অনলাইন ডেস্ক
ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর সম্প্রতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে এবং কাউন্সিলের বৈঠকও হয়েছে। সেখানে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগ যাচাই–বাছাই হচ্ছে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে কোনো বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগ পাঠানো হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তিন বিচারপতির অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ মর্মে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খবর সম্প্রচারিত হয়।
সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেল কর্তৃক সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন।
এর আগে বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউ চেয়ে করা আবেদন গত ২০ অক্টোবর পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ।
ওই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানান আইনজীবীরা।
১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। ১৯৭৭ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়, যা পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়।
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বনাম ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস মামলায় ২০০৫ সালে হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন। ২০১০ সালে আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল রাখেন। তবে অধিকতর স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বিবেচনায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান বলবৎ রাখেন আপিল বিভাগ।
২০১১ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। পরবর্তীতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
তবে এর বৈধতা নিয়ে রিট করলে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন। যাতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরে আসে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তাঁর লেখা রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন।
তবে সে সময় ওই পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতা–কর্মীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতি সিনহার পদত্যাগও দাবি করেন।
অভিযোগ রয়েছে ২০১৭ সালে অসুস্থতার কথা বলে এসকে সিনহাকে সরকার ছুটিতে যেতে বাধ্য করে। যদিও বিদেশ যাওয়ার সময় এসকে সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অসুস্থ নন, ক্ষমতাসীনদের সমালোচনায় তিনি বিব্রত।
পরে বিদেশে থাকা অবস্থায়ই তিনি পদত্যাগ করেন এবং এখনো পর্যন্ত আর দেশে ফেরেননি। পরে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর সম্প্রতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে এবং কাউন্সিলের বৈঠকও হয়েছে। সেখানে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়মের অভিযোগ যাচাই–বাছাই হচ্ছে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে কোনো বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগ পাঠানো হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তিন বিচারপতির অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ মর্মে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খবর সম্প্রচারিত হয়।
সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেল কর্তৃক সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন।
এর আগে বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউ চেয়ে করা আবেদন গত ২০ অক্টোবর পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ।
ওই রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানান আইনজীবীরা।
১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। ১৯৭৭ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়, যা পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়।
খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বনাম ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস মামলায় ২০০৫ সালে হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন। ২০১০ সালে আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল রাখেন। তবে অধিকতর স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বিবেচনায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান বলবৎ রাখেন আপিল বিভাগ।
২০১১ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। পরবর্তীতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
তবে এর বৈধতা নিয়ে রিট করলে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন। যাতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরে আসে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তাঁর লেখা রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন।
তবে সে সময় ওই পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতা–কর্মীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতি সিনহার পদত্যাগও দাবি করেন।
অভিযোগ রয়েছে ২০১৭ সালে অসুস্থতার কথা বলে এসকে সিনহাকে সরকার ছুটিতে যেতে বাধ্য করে। যদিও বিদেশ যাওয়ার সময় এসকে সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অসুস্থ নন, ক্ষমতাসীনদের সমালোচনায় তিনি বিব্রত।
পরে বিদেশে থাকা অবস্থায়ই তিনি পদত্যাগ করেন এবং এখনো পর্যন্ত আর দেশে ফেরেননি। পরে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
‘ভাবি’ শব্দটা পুরুষতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘আপনারা একে অপরকে ভাবি ভাবি করছেন। ভাবি শব্দটা কিছুটা পুরুষতান্ত্রিক। মানে আমি একটা পুরুষের মাধ্যমে ভাবি হচ্ছি। আপনারা ভাবি শব্দটাকে পরে ইতিবাচক কিছু করতে পারলে খুব ভালো হয়।’
৩১ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনবিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও তাঁর স্ত্রী ১১ থেকে ১২ মে জাপান সফরে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নোটাম (নোটিশ টু এয়ারম্যান) না মানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিমান) একটি ফ্লাইটকে শেষ মুহূর্তে গন্তব্য পরিবর্তন করতে হয়েছে।মদিনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়া বিমানে একটি ফ্লাইট শেষ পর্যন্ত সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেহজ পারমিট বা অনুমোদন ছাড়া হজ পালন করলে গুনতে হবে বিশাল অঙ্কের জরিমানা। শুধু তাই নয়, এভাবে হজ পালনে যাঁরা সহায়তা করবেন, তাদের গুনতে হবে কয়েক গুণ জরিমানা। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
৭ ঘণ্টা আগে