্তার সফর সেই কার্যক্রমের অংশ হতে পারে। এর বাইরে চীন সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যতটা উদ্বেগ থাকবে, ভারতের উদ্বেগ থাকবে তার চেয়ে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফর সম্পর্কে হুমায়ুন কবীর বলেন, চীনারা বুদ্ধিমান। ওরা জানে, অধ্যাপক ইউনূসের সরকার অস্থায়ী সরকার। তাই তারা দীর্ঘ মেয়াদের কোনো ব্যবস্থায় এখন যাবে, এটা মনে হয় না।
ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই শেষ দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক যাবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সাত দেশের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিকে ঢাকা থেকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে। পত্রটির জবাব এসেছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গতকাল সাংবাদিকদের জানান, কোনো উত্তর আসেনি।
দুই দেশের কূটনীতিকেরা বলছেন, মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি দিল্লি থেকে এখনো নাকচ করা হয়নি।
ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় একটি সরকারি সূত্র সেখানকার সংসদীয় প্যানেলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের একটি জবাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জয়শঙ্কর বলেছেন, ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান। ব্যাংককের বৈঠকটি হলে এটাই হবে দুই দেশের মধ্যে হাসিনা-পরবর্তী সময়ে প্রথম শীর্ষ বৈঠক।
জয়শঙ্কর সংসদীয় প্যানেলকে বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের আগেই বাংলাদেশে হাসিনাবিরোধী জনরোষ তৈরি হওয়ার ব্যাপারে ভারত অবগত ছিল। তাঁর দাবি, হাসিনার ওপর পর্যাপ্ত প্রভাব না থাকায় ‘পরামর্শ দেওয়া ছাড়া’ ভারতের তেমন কিছু করার পরিস্থিতি ছিল না।
আরও খবর পড়ুন:
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের পর সপ্তাহ না গড়াতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ইউনূসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে গত আগস্টে ক্ষমতায় পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও সামরিক দিক থেকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হতে চলেছে, এ কারণে বৈঠকগুলোর ওপর নজর থাকবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের, এমনটা মনে করছেন স্থানীয় কূটনীতিকেরা।
কূটনীতিকেরা অবশ্য বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার দিকটি বিবেচনায় রেখেই ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে।
বেইজিংয়ে সরকারপ্রধানের বৈঠকে কী হতে পারে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, এবারের সফরে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
স্থানীয় ঊর্ধ্বতন এক কূটনীতিক বলছেন, গত জুলাইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ে শীর্ষ বৈঠক করে এসেছেন। এর এক বছরের কম সময়ের মধ্যে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বেইজিং সফর করে এলেন। তাই এবারের বৈঠক থেকে ‘বোঝাপড়া গভীর করার বাইরে’ কোনো পক্ষই বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে না।
এসব সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার এবারও চীনের কাছে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো, ঋণের সুদ কমানো, দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানো ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির কাছ থেকে গঠনমূলক জোরালো ভূমিকার অনুরোধ রাখবে, এমনটা জানান ঢাকার কূটনীতিকেরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জাপান, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পর চীন বাংলাদেশের ঋণের চতুর্থ একক বৃহত্তম উৎস। চীন ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকের বেশি এসেছে প্রেসিডেন্ট সির ২০১৬ সালে ঢাকা সফরের পর। বর্তমানে দেশটি প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করে থাকে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে দুই দেশের কূটনীতিকেরা নিয়মিত পরামর্শমূলক বৈঠকে বসছেন। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরের সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা আসতে পারে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে এই সফর একটি মাইলফলক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সফরে আগামী বুধবার চীনের পাঠানো একটি উড়োজাহাজে রওনা হবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি হাইনান প্রদেশে বোয়াও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী শুক্রবার বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। সেদিনই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আসছেন মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিং রওনা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে আজ সোমবার রাতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভোয়েলের। এক দিনের এই সফরে ইউনূস ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে।
