নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া চুয়াডাঙ্গার আব্দুল মোকিম ও গোলাম রসুল ঝড়ুর আপিল আবেদন সম্প্রতি কার্যতালিকায় উঠলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। আজ সোমবার আবারও আবেদন দুটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠলে এ বিষয়ে শুনানি হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বীকার করেন ফাঁসি কার্যকরে আইনগত কোনো ভুল নেই। অথচ এর আগে এই আইনজীবীই বলেছিলেন, আপিল নিষ্পত্তি না করেই দণ্ড কার্যকর করার কথা। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
শুনানিতে আপিল বিভাগ আসামিপক্ষের আইনজীবী আসিফ হাসানের উদ্দেশে বলেন, 'এখানে প্রক্রিয়া মানা হয়েছে কি না? আপিল শুনানি শেষে রায়, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সবকিছু হয়েছে কি না? তখন আইনজীবী আসিফ বলেন, 'এগুলো হয়েছে। তবে কারা কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।' তখন আদালত বলেন, 'তাদের যেমন উচিত ছিল, অ্যাডভোকেটের কি উচিত ছিল না? আপনার অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আইনজীবীর বক্তব্য হলো তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগই করেনি।'
উত্তরে আইনজীবী বলেন, 'সময়মতো আমাদের আপিলটা ফাইল হয়েছে, তারপরও কেন এমনটি হলো। কষ্ট হচ্ছে মানুষের জন্য কিছু করতে পারলাম না। আমরা দুজন মানুষের জন্য চেষ্টা করতাম। এ বিষয়ে একটা গাইডলাইন দিয়ে দেন। সঙ্গে তাদের পরিবারের জন্য যদি কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।'এরপর আদালত বলেন, 'এই ক্ষতিপূরণ কিসের জন্য? যে আইনজীবী ভুল করেছেন তাঁকে বলেন। তিনি কিছু দিয়ে দিক। কারা কর্তৃপক্ষের দোষটা কোথায়? আপিল বিভাগ থেকে অন ম্যারিটে জাজমেন্ট হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা খারিজ হয়েছে, পরে রায় কার্যকর করা হয়েছে।' তখন আইনজীবী বলেন, 'আইনগত কোনো ভুল নেই।' আদালত বলেন, 'তাহলে কারা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন কেন? আপনারা দোষটা স্বীকার করেন না কেন?'
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, 'আমি কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে একদম চার্জশিটসহ সব পাঠিয়েছে। দেখলাম যে, যেভাবে আসছে এটা ঠিক না। সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি।' এ সময় আদালত বলেন, 'আপিল বিচারাধীন অবস্থায় আসামির ফাঁসি কার্যকরের খবর পত্রিকায় দেখে আমাদেরকে, কোর্টকে কত সমালোচনা করেছে। তারা কি ভেতরের এসব ঘটনা জানে? টক শোতে কত কথা বলা হচ্ছে। তখন আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, 'এসব কারোরই জানা ছিল না।'
আদালত আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা কিছুই করেননি। আমরাও অ্যাডভোকেট ছিলাম। আজকে আপনি বলছেন কারা কর্তৃপক্ষ দায়ী, তাদের সতর্ক করতে। তারা যথেষ্ট সতর্ক থাকে। তারা বিষয়গুলোকে ফলো করে। দেখেছি, রেকর্ডে খুব একটা ভুল হয় না। আইনজীবীদের ভুলের কারণে অনেক সময় এমনটা হয়।'
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া চুয়াডাঙ্গার আব্দুল মোকিম ও গোলাম রসুল ঝড়ুর আপিল আবেদন সম্প্রতি কার্যতালিকায় উঠলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। আজ সোমবার আবারও আবেদন দুটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠলে এ বিষয়ে শুনানি হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বীকার করেন ফাঁসি কার্যকরে আইনগত কোনো ভুল নেই। অথচ এর আগে এই আইনজীবীই বলেছিলেন, আপিল নিষ্পত্তি না করেই দণ্ড কার্যকর করার কথা। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
শুনানিতে আপিল বিভাগ আসামিপক্ষের আইনজীবী আসিফ হাসানের উদ্দেশে বলেন, 'এখানে প্রক্রিয়া মানা হয়েছে কি না? আপিল শুনানি শেষে রায়, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সবকিছু হয়েছে কি না? তখন আইনজীবী আসিফ বলেন, 'এগুলো হয়েছে। তবে কারা কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।' তখন আদালত বলেন, 'তাদের যেমন উচিত ছিল, অ্যাডভোকেটের কি উচিত ছিল না? আপনার অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আইনজীবীর বক্তব্য হলো তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগই করেনি।'
উত্তরে আইনজীবী বলেন, 'সময়মতো আমাদের আপিলটা ফাইল হয়েছে, তারপরও কেন এমনটি হলো। কষ্ট হচ্ছে মানুষের জন্য কিছু করতে পারলাম না। আমরা দুজন মানুষের জন্য চেষ্টা করতাম। এ বিষয়ে একটা গাইডলাইন দিয়ে দেন। সঙ্গে তাদের পরিবারের জন্য যদি কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।'এরপর আদালত বলেন, 'এই ক্ষতিপূরণ কিসের জন্য? যে আইনজীবী ভুল করেছেন তাঁকে বলেন। তিনি কিছু দিয়ে দিক। কারা কর্তৃপক্ষের দোষটা কোথায়? আপিল বিভাগ থেকে অন ম্যারিটে জাজমেন্ট হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা খারিজ হয়েছে, পরে রায় কার্যকর করা হয়েছে।' তখন আইনজীবী বলেন, 'আইনগত কোনো ভুল নেই।' আদালত বলেন, 'তাহলে কারা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন কেন? আপনারা দোষটা স্বীকার করেন না কেন?'
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, 'আমি কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে একদম চার্জশিটসহ সব পাঠিয়েছে। দেখলাম যে, যেভাবে আসছে এটা ঠিক না। সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি।' এ সময় আদালত বলেন, 'আপিল বিচারাধীন অবস্থায় আসামির ফাঁসি কার্যকরের খবর পত্রিকায় দেখে আমাদেরকে, কোর্টকে কত সমালোচনা করেছে। তারা কি ভেতরের এসব ঘটনা জানে? টক শোতে কত কথা বলা হচ্ছে। তখন আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, 'এসব কারোরই জানা ছিল না।'
আদালত আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা কিছুই করেননি। আমরাও অ্যাডভোকেট ছিলাম। আজকে আপনি বলছেন কারা কর্তৃপক্ষ দায়ী, তাদের সতর্ক করতে। তারা যথেষ্ট সতর্ক থাকে। তারা বিষয়গুলোকে ফলো করে। দেখেছি, রেকর্ডে খুব একটা ভুল হয় না। আইনজীবীদের ভুলের কারণে অনেক সময় এমনটা হয়।'
গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশিদের জন্য মেডিকেল ভিসাসহ অন্যান্য ভিসা সেবা স্থগিত করে ভারত। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার চীনে যাতে সহজে চিকিৎসা নেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে বেইজিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তির পর থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এবার
৫ মিনিট আগে২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে দলটির ২৪ নেতা–কর্মী নিহত হয়। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য তৈরির দায়িত্ব কেবলমাত্র শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয়। আপনারা যারা সংগ্রামে আছেন, যারা আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, আপনারা আপনাদের...
৪ ঘণ্টা আগেবুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন; শুধু এই অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির, এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে...
১২ ঘণ্টা আগে