শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কোভিড মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রায়ই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তার পরও এই স্রোত বন্ধ হচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ার মরুভূমিতে পাচারকারীদের হাতে ৩৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। এতে জনমনে কিছুটা আস্থা আসে। কিন্তু এরপরই কুয়েতে একজন সাংসদ গ্রেপ্তারের খবর সবকিছু সামনে এনে দেয়।
পুলিশের হিসাব বলছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন অন্তত পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি। তাঁরা বৈধ ভিসা নিয়েই অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মাসে দুবাইয়ের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৪ জন নারী ও পুরুষ দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফেরত এসেছেন মাত্র ২১ হাজার ৭৫৪ জন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ১ লাখ ৭৮ হাজার লোক কোথায় আছেন, তার কোনো ধারণা নেই পুলিশের। এ ছাড়া অন্য দেশের ভিসা নিয়েও ফেরেননি–এমন অনেক মানুষ আছেন। এঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নবাবগঞ্জের যুবক সাইদুর রহমান। ১৫ লাখ টাকায় ইতালিতে পাঠানোর চুক্তি হয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া হয়ে টোগোতে নিয়ে আটকে রাখা হয় সাইদুর রহমানকে। করা হয় চরম নির্যাতন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে দুই কিস্তিতে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার চক্র। গত ২ এপ্রিল দেশে ফেরেন সাইদুর। এরপর তিনি ১৩ জুন গুলশান থানায় মানব পাচারকারী তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাইদুর বলেন, টোগোতে তাঁর সঙ্গে একই হোটেলে ২৫ জন বাংলাদেশিকে আটকে রাখা হয়েছিল। তাঁদের ভাগ্যে কী জুটেছে, তা বলতে পারেন না।
ভাগ্য ফেরাতে চাঁদপুরের যুবক ইয়াসিন যেতে চেয়েছিলেন স্পেনে। পাচারকারী নুরুল আলম সুমনকে তিনি ৪ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা স্পেনে যাওয়ার পর দেবেন বলে চুক্তি হয়। কিন্তু তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয় টোগোতে। বিদেশের মাটিতে তাঁকে নির্যাতন করে দেশে আরও ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয় পরিবারের কাছ থেকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। এরপর দেশে ফিরে গুলশান থানায় গত ১৩ জুন নুরুল আলম সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আর পোল্যান্ডে নেওয়ার কথা বলে ময়মনসিংহের মাসুম সরদারকে মানব পাচারকারীরা নিয়ে গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। তিনি ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেশে থাকতেই দিয়েছিলেন মানব পাচারকারী ইয়াসির বারীকে। উজবেকিস্তানে একটি জঙ্গলে আটকে রেখে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়। গত ৩ জুন দেশে পালিয়ে এসে ইয়াসির বারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এভাবে অনেক তরুণ ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও করুণ। এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে দেশ ছেড়েছেন এই তরুণ-যুবকেরা। তাঁরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন দুবাইয়ের বৈধ টুরিস্ট ভিসা–তারপর লিবিয়া আর সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ। এই দুর্গম পথ তাঁরা পাড়ি নিচ্ছেন নৌকায় করে। এভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে উদ্ধারের পর ২৫ জন বাংলাদেশি তিন ধাপে দেশে ফিরেছেন। তাঁরা ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন।
অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি লিবিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই। দালালেরা এখন দেশ থেকে বৈধ ভিসায় প্রথমে দুবাই বা তুরস্কে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর সেখান থেকে তাঁরা লিবিয়ায় যাচ্ছেন। আর লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইতালি বা ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের পাচার করতে এর বাইরেও একটা নিরাপদ রুট বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মানব পাচারের একটি চক্র। এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। এই চক্র দুবাই থেকে কাজাখস্তান, ইউক্রেনে নিয়ে যাচ্ছে লোকজনকে। সেখানে নিয়ে তাঁদের চুক্তিতে বিয়ে করানো হচ্ছে। বিয়েতে খরচ পড়ছে চার–পাঁচ শ ডলার। তারপর সেখানে পাওয়া আবাসিক অবস্থানের পাস দেখিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপে।
