বাসস, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে নাগরিকবান্ধব সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা বাংলায় ভাষণ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্নভাবে নাগরিকবান্ধব সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জন্ম লাভ করে। কিন্তু যে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিশাল আত্মত্যাগ করেছিলাম, তা গত পাঁচ দশকে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। বারবার আমাদের ছেলেমেয়েদের নেতৃত্বে আমাদের জনগণকে অসংখ্য ত্যাগ স্বীকার করে সে অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বছর আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী পালন করেছি; যে অভ্যুত্থানে আমাদের তরুণসমাজ স্বৈরাচারকে পরাভূত করেছিল। সেই বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাকে ও আমার সহকর্মীদের।’
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, ‘ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকাঠামোকে পুনর্গঠন করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য প্রয়োজন ছিল ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের। আমাদের জন্য সহজ পথ ছিল নির্বাহী আদেশে সংস্কার করা, কিন্তু আমরা বেছে নিয়েছি কঠিন পথ—অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই পথ।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা, যেখানে আর কোনো স্বৈরশাসকের আবির্ভাব হবে না।’
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, ‘শাসনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম, নারী অধিকারসহ সব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য আমরা ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, কমিশনগুলো জনমত যাচাই ও গভীর পর্যালোচনা করে বিস্তারিত সংস্কার কার্যক্রম সুপারিশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব সংস্কার সুপারিশ টেকসইভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছি, যারা ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিয়ে আলোচনায় বসে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকলে মিলে “জুলাই ঘোষণা”র মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সময়াবদ্ধ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি।’
ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে যে দলই জনগণের সমর্থন পাক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে আর কোনো অনিশ্চয়তার অবকাশ থাকবে না।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে নাগরিকবান্ধব সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা বাংলায় ভাষণ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্নভাবে নাগরিকবান্ধব সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ জন্ম লাভ করে। কিন্তু যে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিশাল আত্মত্যাগ করেছিলাম, তা গত পাঁচ দশকে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। বারবার আমাদের ছেলেমেয়েদের নেতৃত্বে আমাদের জনগণকে অসংখ্য ত্যাগ স্বীকার করে সে অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বছর আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী পালন করেছি; যে অভ্যুত্থানে আমাদের তরুণসমাজ স্বৈরাচারকে পরাভূত করেছিল। সেই বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাকে ও আমার সহকর্মীদের।’
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, ‘ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকাঠামোকে পুনর্গঠন করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য প্রয়োজন ছিল ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের। আমাদের জন্য সহজ পথ ছিল নির্বাহী আদেশে সংস্কার করা, কিন্তু আমরা বেছে নিয়েছি কঠিন পথ—অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই পথ।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা, যেখানে আর কোনো স্বৈরশাসকের আবির্ভাব হবে না।’
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, ‘শাসনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম, নারী অধিকারসহ সব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য আমরা ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, কমিশনগুলো জনমত যাচাই ও গভীর পর্যালোচনা করে বিস্তারিত সংস্কার কার্যক্রম সুপারিশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব সংস্কার সুপারিশ টেকসইভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছি, যারা ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিয়ে আলোচনায় বসে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকলে মিলে “জুলাই ঘোষণা”র মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সময়াবদ্ধ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি।’
ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে যে দলই জনগণের সমর্থন পাক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে আর কোনো অনিশ্চয়তার অবকাশ থাকবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সমান সুযোগ সুনিশ্চিত করতে এ সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিন
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না। দেশের গণতন্ত্র আর কখনো হুমকির মুখে পড়বে না। আজ শুক্রবার রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেএনসিপির কৃষক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী আজাদ খান ভাসানী ও কৃষিবিদ উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী গোলাম মর্তুজা সেলিম বলেন, ‘কৃষকের মৃত্যু আমাদের জাতির জন্য গভীর লজ্জার বিষয়। এই ট্র্যাজেডি সরকারের জন্য গুরুতর সতর্কবার্তা। একে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।’
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ভাষণ শুরু করেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে...
৩ ঘণ্টা আগে