ইউনূসের চীন রওনা হওয়ার ঠিক আগে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার ঢাকা আসার কী তাৎপর্য থাকতে পারে, এমন প্রশ্নে কূটনৈতিক বিশ্লেষক বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের অনেক কার্যক্রম আছে। মার্কিন কর্মকর্তার সফর সেই কার্যক্রমের অংশ হতে পারে। এর বাইরে চীন সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যতটা উদ্বেগ থাকবে, ভারতের উদ্বেগ থাকবে তার চেয়ে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফর সম্পর্কে হুমায়ুন কবীর বলেন, চীনারা বুদ্ধিমান। ওরা জানে, অধ্যাপক ইউনূসের সরকার অস্থায়ী সরকার। তাই তারা দীর্ঘ মেয়াদের কোনো ব্যবস্থায় এখন যাবে, এটা মনে হয় না।
ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই শেষ দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক যাবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সাত দেশের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিকে ঢাকা থেকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে। পত্রটির জবাব এসেছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গতকাল সাংবাদিকদের জানান, কোনো উত্তর আসেনি।
দুই দেশের কূটনীতিকেরা বলছেন, মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি দিল্লি থেকে এখনো নাকচ করা হয়নি।
ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় একটি সরকারি সূত্র সেখানকার সংসদীয় প্যানেলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের একটি জবাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জয়শঙ্কর বলেছেন, ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান। ব্যাংককের বৈঠকটি হলে এটাই হবে দুই দেশের মধ্যে হাসিনা-পরবর্তী সময়ে প্রথম শীর্ষ বৈঠক।
জয়শঙ্কর সংসদীয় প্যানেলকে বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের আগেই বাংলাদেশে হাসিনাবিরোধী জনরোষ তৈরি হওয়ার ব্যাপারে ভারত অবগত ছিল। তাঁর দাবি, হাসিনার ওপর পর্যাপ্ত প্রভাব না থাকায় ‘পরামর্শ দেওয়া ছাড়া’ ভারতের তেমন কিছু করার পরিস্থিতি ছিল না।
আরও খবর পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের পর সপ্তাহ না গড়াতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ইউনূসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে গত আগস্টে ক্ষমতায় পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও সামরিক দিক থেকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হতে চলেছে, এ কারণে বৈঠকগুলোর ওপর নজর থাকবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের, এমনটা মনে করছেন স্থানীয় কূটনীতিকেরা।
কূটনীতিকেরা অবশ্য বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার দিকটি বিবেচনায় রেখেই ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে।
বেইজিংয়ে সরকারপ্রধানের বৈঠকে কী হতে পারে, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, এবারের সফরে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
স্থানীয় ঊর্ধ্বতন এক কূটনীতিক বলছেন, গত জুলাইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ে শীর্ষ বৈঠক করে এসেছেন। এর এক বছরের কম সময়ের মধ্যে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বেইজিং সফর করে এলেন। তাই এবারের বৈঠক থেকে ‘বোঝাপড়া গভীর করার বাইরে’ কোনো পক্ষই বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে না।
এসব সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার এবারও চীনের কাছে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো, ঋণের সুদ কমানো, দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানো ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির কাছ থেকে গঠনমূলক জোরালো ভূমিকার অনুরোধ রাখবে, এমনটা জানান ঢাকার কূটনীতিকেরা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জাপান, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পর চীন বাংলাদেশের ঋণের চতুর্থ একক বৃহত্তম উৎস। চীন ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকের বেশি এসেছে প্রেসিডেন্ট সির ২০১৬ সালে ঢাকা সফরের পর। বর্তমানে দেশটি প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করে থাকে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে দুই দেশের কূটনীতিকেরা নিয়মিত পরামর্শমূলক বৈঠকে বসছেন। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরের সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা আসতে পারে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে এই সফর একটি মাইলফলক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সফরে আগামী বুধবার চীনের পাঠানো একটি উড়োজাহাজে রওনা হবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি হাইনান প্রদেশে বোয়াও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী শুক্রবার বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। সেদিনই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আসছেন মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিং রওনা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে আজ সোমবার রাতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভোয়েলের। এক দিনের এই সফরে ইউনূস ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে।