পুলিশের হিসাবে গত তিন মাসে সব মিলিয়ে অন্তত ৯৫০ জন বাংলাদেশিকে এভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপযাত্রার সময় একাধিক দেশের অন্তত ৮১০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যাঁরা ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাঁদের মধ্যে এখন শীর্ষে থাকা চারটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। আর পুরো ইউরোপে নৌপথে অবৈধভাবে প্রবেশের শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় রোহিঙ্গাদের জাহাজের খোলে ভর্তি করে দাস পাচারের মতো ‘ডলফিন ভিসা’ বা ‘শিপে’ সাগরপথে মানব পাচার জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপর আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এ নিয়ে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসে। ২০১৫ সালে আন্দামান সাগরে শুধু মানব বিপর্যয়েরই জন্ম দেয়নি, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তে সন্ধান মেলে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের গণকবর। এই দালাল চক্র শুরুর দিকে বিমানে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে নিয়ে তারপর জঙ্গলের পর জঙ্গল হাঁটিয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাকে, মালগাড়িতে, নৌকায় পাচার শুরু করেছিল। এখন তা আরও জমাজমাট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত প্রায় আট বছরে দেশে ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৪৭টি, অর্থাৎ মাত্র ৪ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিচারাধীন আছে প্রায় ৪ হাজার ৪০৭টি মামলা।
জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইউরোপে পাঠানোর নাম করে মানুষ পাচার করা অধিকাংশ দালাল মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী ও শরীয়তপুর এলাকার। এরা আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে বসে থেকে অনলাইন ভিসা ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে। এমন দালাল চক্রের হাত থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭২ জন পুরুষ ও ২৩৪ জন নারীসহ মোট ১ হাজার ৬ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৯৬ জনকে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানব পাচারের ঘটনাগুলো শুধু বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়, পৃথিবীজুড়েই এই চক্র আছে। গত এক বছরে দেশে অবৈধ ও বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক এই বিশ্লেষক বলেন, মানব পাচারের এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের, যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না পাচার। আর ভুক্তভোগীরা ঝুঁকিতে ফেলছেন নিজেদের ও নিজের পরিবারকে।

কোভিড মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রায়ই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তার পরও এই স্রোত বন্ধ হচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ার মরুভূমিতে পাচারকারীদের হাতে ৩৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। এতে জনমনে কিছুটা আস্থা আসে। কিন্তু এরপরই কুয়েতে একজন সাংসদ গ্রেপ্তারের খবর সবকিছু সামনে এনে দেয়।
পুলিশের হিসাব বলছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন অন্তত পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি। তাঁরা বৈধ ভিসা নিয়েই অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মাসে দুবাইয়ের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৪ জন নারী ও পুরুষ দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফেরত এসেছেন মাত্র ২১ হাজার ৭৫৪ জন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ১ লাখ ৭৮ হাজার লোক কোথায় আছেন, তার কোনো ধারণা নেই পুলিশের। এ ছাড়া অন্য দেশের ভিসা নিয়েও ফেরেননি–এমন অনেক মানুষ আছেন। এঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নবাবগঞ্জের যুবক সাইদুর রহমান। ১৫ লাখ টাকায় ইতালিতে পাঠানোর চুক্তি হয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া হয়ে টোগোতে নিয়ে আটকে রাখা হয় সাইদুর রহমানকে। করা হয় চরম নির্যাতন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে দুই কিস্তিতে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার চক্র। গত ২ এপ্রিল দেশে ফেরেন সাইদুর। এরপর তিনি ১৩ জুন গুলশান থানায় মানব পাচারকারী তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাইদুর বলেন, টোগোতে তাঁর সঙ্গে একই হোটেলে ২৫ জন বাংলাদেশিকে আটকে রাখা হয়েছিল। তাঁদের ভাগ্যে কী জুটেছে, তা বলতে পারেন না।
ভাগ্য ফেরাতে চাঁদপুরের যুবক ইয়াসিন যেতে চেয়েছিলেন স্পেনে। পাচারকারী নুরুল আলম সুমনকে তিনি ৪ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা স্পেনে যাওয়ার পর দেবেন বলে চুক্তি হয়। কিন্তু তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয় টোগোতে। বিদেশের মাটিতে তাঁকে নির্যাতন করে দেশে আরও ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয় পরিবারের কাছ থেকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। এরপর দেশে ফিরে গুলশান থানায় গত ১৩ জুন নুরুল আলম সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আর পোল্যান্ডে নেওয়ার কথা বলে ময়মনসিংহের মাসুম সরদারকে মানব পাচারকারীরা নিয়ে গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। তিনি ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেশে থাকতেই দিয়েছিলেন মানব পাচারকারী ইয়াসির বারীকে। উজবেকিস্তানে একটি জঙ্গলে আটকে রেখে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়। গত ৩ জুন দেশে পালিয়ে এসে ইয়াসির বারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এভাবে অনেক তরুণ ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও করুণ। এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে দেশ ছেড়েছেন এই তরুণ-যুবকেরা। তাঁরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন দুবাইয়ের বৈধ টুরিস্ট ভিসা–তারপর লিবিয়া আর সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ। এই দুর্গম পথ তাঁরা পাড়ি নিচ্ছেন নৌকায় করে। এভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে উদ্ধারের পর ২৫ জন বাংলাদেশি তিন ধাপে দেশে ফিরেছেন। তাঁরা ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন।
অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি লিবিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই। দালালেরা এখন দেশ থেকে বৈধ ভিসায় প্রথমে দুবাই বা তুরস্কে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর সেখান থেকে তাঁরা লিবিয়ায় যাচ্ছেন। আর লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইতালি বা ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের পাচার করতে এর বাইরেও একটা নিরাপদ রুট বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মানব পাচারের একটি চক্র। এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। এই চক্র দুবাই থেকে কাজাখস্তান, ইউক্রেনে নিয়ে যাচ্ছে লোকজনকে। সেখানে নিয়ে তাঁদের চুক্তিতে বিয়ে করানো হচ্ছে। বিয়েতে খরচ পড়ছে চার–পাঁচ শ ডলার। তারপর সেখানে পাওয়া আবাসিক অবস্থানের পাস দেখিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপে।
পুলিশের হিসাবে গত তিন মাসে সব মিলিয়ে অন্তত ৯৫০ জন বাংলাদেশিকে এভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপযাত্রার সময় একাধিক দেশের অন্তত ৮১০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যাঁরা ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাঁদের মধ্যে এখন শীর্ষে থাকা চারটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। আর পুরো ইউরোপে নৌপথে অবৈধভাবে প্রবেশের শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় রোহিঙ্গাদের জাহাজের খোলে ভর্তি করে দাস পাচারের মতো ‘ডলফিন ভিসা’ বা ‘শিপে’ সাগরপথে মানব পাচার জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপর আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এ নিয়ে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসে। ২০১৫ সালে আন্দামান সাগরে শুধু মানব বিপর্যয়েরই জন্ম দেয়নি, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তে সন্ধান মেলে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের গণকবর। এই দালাল চক্র শুরুর দিকে বিমানে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে নিয়ে তারপর জঙ্গলের পর জঙ্গল হাঁটিয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাকে, মালগাড়িতে, নৌকায় পাচার শুরু করেছিল। এখন তা আরও জমাজমাট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত প্রায় আট বছরে দেশে ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৪৭টি, অর্থাৎ মাত্র ৪ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিচারাধীন আছে প্রায় ৪ হাজার ৪০৭টি মামলা।
জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইউরোপে পাঠানোর নাম করে মানুষ পাচার করা অধিকাংশ দালাল মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী ও শরীয়তপুর এলাকার। এরা আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে বসে থেকে অনলাইন ভিসা ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে। এমন দালাল চক্রের হাত থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭২ জন পুরুষ ও ২৩৪ জন নারীসহ মোট ১ হাজার ৬ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৯৬ জনকে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানব পাচারের ঘটনাগুলো শুধু বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়, পৃথিবীজুড়েই এই চক্র আছে। গত এক বছরে দেশে অবৈধ ও বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক এই বিশ্লেষক বলেন, মানব পাচারের এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের, যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না পাচার। আর ভুক্তভোগীরা ঝুঁকিতে ফেলছেন নিজেদের ও নিজের পরিবারকে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কোভিড মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রায়ই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তার পরও এই স্রোত বন্ধ হচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ার মরুভূমিতে পাচারকারীদের হাতে ৩৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। এতে জনমনে কিছুটা আস্থা আসে। কিন্তু এরপরই কুয়েতে একজন সাংসদ গ্রেপ্তারের খবর সবকিছু সামনে এনে দেয়।
