রাহুল শর্মা, ঢাকা
নেত্রকোনার রায়পুর আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাসুদ মিয়া অবসরে গেছেন ২০২২ সালে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। অবসরের পর সেই সুবিধার জন্য আবেদন করে এখনো প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা রাজশাহীর বেসরকারি ভটখালী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনাতুন নেসার। তিনি দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখনো অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পেতে মানুষ গড়ার এই দুই কারিগর মাঝেমধ্যে ধরনা দিতে আসেন রাজধানীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টে। নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ভবনে এই দুই কার্যালয়। গতকাল রোববারও গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের জমানো টাকা আমাদের দিচ্ছে না, বলেন তো ভাই, কী করি?
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত তহবিল সংকটের কারণে সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরকালীন প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দুই দপ্তরে অনিষ্পন্ন রয়েছে ৮৭ হাজার ৬০০ অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার আবেদন। ফলে নতুন আবেদনকারীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এই সংকট কাটাতে এই দুই দপ্তরকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বন্ড কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অনুকূলে দুই হাজার কোটি টাকা (বন্ড হিসেবে) এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ২০০ কোটি টাকা (বন্ড হিসেবে) বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই অর্থ থেকে পাওয়া লভ্যাংশ থেকে শিক্ষকদের অবসর ভাতা পরিশোধ করা হবে।
জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি দ্রুত বন্ড কেনার কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর এ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ অবসর ভাতা দেওয়ার কাজে ব্যয় হবে।’
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, গত ২২ মে পর্যন্ত কল্যাণ সুবিধার ৪২ হাজার ৬০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি বা অর্থ পরিশোধ করতে প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ২২ মে পর্যন্ত অবসর সুবিধার প্রায় ৪৫ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। তাঁদের অবসর সুবিধা দিতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বন্ড হিসেবে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এ থেকে শিগগির তেমন সুফল মিলবে না। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন এককালীন বিশেষ থোক বরাদ্দ।
বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবসর সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, অবসরের পর নিজের প্রাপ্য অর্থ পাচ্ছেন না শিক্ষকেরা। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? সরকার এত এত উন্নয়ন প্রকল্প করতে পারে আর শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থ দিতে পারে না? অবিলম্বে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।
নেত্রকোনার রায়পুর আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাসুদ মিয়া অবসরে গেছেন ২০২২ সালে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। অবসরের পর সেই সুবিধার জন্য আবেদন করে এখনো প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা রাজশাহীর বেসরকারি ভটখালী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনাতুন নেসার। তিনি দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখনো অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পেতে মানুষ গড়ার এই দুই কারিগর মাঝেমধ্যে ধরনা দিতে আসেন রাজধানীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টে। নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ভবনে এই দুই কার্যালয়। গতকাল রোববারও গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের জমানো টাকা আমাদের দিচ্ছে না, বলেন তো ভাই, কী করি?
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত তহবিল সংকটের কারণে সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরকালীন প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দুই দপ্তরে অনিষ্পন্ন রয়েছে ৮৭ হাজার ৬০০ অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ সুবিধার আবেদন। ফলে নতুন আবেদনকারীদের অপেক্ষা বাড়ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এই সংকট কাটাতে এই দুই দপ্তরকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বন্ড কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অনুকূলে দুই হাজার কোটি টাকা (বন্ড হিসেবে) এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ২০০ কোটি টাকা (বন্ড হিসেবে) বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই অর্থ থেকে পাওয়া লভ্যাংশ থেকে শিক্ষকদের অবসর ভাতা পরিশোধ করা হবে।
জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি দ্রুত বন্ড কেনার কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর এ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ অবসর ভাতা দেওয়ার কাজে ব্যয় হবে।’
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, গত ২২ মে পর্যন্ত কল্যাণ সুবিধার ৪২ হাজার ৬০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি বা অর্থ পরিশোধ করতে প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ২২ মে পর্যন্ত অবসর সুবিধার প্রায় ৪৫ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। তাঁদের অবসর সুবিধা দিতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বন্ড হিসেবে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এ থেকে শিগগির তেমন সুফল মিলবে না। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন এককালীন বিশেষ থোক বরাদ্দ।
বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবসর সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, অবসরের পর নিজের প্রাপ্য অর্থ পাচ্ছেন না শিক্ষকেরা। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? সরকার এত এত উন্নয়ন প্রকল্প করতে পারে আর শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থ দিতে পারে না? অবিলম্বে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে বিস্তারিত রোডম্যাপ দেবে।
২৫ মিনিট আগেবিএনপিসহ অনেক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চাইছে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার আগে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বললেও এ অবস্থানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এমন অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলে হতে পারে বলে সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেদেশে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে কক্সবাজার জেলা থেকে কুখ্যাত শাহীন ডাকাত ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) আনুমানিক সকাল ৮টায় এই অভিযান চালানো হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৩ ঘণ্টা আগে