ইউনূসের চীন রওনা হওয়ার ঠিক আগে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার ঢাকা আসার কী তাৎপর্য থাকতে পারে, এমন প্রশ্নে কূটনৈতিক বিশ্লেষক বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের অনেক কার্যক্রম আছে। মার্কিন কর্মকর্তার সফর সেই কার্যক্রমের অংশ হতে পারে। এর বাইরে চীন সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যতটা উদ্বেগ থাকবে, ভারতের উদ্বেগ থাকবে তার চেয়ে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফর সম্পর্কে হুমায়ুন কবীর বলেন, চীনারা বুদ্ধিমান। ওরা জানে, অধ্যাপক ইউনূসের সরকার অস্থায়ী সরকার। তাই তারা দীর্ঘ মেয়াদের কোনো ব্যবস্থায় এখন যাবে, এটা মনে হয় না।
ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই শেষ দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক যাবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সাত দেশের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিকে ঢাকা থেকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে। পত্রটির জবাব এসেছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গতকাল সাংবাদিকদের জানান, কোনো উত্তর আসেনি।
দুই দেশের কূটনীতিকেরা বলছেন, মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি দিল্লি থেকে এখনো নাকচ করা হয়নি।
ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতীয় একটি সরকারি সূত্র সেখানকার সংসদীয় প্যানেলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের একটি জবাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জয়শঙ্কর বলেছেন, ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান। ব্যাংককের বৈঠকটি হলে এটাই হবে দুই দেশের মধ্যে হাসিনা-পরবর্তী সময়ে প্রথম শীর্ষ বৈঠক।
জয়শঙ্কর সংসদীয় প্যানেলকে বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের আগেই বাংলাদেশে হাসিনাবিরোধী জনরোষ তৈরি হওয়ার ব্যাপারে ভারত অবগত ছিল। তাঁর দাবি, হাসিনার ওপর পর্যাপ্ত প্রভাব না থাকায় ‘পরামর্শ দেওয়া ছাড়া’ ভারতের তেমন কিছু করার পরিস্থিতি ছিল না।
আরও খবর পড়ুন:

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৬ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৬ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৬ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের...
২৪ মার্চ ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৬ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৬ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের...
২৪ মার্চ ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৬ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৬ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আজ রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।’
বক্তব্যের শুরুতেই ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় জানাজা দেখিনি। মানুষের যে আহাজারি ও দোয়া প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদির জন্য এত মানুষের শোকের কারণ হলো—তিনি কখনো নিজের কথা ভাবতেন না; ভাবতেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি সৎ জীবন যাপন করতেন, সবাইকে ভালোবাসতেন। কর্মীদের জন্য তিনি যা করে গেছেন, তা অনেক নেতার জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
তিনি বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী। কারণ, জ্ঞানার্জন এখন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।
সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আজ রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।’
বক্তব্যের শুরুতেই ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় জানাজা দেখিনি। মানুষের যে আহাজারি ও দোয়া প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদির জন্য এত মানুষের শোকের কারণ হলো—তিনি কখনো নিজের কথা ভাবতেন না; ভাবতেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি সৎ জীবন যাপন করতেন, সবাইকে ভালোবাসতেন। কর্মীদের জন্য তিনি যা করে গেছেন, তা অনেক নেতার জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
তিনি বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী। কারণ, জ্ঞানার্জন এখন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।
সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের...
২৪ মার্চ ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৬ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৬ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৭ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’
বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, পুলিশ থেকে ইতিমধ্যে একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার, সেটা তাঁরা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’
বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, পুলিশ থেকে ইতিমধ্যে একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার, সেটা তাঁরা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আগামী শুক্রবার এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। চীন বৈঠকটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক করে রাখতে চায়। অন্যদিকে সির সঙ্গে বৈঠকের...
২৪ মার্চ ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৬ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৬ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৬ ঘণ্টা আগে