পুলিশের হিসাব বলছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন অন্তত পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি। তাঁরা বৈধ ভিসা নিয়েই অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মাসে দুবাইয়ের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৪ জন নারী ও পুরুষ দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফেরত এসেছেন মাত্র ২১ হাজার ৭৫৪ জন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ১ লাখ ৭৮ হাজার লোক কোথায় আছেন, তার কোনো ধারণা নেই পুলিশের। এ ছাড়া অন্য দেশের ভিসা নিয়েও ফেরেননি–এমন অনেক মানুষ আছেন। এঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নবাবগঞ্জের যুবক সাইদুর রহমান। ১৫ লাখ টাকায় ইতালিতে পাঠানোর চুক্তি হয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া হয়ে টোগোতে নিয়ে আটকে রাখা হয় সাইদুর রহমানকে। করা হয় চরম নির্যাতন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে দুই কিস্তিতে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার চক্র। গত ২ এপ্রিল দেশে ফেরেন সাইদুর। এরপর তিনি ১৩ জুন গুলশান থানায় মানব পাচারকারী তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাইদুর বলেন, টোগোতে তাঁর সঙ্গে একই হোটেলে ২৫ জন বাংলাদেশিকে আটকে রাখা হয়েছিল। তাঁদের ভাগ্যে কী জুটেছে, তা বলতে পারেন না।
ভাগ্য ফেরাতে চাঁদপুরের যুবক ইয়াসিন যেতে চেয়েছিলেন স্পেনে। পাচারকারী নুরুল আলম সুমনকে তিনি ৪ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা স্পেনে যাওয়ার পর দেবেন বলে চুক্তি হয়। কিন্তু তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয় টোগোতে। বিদেশের মাটিতে তাঁকে নির্যাতন করে দেশে আরও ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয় পরিবারের কাছ থেকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। এরপর দেশে ফিরে গুলশান থানায় গত ১৩ জুন নুরুল আলম সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আর পোল্যান্ডে নেওয়ার কথা বলে ময়মনসিংহের মাসুম সরদারকে মানব পাচারকারীরা নিয়ে গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। তিনি ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেশে থাকতেই দিয়েছিলেন মানব পাচারকারী ইয়াসির বারীকে। উজবেকিস্তানে একটি জঙ্গলে আটকে রেখে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়। গত ৩ জুন দেশে পালিয়ে এসে ইয়াসির বারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এভাবে অনেক তরুণ ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও করুণ। এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে দেশ ছেড়েছেন এই তরুণ-যুবকেরা। তাঁরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন দুবাইয়ের বৈধ টুরিস্ট ভিসা–তারপর লিবিয়া আর সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ। এই দুর্গম পথ তাঁরা পাড়ি নিচ্ছেন নৌকায় করে। এভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে উদ্ধারের পর ২৫ জন বাংলাদেশি তিন ধাপে দেশে ফিরেছেন। তাঁরা ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন।
অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি লিবিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই। দালালেরা এখন দেশ থেকে বৈধ ভিসায় প্রথমে দুবাই বা তুরস্কে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর সেখান থেকে তাঁরা লিবিয়ায় যাচ্ছেন। আর লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইতালি বা ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের পাচার করতে এর বাইরেও একটা নিরাপদ রুট বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মানব পাচারের একটি চক্র। এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। এই চক্র দুবাই থেকে কাজাখস্তান, ইউক্রেনে নিয়ে যাচ্ছে লোকজনকে। সেখানে নিয়ে তাঁদের চুক্তিতে বিয়ে করানো হচ্ছে। বিয়েতে খরচ পড়ছে চার–পাঁচ শ ডলার। তারপর সেখানে পাওয়া আবাসিক অবস্থানের পাস দেখিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপে।
পুলিশের হিসাবে গত তিন মাসে সব মিলিয়ে অন্তত ৯৫০ জন বাংলাদেশিকে এভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপযাত্রার সময় একাধিক দেশের অন্তত ৮১০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যাঁরা ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাঁদের মধ্যে এখন শীর্ষে থাকা চারটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। আর পুরো ইউরোপে নৌপথে অবৈধভাবে প্রবেশের শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় রোহিঙ্গাদের জাহাজের খোলে ভর্তি করে দাস পাচারের মতো ‘ডলফিন ভিসা’ বা ‘শিপে’ সাগরপথে মানব পাচার জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপর আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এ নিয়ে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসে। ২০১৫ সালে আন্দামান সাগরে শুধু মানব বিপর্যয়েরই জন্ম দেয়নি, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তে সন্ধান মেলে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের গণকবর। এই দালাল চক্র শুরুর দিকে বিমানে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে নিয়ে তারপর জঙ্গলের পর জঙ্গল হাঁটিয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাকে, মালগাড়িতে, নৌকায় পাচার শুরু করেছিল। এখন তা আরও জমাজমাট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত প্রায় আট বছরে দেশে ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৪৭টি, অর্থাৎ মাত্র ৪ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিচারাধীন আছে প্রায় ৪ হাজার ৪০৭টি মামলা।
জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইউরোপে পাঠানোর নাম করে মানুষ পাচার করা অধিকাংশ দালাল মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী ও শরীয়তপুর এলাকার। এরা আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে বসে থেকে অনলাইন ভিসা ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে। এমন দালাল চক্রের হাত থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭২ জন পুরুষ ও ২৩৪ জন নারীসহ মোট ১ হাজার ৬ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৯৬ জনকে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানব পাচারের ঘটনাগুলো শুধু বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়, পৃথিবীজুড়েই এই চক্র আছে। গত এক বছরে দেশে অবৈধ ও বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক এই বিশ্লেষক বলেন, মানব পাচারের এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের, যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না পাচার। আর ভুক্তভোগীরা ঝুঁকিতে ফেলছেন নিজেদের ও নিজের পরিবারকে।

কোভিড মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রায়ই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তার পরও এই স্রোত বন্ধ হচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ার মরুভূমিতে পাচারকারীদের হাতে ৩৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। এতে জনমনে কিছুটা আস্থা আসে। কিন্তু এরপরই কুয়েতে একজন সাংসদ গ্রেপ্তারের খবর সবকিছু সামনে এনে দেয়।
পুলিশের হিসাব বলছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন অন্তত পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি। তাঁরা বৈধ ভিসা নিয়েই অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মাসে দুবাইয়ের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৪ জন নারী ও পুরুষ দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফেরত এসেছেন মাত্র ২১ হাজার ৭৫৪ জন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ১ লাখ ৭৮ হাজার লোক কোথায় আছেন, তার কোনো ধারণা নেই পুলিশের। এ ছাড়া অন্য দেশের ভিসা নিয়েও ফেরেননি–এমন অনেক মানুষ আছেন। এঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নবাবগঞ্জের যুবক সাইদুর রহমান। ১৫ লাখ টাকায় ইতালিতে পাঠানোর চুক্তি হয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া হয়ে টোগোতে নিয়ে আটকে রাখা হয় সাইদুর রহমানকে। করা হয় চরম নির্যাতন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে দুই কিস্তিতে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার চক্র। গত ২ এপ্রিল দেশে ফেরেন সাইদুর। এরপর তিনি ১৩ জুন গুলশান থানায় মানব পাচারকারী তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাইদুর বলেন, টোগোতে তাঁর সঙ্গে একই হোটেলে ২৫ জন বাংলাদেশিকে আটকে রাখা হয়েছিল। তাঁদের ভাগ্যে কী জুটেছে, তা বলতে পারেন না।
ভাগ্য ফেরাতে চাঁদপুরের যুবক ইয়াসিন যেতে চেয়েছিলেন স্পেনে। পাচারকারী নুরুল আলম সুমনকে তিনি ৪ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা স্পেনে যাওয়ার পর দেবেন বলে চুক্তি হয়। কিন্তু তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয় টোগোতে। বিদেশের মাটিতে তাঁকে নির্যাতন করে দেশে আরও ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয় পরিবারের কাছ থেকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। এরপর দেশে ফিরে গুলশান থানায় গত ১৩ জুন নুরুল আলম সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আর পোল্যান্ডে নেওয়ার কথা বলে ময়মনসিংহের মাসুম সরদারকে মানব পাচারকারীরা নিয়ে গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। তিনি ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেশে থাকতেই দিয়েছিলেন মানব পাচারকারী ইয়াসির বারীকে। উজবেকিস্তানে একটি জঙ্গলে আটকে রেখে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়। গত ৩ জুন দেশে পালিয়ে এসে ইয়াসির বারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এভাবে অনেক তরুণ ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও করুণ। এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে দেশ ছেড়েছেন এই তরুণ-যুবকেরা। তাঁরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন দুবাইয়ের বৈধ টুরিস্ট ভিসা–তারপর লিবিয়া আর সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ। এই দুর্গম পথ তাঁরা পাড়ি নিচ্ছেন নৌকায় করে। এভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে উদ্ধারের পর ২৫ জন বাংলাদেশি তিন ধাপে দেশে ফিরেছেন। তাঁরা ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন।
অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি লিবিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই। দালালেরা এখন দেশ থেকে বৈধ ভিসায় প্রথমে দুবাই বা তুরস্কে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর সেখান থেকে তাঁরা লিবিয়ায় যাচ্ছেন। আর লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইতালি বা ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের পাচার করতে এর বাইরেও একটা নিরাপদ রুট বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মানব পাচারের একটি চক্র। এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। এই চক্র দুবাই থেকে কাজাখস্তান, ইউক্রেনে নিয়ে যাচ্ছে লোকজনকে। সেখানে নিয়ে তাঁদের চুক্তিতে বিয়ে করানো হচ্ছে। বিয়েতে খরচ পড়ছে চার–পাঁচ শ ডলার। তারপর সেখানে পাওয়া আবাসিক অবস্থানের পাস দেখিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপে।
পুলিশের হিসাবে গত তিন মাসে সব মিলিয়ে অন্তত ৯৫০ জন বাংলাদেশিকে এভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপযাত্রার সময় একাধিক দেশের অন্তত ৮১০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যাঁরা ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাঁদের মধ্যে এখন শীর্ষে থাকা চারটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। আর পুরো ইউরোপে নৌপথে অবৈধভাবে প্রবেশের শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় রোহিঙ্গাদের জাহাজের খোলে ভর্তি করে দাস পাচারের মতো ‘ডলফিন ভিসা’ বা ‘শিপে’ সাগরপথে মানব পাচার জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপর আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এ নিয়ে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসে। ২০১৫ সালে আন্দামান সাগরে শুধু মানব বিপর্যয়েরই জন্ম দেয়নি, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তে সন্ধান মেলে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের গণকবর। এই দালাল চক্র শুরুর দিকে বিমানে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে নিয়ে তারপর জঙ্গলের পর জঙ্গল হাঁটিয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাকে, মালগাড়িতে, নৌকায় পাচার শুরু করেছিল। এখন তা আরও জমাজমাট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত প্রায় আট বছরে দেশে ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৪৭টি, অর্থাৎ মাত্র ৪ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিচারাধীন আছে প্রায় ৪ হাজার ৪০৭টি মামলা।
জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইউরোপে পাঠানোর নাম করে মানুষ পাচার করা অধিকাংশ দালাল মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী ও শরীয়তপুর এলাকার। এরা আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে বসে থেকে অনলাইন ভিসা ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে। এমন দালাল চক্রের হাত থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭২ জন পুরুষ ও ২৩৪ জন নারীসহ মোট ১ হাজার ৬ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৯৬ জনকে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানব পাচারের ঘটনাগুলো শুধু বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়, পৃথিবীজুড়েই এই চক্র আছে। গত এক বছরে দেশে অবৈধ ও বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক এই বিশ্লেষক বলেন, মানব পাচারের এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের, যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না পাচার। আর ভুক্তভোগীরা ঝুঁকিতে ফেলছেন নিজেদের ও নিজের পরিবারকে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।
এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কখনোই কোনো নাগরিকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর জানতে চায় না। নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সসেবা দেওয়া হয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে এ ধরনের দুটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আরপুর বাগানপাড়া এলাকার এক বাসিন্দাকে প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে ৯৯৯ থেকে স্থানীয় থানার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও এক ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানানো হয় এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য দাবি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর কোনো অবস্থায় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কখনোই কোনো নাগরিকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর জানতে চায় না। নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সসেবা দেওয়া হয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে এ ধরনের দুটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আরপুর বাগানপাড়া এলাকার এক বাসিন্দাকে প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে ৯৯৯ থেকে স্থানীয় থানার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও এক ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানানো হয় এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য দাবি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর কোনো অবস্থায় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ যেটা ছিল, সেটা হলো, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে